নিজের হাতে মেহেদি পরার অনুভূতি ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো হাতে মেহেদি পরার অনুভূতি। আমরা সাজতে সবাই অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়( ২-৩)বছর হলো যে হাতে মেহেদি পড়ি না। কারণ বাচ্চারা ছোট ছিল তাই আরকি পরা হয়ে উঠে নি। এবার ভাবছি আমরা ভাইয়ের বিয়ের দিন সবাই মেহেদি পরব। তাই আমরা বাজার থেকে মেহেদি পরার জন্য কয়েকটি মেহেদি কিনে এনেছি।তাহলে চলুন শুরু করি মেহেদি পরার অনুভূতি টা কেমনঃ
আজ অনেক দিন পর মানে অনেক বছর পর হাতে মেহেদি পরতে যাচ্ছি । আসলে মেহেদি পরা অনেক ভালো লাগে। কিন্তু সময়ের অভাব। তবে আজ যখন সুযোগ পেলাম, তখন আর না করলাম না ।স্টুডেন্ট লাইফে অনেক মেহেদি পরেছি।হাতে মেহেদি থাকা অবস্থায় মেহেদি পড়েছি। কিন্তু সময় সব পরিবর্তন করে দেয়।আমি বিয়ের পর থেকেই মেহেদি পরি না ইচ্ছে করে। যখন কোন অনুষ্ঠান হয় শুধু সেই সময়ে একটু পরি।আর এখন তো মেয়েদের সাজার পালা। আজ দেখলাম সবাই অনেক সুন্দর করে মেহেদি নিচ্ছে। তাই আমার ও ইচ্ছে জাগল মেহেদি পরার।আসলে মেহেদি না পরলে কি ইচ্ছে তো আর থেমে থাকে না।ইচ্ছে থাকলে ও হয়তো অনেক সময় উপায় হয়ে ওঠে না।
তাই তো কয়েক দিন আগে আমার ছোট ভাই বিয়ের হলো। আমরা সবাই গিয়েছিলাম সেখানে। তাই সকালে উঠে আমার ছোট জা সবাইকে মেহেদি দেওয়া শুরু করল। আমার বাচ্চারা যেহেতু ছোট তাই ওরা আগে নেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ল। তার আমার জা আগে বাচ্চাদের দিল।বাচ্চাদের দেওয়া শেষ হতে না হতেই আমি চলে এলাম। আমার দু মেয়ে নেওয়ার পরই আমি চলে আসলাম। আমার হাতে যখন মেহেদি লাগিয়ে ছিল। আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন আমার সেই স্টুডেন্ট লাইফে চলে গিয়েছি কিছুক্ষণের জন্য। তখন অনেক দারুণ একটা অনুভূতি হচ্ছিল যা আপনাদের বলে বুঝানো যাবে না।সত্যি বলতে অনেক দিন পর হলে ও মেহেদি পড়ছি এটা তো সত্যি। তাই অনুভূতি টা একটু বেশিই ছিল।
আমার মনে হয় আমি কেনো সবারই মেহেদী পড়তে ভালো লাগে। প্রথমে শুরু থেকে একটু একটু করে দিতে দিতে বেশ ভালোই লাগছিল। তবে আমার ছোট মেয়ে আমার মেহেদি পরা দেখে সে আবার পরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল।তারপর আমার মেহেদি তারাতাড়ি করে শেষ করলাম। এসব কারণে আমি মেহেদি পরি না আসলে সে আমার মতো আবারো মেহেদি পরবে। যাইহোক অবশেষে মেহেদি পরতে পেরেছি, তাই অনেক ভালো লেগেছে। আসলে মেহেদি যখন হাতে পরি তখন অনেক আনন্দ লাগছিল। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। কেমন হয়েছে বন্ধুরা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য সময় অন্য কোন লেখা নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্হ্য থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে৷
ঈদ বা বিয়ে মেহেদী ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ। ছোট থেকে বড়রা সবাই মেহেদি পড়ার জন্য বায়না করে। আগে তো ঈদে বা বিয়ের অনুষ্ঠানে মেহেদী পড়তো মেয়েরা। এখন মাঝেমধ্যেই কোন অনুষ্ঠান ছাড়াই হাতে পড়ে মেহেদী। আপনি দুই তিন বছর পর হাতে মেহেদি পড়ে আপনার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি মেহেদি ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন এখন ঈদ বা বিয়ে ছাড়া মাঝে মাঝে মেহেদি পরে সকলে।মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এমন মেহেদী পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লাগে আপু। আমি তো বিয়ের অনুষ্ঠান ছাড়া প্রায় সময় মেহেদি পড়ে থাকি। সুন্দর মেহেদির ডিজাইন দিয়ে আশা ভাইয়ের বিয়েতে খুব সুন্দর সময় কাটাবেন। আপনার মেহেদি ডিজাইন টা আমার খুবই ভালো লেগেছে। দুই তিন বছর আপনার মেহেদির দেওয়ার গ্যাপের কথা শুনে আমি অবাক হলাম।
