রাস্তায় বেলপুরি খাওয়ায় অনুভূতি ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো রাস্তায় বেলপুরি খাওয়া। আসলে কয়েক দিন আগে আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম। তারপর সবাই মিলে কিছু ক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পরে বাচ্চাদের জন্য কিছু কেনাকাটা করলাম। তারপর বাচ্চারা হালকা কিছু খাবার খেল।আমরা যদিও বাসা থেকে দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে গিয়েছিলাম তাই তেমন কিছু খাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। হঠাৎ মেয়ের জন্য চুলের ক্লিপ কিনতে গিয়ে সামনে পড়ল বেল পুরি। বেলপুরি দেখে বাচ্চারা খাবে।আসলে বাচ্চারা কেনো যে কারো লোভ লাগা স্বাভাবিক। বেলপুরি গুলো কিন্তু অনেক মজার। আমি মাঝে মাঝে খায়।যাইহোক তাহলো চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
প্রথমে আমরা বেলপুরি দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। আসলে আমরা পাশে অন্য কিছু কিনতেছিলাম হঠাৎ বেলপুরর দিকে আমার মেয়ের চোখ গেল। সে বলল আমি বেলপুরি খাব, যদিও আমরা আসার সময় কিছু বেলপুরি কিনে আনতাম কিন্ত তারা সেখানে দাঁড়িয়ে খাবে।শুধু আমার বাচ্চরা নয় অনেক লোক জন রাস্তার ওপরে এভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বেলপুরি খায়৷ আমি যদিও কখনো এভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে খায়নি। তবে সেদিন বাচ্চারা খাবে তাই আমরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে খাওয়ায়। তো অনেক মজা লেগেছিল ।
তারপর কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বেল পুরি ওয়ালাকে বললাম দশটা বেলপুরি দেওয়ার জন্য। তারপর উনি দুই বাচ্চার প্লেটে দুটি করে চারটি বেলপুরি দিল।সত্যি বলতে দুবোন মিলে শুধু দুটি পুরি খেল।তারপর আমার কাছে এসে বলল আম্মু এভাবে দাঁড়িয়ে কি খাওয়া যায়। তখন আমি বললাম না করলাম যে তোমরা তো শুনলে না। তারপর দোকানদার আর আটটি পুরি প্যাকেট করলো।তখন মেয়ের বাবা ছিল বাইরে সে আসার পর আবার পুরি খাবে। আসলে সবারই দেখে নিজের ও খেতে ইচ্ছে করছিল। তবে আর যাইহোক উনার বেলপুরি গুলো কিন্তু অনেক নাম করা। অনেক আগে থেকে বিক্রি করেছে।আমি উনার পুরি গুলো অনেক খেয়েছি তবে বাসায় এনে।
তারপর আবার দোকানদার বেলপুরি বানাতে লাগলো।আসলে উনার বানানো দেখে মনে হচ্ছিল আমি একটা খায়।দোকানদার অনেক সুন্দর করে পুরিগুলো কেটে দিয়েছে তারপর পুরির ভিতরে সালাদ দিয়ে দিল। আসলে আগে যখন কলেজে পড়তাম তখন গেটের সামনে এসে এভাবে বেলপুরি বানিয়ে খেতাম।সেই দিনে সবারই বেলপুরি খাওয়া দেখে কিছু সময়ের জন্য কলেজ লাইফে ফিরে গিয়েছিলাম।এক আপু দাঁড়িয়ে কতো সুন্দর পুরি খেল।আমার খেতে ইচ্ছে করলেও আমি খাবনা বাসায় এসে খাব।তারপর আপনাদের ভাই বলল একটা খাও, তখন অনেক বলার পরে একটা বেলপুরি খেলাম। অনেক মজা লেগেছিল। বাসায় খাওয়া আর রাস্তায় খাওয়া কখনো এক হয় না। বাসায় কতো খায় কিনে এনে কিন্তু সেই দিন মনে হচ্ছিল বেশি মজা হয়েছিল। যাইহোক মাঝে মাঝে এভাবে খেলে অনেক ভালো লাগে। আশাকরি আপনাদের কাছে ও আমার আজকের পোস্ট ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
সত্য কথা বলতে বেলপুরি গুলো রাস্তাতে তৈরি হলেও খেতে কিন্তু দারুন মজা লাগে। আমার কাছে তো মনে হয় রেস্টুরেন্ট এর থেকে এগুলোই খেতে বেশি সুস্বাদু হয়। আমি মাঝে মাঝেই রাস্তার এই ধরনের জায়গাগুলো থেকে বেলপুরি কিনে খাই।
