কাঁঠালের বিচি দিয়ে পটল ভাজি রেসিপি ||১০% বেনিফিসিয়ারি shy-fox ও ৫% বেনিফিসিয়ারি abb-school
সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি।আমি ভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি।
প্রতিদিনের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি রেসিপি নিয়ে। রেসিপিটি হলো কাঁঠালের বিচি দিয়ে পটল ভাজি। কাঁঠালের বিচি আমার অনেক পছন্দের। কাঁঠাল আমাদের জাতিয় ফল।আমি কাঁঠাল তেমন পছন্দ করি না। কিন্তুু কাঁঠালের বিচি আমার অনেক পছন্দের।
কাঁঠালের বিচি দিয়ে আমি যাই কিছু রান্না করি না কেন আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।পটল একটি পুষ্টিকর সবজি।পটলে রয়েছে অনেক ভিটামিন।কাঁঠালের বিচি দিয়ে পটল ভাজি করলে অনেক মজা হয়।আমি আগে অনেক রান্না করতাম।কিন্তুু এখন তেমন করা হয় না। আজ রান্না করলাম আর ভাবলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।তাই চলে আসলাম শেয়ার করার জন্য।
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাএ কমিউনিটি ( আমার বাংলা ব্লগ) সকল ভাইয়া ও বোনেদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোষ্ট
🥣রেসিপি তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ🥣
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
পটল | ৪ টি |
কাঁঠালের বিচি | কয়েকটি |
হলুদ | ১/২ চামচ |
কাঁচা মরিচ | কয়েকটি |
পিঁয়াজ | ৩ টি |
লবন | স্বাধমতো |
তেল | পরিমান মতো |
🥣ধাপ-১ 🥣
প্রথমে আমি পটল ও কাঁঠালের বিচি গুলো কেটে নিয়েছি।
🥣ধাপ-২ 🥣
কাঁঠালের বিচিগুলো পানি দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখেছি। যাতে কোষগুলো দুয়ে যায়।কোষ গুলো ধুয়ে গেলে তুলে নেব।
🥣ধাপ-৩ 🥣
এখন চুলাই একটি কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে দিলাম।তেল গরম হয়ে গেলে দুয়ে রাখা কাঁঠালের বিচি দিয়ে দিলাম।
🥣ধাপ-৪🥣
কাঁঠালের বিচি দিয়ে একটু নেড়ে কেটে রাখা পটল দিয়ে দিলাম।
🥣ধাপ-৫ 🥣
পটল ও কাঁঠালের বিচি দিয়ে অনেক সময় নেড়ে কেটে রাখা মরিচ ও পিঁয়াজ দিয়ে দিলাম।
🥣ধাপ-৬ 🥣
এখন হলুদ ও লবন দিয়ে নেড়ে সামান্য পানি দিয়ে দিলাম সিদ্ধের জন্য।
🥣ধাপ-৭🥣
পানি দিয়ে একটু নেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম।
🥣ধাপ-৮ 🥣
এভাবে হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে একটি বাটিতে তুলে নেব।এখন তৈরি হয়ে গেল মজার কাঁঠালের বিচি দিয়ে পটল ভাজি।গরম গরম পরিবেশন করব।আশাকরি রেসিপিটি সবার কাছে ভালো লাগবে।
তবে আজ এ পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী কোনো ব্লগে নতুন কিছু নিয়ে। ততদিন সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, এটাই কামনা করছি।
আমার পরিচয়ঃ
আমি পারুল।আমার মাতৃভাষা বাংলা।বাংলাদেশ আমার জন্মভৃমি। আমি ফরিদপুর বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে।আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি।আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে আমি নিজেকে ধন্যমনে করি।
আপনি আগে কাঁঠালের বিচি দিয়ে পটল ভাজি রান্না করতেন কারণ আগে কাঁঠালের বিচি পাওয়া যেত। মাঝখানে রান্না করেননি কারণ তখন কাঁঠালের বিচি পাওয়া যেতো না, এখন আবার রান্না করবেন বা করেছেন কারণ এখন আবার কাঁঠালের বিচি পাওয়া যাবে সব মিলিয়ে আপনার কাঁঠালের বিচি দিয়ে পটল ভাজি রেসিপি অসাধারণ হয়েছে, খেতে ও নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া ঠিক বলেছেন তবে এখন এমনিতে একটু কম রান্না করি,ভাজিটি কিন্তুু দারুণ ধন্যবাদ।