সত্যি আপু অনেক দিন পরে পরেছি, অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি বলতে আপু মেয়েদের হাতে এই মেহেদী করা দেখলে আমি মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই। ভাবি যে এত চমৎকার করে কি ভাবে নকশা করে!!! আপনার হাতে করা মেহেদি ডিজাইন টা দেখেও ঠিক অমন টাই মনে হলো। খুব সুন্দর লাগছে সত্যি। ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে নতুন সাজ 😊। খুশির একটা আমেজ কাজ করছে ভেতরে। লেখাটা পড়তেই সেটা বেশ ভালোই বোঝা যাচ্ছিল। অনেক ভালো থাকবেন আপু।
সত্যি ভাইয়া অনেক খুশির আমেজ কাজ করছিল। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সব সময় বিয়ে বাড়িতে মেহেদি পড়ার ধুম পড়ে যায়। মেহেদী ছাড়া যেন বিয়ে বাড়ি ঠিক জমে উঠে না। আপনি যদিও বা ২-৩ বছর হাতে মেহেদি পড়তে পারেননি ছোট বাচ্চার কারণে। কিন্তু বিয়ে উপলক্ষে ঠিকই হাতে মেহেদি পড়েছেন। ব্যাপারটি সত্যি অনেক ভালো লাগলো। অনেকদিন পরে হলেও আপনার ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে আপনার হাতটিকে মেহেদি দিয়ে খুব সুন্দর করে রাঙিয়ে তুলেছেন। আপনার হাতের মেহেদির ডিজাইনটি সত্যিই অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে। আর এই সুন্দর মেহেদীর ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি বলেছেন ভাইয়া মেহেদী ছাড়া যেন বিয়ে বাড়ি জমে উঠে না। আমার মেহেদি ডিজাইন আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ
দুই তিন বছর পর মেহেদী দিচ্ছেন। আসলে ছোট বাচ্চা থাকলে এরকম সখের কাজগুলো করা হয় না।ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে মেহেদী দিয়েছেন।খুব সুন্দর হয়েছে ডিজাইন টি। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই মেহেদী ডিজাইন টি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু ছোট বাচ্চাদের জন্য মেহেদি পরা হয়নি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
জীবনটা অনেক ছোট । ছোটখাটো ইচ্ছাগুলো সময় বের করে পূরণ করা শ্রেয়। ছোট ভাই এর পরা মেহেদির ডিজাইনটি বেশ সুন্দর হয়েছে। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
তা অবশ্যই সত্যি বলেছেন, ভাইয়া জীবনটা আসলে ছোট্ট। ধন্যবাদ আপনাকে।
২ থেকে ৩ বছর পর মেহেদি পড়ার সময় আপনার অনুভূতিটা আসলেই অসাধারণ ছিল আসলে আপনার মত আমিও মেহেদি পরতে অনেক ভালোবাসি আমি অনুষ্ঠানে মেহেদী না পড়লেও ঈদের সময় মাঝেমধ্যে মেহেদী পড়ি, আপনার বাচ্চাগুলোর আনন্দ গুলো অনেক সুন্দর ছিল 🥳, অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া বাচ্চাদের আনন্দ অসাধারণ ছিল। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মতে আমিও অনেক বছর হাতে মেহেদী পড়ি না। কিন্তু আগে অনেক ভালো লাগতো মেহেদি পড়তে। এখন কেন জানি আর ভালো লাগেনা। তবে অনেকদিন পর আপনি মেহেদী পড়েছেন জেনে খুব ভালো লাগে। সুন্দর মেহেদী ডিজাইন করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মেহেদি ডিজাইন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি বলেছেন আপু এখন কেনো যেন আর আগের মতো মেহেদি পড়তে ভালো লাগে না। পড়ার পরে কিন্তু অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
হাতের মধ্যে এত চমৎকার মেহেদী ডিজাইন দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে আমারও মেহেদী দিতে অনেক ভালো লাগে। নিশ্চয় বিয়েতে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করবেন। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
জি ভাইয়া বিয়েতে অনেক মজা করেছি।মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।