এই খাবারগুলো খেতে দারুন ভালো লাগে। তবে রাস্তার খাবার বলে মাঝেমধ্যে কম খাওয়া হয়। কিছুদিন আগে আমি আর আমার বন্ধু রাত্রে কালীন সময়ে ঝালমুড়ির সন্ধানে গিয়েছিলাম দূরে এক বাজারে। তবে সেখানে লক্ষ্য করছিলাম এইগুলা ভিতরে চলছে অনেক মানুষ ভিড় করে খাচ্ছে। তবে তার মধ্য থেকে আমার ঝাল মুড়িটাই বেশি পছন্দ। অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং পাশাপাশি বর্ণনা করেছেন তাই পোস্ট খুব ভালো লাগলো।
জি ভাইয়া এগুলো খেতে লোকজনের অভাব হয় না,তবে অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার মনে হয় এই খাবারটি সবারই প্রিয় খাবার। তবে আমার একটু বেশিই প্রিয় কারণ আমি এখন লোভ সামলাতে পারছি না। আপনার এই পোস্টটি দেখার পরে আমার খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপু আপনার বেলপুরি খাওয়ার মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার ভালো লাগে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে এই সমস্ত খাবার খেতে খুবই ভালো লাগে তবে স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা বিবেচনা করলে এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। তবে সকলে মাঝেমধ্যে টুকটাক এ ধরনের খাবার খায়। আপনার ভেলপুরী খাওয়ার অনুভূতিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
ঠিক বলেছেন আপনি এই খাবার গুলো স্বাস্থ্য সম্মত নয়, তবে মাঝে মাঝে খেতে অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বেলপুরি না ভেলপুরি আপু। আর এই জিনিষ আমি টোটালি এভয়েড করি। কেন জানিনা রাস্তায় দাঁড়িয়ে এগুলো খেলেই আমার পেট খারাপ করে। কলেজ লাইফে থাকতে আমিও মাঝেমধ্যে এগুলো খেতাম তবে বেশি খেতে আবার সমস্যা হয়ে যায়।
মাঝে মাঝে খেলে ভালোই লাগে, যদিও স্বাস্থ্যসম্মত নয়, তবে এভাবে খাওয়ার মজা অনেক। ধন্যবাদ আপনাকে।
রাস্তার পাশের এই বেলপুরি গুলো খেতে কিন্তু দারুন লাগে। স্পেশালি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায়ই খেয়ে থাকি। অনেকেই অন্য চোখে দেখে যে ছেলে হয়ে বেলপুরি খাই। তবে আমার কাছে আমার স্বাদটাই বড়।
আসলে বেলপুরি খেতে সবাই খুবই ভালো লাগে। মেয়ে জন্য ক্লিক কিনতে গিয়ে বেলপুরি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে হলো এতে জেনে খুব ভালো লাগলো। বেলপুরি খাওয়া মুহূর্ত খুব সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন। আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এত চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
প্রশংসানীয় মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ভেলপুরি খেতে দারুন লাগে। যদিও এগুলো স্বাস্থ্যসম্মত না। কিন্তু মাঝে মাঝে খেতে ভালোই লাগে। যদিও অনেকদিন হলো খাওয়া হয়না। আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে কখনো সামনে পেলে খাব। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া যদি ও স্বাহ্যসম্মত নয়, তারপর এভাবে খেতে অনেক ভালো লাগে, অন্য রকম আনন্দ পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু রাস্তায় বেলপুরি খাওয়ায় অনুভূতি পড়ে অনেক ভাল লাগলো। রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ফুচকা,চটপটি বা বেল পুরি খেতে যে মজা লাগে সেটা বড় রেস্টুরেন্টে বা বাসায় বানিয়ে খেলে সেই মজা পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া রাস্তায় দাঁড়িয়ে খাওয়ার সাথে অন্য কোন জায়গার খাওয়ার তুলনা হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার ভেলপুরি খাওয়ার অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো।যদিও আমি বাইরের খাবার খাই না।কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে লোভ লেগে গেলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আমি ও অনেক কম খায়,তবে মাঝে মাঝে এভাবে খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।