স্কুলে বাচ্চাদের খাতা কলম দেওয়ার মূহুর্তে
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট:
স্কুলে বাচ্চাদের খাতা কলম দেওয়ার মূহুর্তে
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো স্কুলে বাচ্চাদের খাতা কলম দেওয়ার মূহুর্ত। আসলে বর্তমান আমরা কেউ সরকারি স্কুলে বাচ্চাদের পড়াতে চাই না। বেশির ভাগ বলতে প্রায় সবারই বাচ্চাদের কেজি স্কুলে দেওয়া হয়। তবে স্কুলের কি দোষ আমরাই তো ভালো কোন বাচ্চাদের সরকারি স্কুলে রাখি না। তবে যাইহোক আমাদের বাড়ি থেকে কেজি স্কুল একটু দূরে, আমার দুই বাচ্চা নিয়ে সব সময় যাওয়া আসা করা সম্ভব নয়। তাই আমাদের বাড়ির পাশেই সরকারি প্রাইমারি আছে। সেখানেই আমার মেয়ে পড়ে তবে বর্তমান সরকারি স্কুল বলেন কিংবা চাকরি বলেন এখানে কিন্তু চান্স পেতে হয়। যাইহোক তো চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
যেহেতু টিচাররা আগেই বলে দিয়েছিল আগামীকাল আমাদের স্কুলে খাতা কলম বিতরণ করবে,তাই সব গার্ডিয়ানের নিয়ে আসবে। তাই সকাল দশটার দিকে দুই মেয়েকে নিয়ে স্কুলে চলে গেলাম। প্রথম গিয়ে দেখলাম সব বাচ্চাদেরকে লাইন দাঁড় করালো। যেহেতু খাতা কলম দেওয়ার জন্য শিক্ষা অফিস থেকে লোক এসেছে। তাই টিচাররা প্রতি দিনের মত বাচ্চাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে দিল।লাইনে দাঁড়িয়ে সব বাচ্চাদের জাতীয় সংগীত, গান, কবিতা আরো যা যা ছিল সব কাজ সম্পূর্ণ হলো। আসলে বাচ্চাদের এমন পিটি দেখতে অনেক ভালো লাগে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বেশকিছু ক্ষণ দেখছিলাম আর ছোট বেলার কথা ভাবছিলাম।সত্যি ছাত্র জীবন অনেক সুখের জীবন।
পিটি শেষ হলে সকাল বাচ্চাদের এক ক্লাসে বসতে বলল।বাচ্চারা তো মহা খুশি স্কুল থেকে খাতা কলম দেবে বলে। তারপর সকল বাচ্চারা ক্লাসে গিয়ে বসে পড়ল। কিছু ক্ষণের মধ্যে টিচারা ক্লাসে প্রবেশ করলো। তারপর এক ম্যাডাম একএক করে সকল বাচ্চাদের সই করিয়ে নিল।আসলে বাচ্চা বলে কথা, এক জন সই করে চলে আসে, আরেক জন সই করে বসে থাকে এক ইলাহি কারখানা।তারপরে ও বাচ্চাদের এই দৃশ্য দেখতে অনেক ভালো লাগে।
তারপর বাচ্চাদেরকে একজন একজন করে ডাকলো।সকল বাচ্চাদের তিনটি করে খাতা ও একটি করে কলম দিল।খাতা কলম পেয়ে বাচ্চারা অনেক খুশি।তবে আমার ছোট মেয়ে খাতা কলম পায়নি তাই তার মন অনেক খারাপ। আসলে শিশু শ্রেণির বাচ্চাদের স্কুলে খাতা পেন্সিল দিয়ে লেখায় তাই ওদের আর আলাদা করে দেয়নি।যাইহোক বাচ্চাদের খুশি দেখে অনেক ভালো লাগল। আর এতে বাচ্চারা পড়াশোনায় আর মনযোগী হয়।সত্যি বলতে পড়াশোনা স্কুলে হয় না, পড়াশোনা নিজের করতে হয়। তবে একটু ভালো স্কুল হলে মনযোগ আরো বেশি হয়। আশাকরি আমার আজকের পোস্ট আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু এই সময়ে বেসরকারি স্কুলগুলোই সবার পছন্দের তালিকায় রয়েছে। কিন্তু আমার মতে সরকারি স্কুলগুলোতেই সবাইকে পড়ানো উচিত। তাহলে অনেক ভালো হয়। খাতা বিতরণ করা হচ্ছে দেখে ভালো লাগলো। যদিও আমাদের অঞ্চলে এরকম খাতা বিতরণ করা হয় না।
আমাদের এখানে এবার থেকে শুরু হলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু এখন দেখা যায় সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা সবসময় ফাঁকিবাজির মধ্যেই থাকে। আর বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকেরা কঠোর নিয়মের মধ্যে থাকার ফলে তারা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে খুবই ভালোভাবে শিক্ষা প্রদান করে। স্কুলে খাতা বিতরণের বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
আপু আমার স্ত্রীও একজন সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। তার স্কুলে প্রায় ৩০০ শিশু লেখাপড়া করে। আর এই স্কুলে লেখাপড়ার মানও অনেক ভালো। প্রতিটি টিচার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে সেই সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ তো আছেই। তবুও কেন জানি অনেকের মধ্যেই বেসরকারি স্কুলে পোড়ানোর প্রবণতা বেশ লক্ষ্য করেছি। কেন এমন হয় তা আমারও জানা নেই। তবে আপু আমাদের এদিকে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের খাতা-কলম দেওয়ার কোন অনুদান আসেনি। আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া খাতা কলম দেওয়ার অনুবাদ এবার থেকেই চালু হয়েছে, আস্তে আস্তে সব জায়গায় দেবে।ধন্যবাদ ভাইয়া।