আপনাদের ভাই টা খুব ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। এ ধরনের রেসিপি খেতে খুবই মজাদার। কাঁঠালের বিচি দিয়ে পটল ভাজি রেসিপি দেখেই খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
কাঁঠালের বিচি আমার খুবই প্রিয়। পটল দিয়ে কাঁঠালের বিচির অনেক মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরির প্রসেস উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া রেসিপিটি আসলে অনেক মজা হয়েছিল । মন্তেব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কাঁঠালের বিচি খেতে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। এটা খেতে দাঁতের নিচে পড়লে অন্যরকম একটা ফিল আসে। এর সাথে আপনি আবার পটল অ্যাড করেছেন। দুইটা মিলে অনেক সুস্বাদু হয়েছে দেখে বোঝা যাচ্ছে। আপনি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপে বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার উপস্থাপনা অনেক ভাল ছিল। ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া সত্যিই দুটা মিলে অনেক মজা হয়েছিল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপু আপনার মত আমারও একই অবস্থা, আমি কাঁঠাল খেতে পছন্দ করি না কিন্তু কাঁঠালের বিচি খেতে ভীষণ রকম পছন্দ করি। আর আপনি কাঁঠালের বিচি দিয়ে পটল ভাজি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক অনেক স্বাদ হয়েছে। আর এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া আসলে খেতে অনেক স্বাদ হয়েছে। মন্তেব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
কাঁঠালের বিচি ভাজি ভর্তা ঘন্ট সব রকম ভাবে খেতে আমার অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে খিচুড়ি ভাতের মধ্যে দিয়ে রান্না করলে তো কোন কথাই নেই রেসিপিটি প্রস্তুত করা দেখেই জিভে জল চলে আসলো কিন্তু নিশ্চিত ভাবে মজা হয়েছিল
ভাইয়া সত্যি বলছেন খিচুড়ি ভাতের সাথে অনেক মজার হয় ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের এলাকায় এখনও পাকা কাঁঠাল পাওয়া যাচ্ছে না তাই কাঁঠালের বিচির রেসিপি এবছরে এখন পর্যন্ত খাওয়া হয়নি। আপনি পটল আর কাঁঠালের বিচি ভাজি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন যেটা দেখতে বেশ লোভনীয় ছিল নিশ্চয়ই খেতে অনেক মজা হয়েছিল।
ভাইয়া আমাদের এখানে অনেক পাওয়া যায়,আর ভাজটি অনেক মজা হয়েছিল ধন্যবাদ।
কাঁঠালের বিচি দিয়ে কখনো পটল বাজি খাওয়া হয় নি।তবে মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালো হয়েছে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
আপু আসলে অনেক মজা হয়েছিল ধন্যবাদ আপনাকে
কাঁঠালের বিচি দিয়ে পটল ভাজি রেসিপি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। এই মোসমে অনেক বেশি কাঠাল খাওয়া হয়। আমার দাদি বলতেন কাঠালের কোন কিছুই ফেলনা নয়। শুটকি দিয়ে কাঠালের ভর্তা আমার অনেক প্রিয়। তবে পটলও আমার অনেক প্রিয়। তবে কাঁঠালের বিচি দিয়ে পটল ভাজি খাওয়া হয়নি কখনো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ভাইয়া পটল দিয়ে কাঁঠালের বিচি ভাজি অনেক মজা হয়,খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে, ধন্যবাদ।
কাঁঠালের বিচি দিয়ে পটল ভাজি রেসিপি দারুণ হয়েছে। এখন কাঁঠালের মৌসুম। কাঁঠালের বিচি দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করা যায়। ভর্তা তৈরি করলে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে ভাজি করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রান্না দেখে শিখে নিলাম। এক সময়ে ভাজি করে খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ শেয়ার করে দেখানোর জন্য।
আপু এভাবে ভাজি করে খেয়ে দেখবেন, অনেক মজা হয়।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।