নীলার দুঃখের জীবন পর্ব-১ ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
নীলার দুঃখের জীবন
নীলারা ছিল দুই বোন ও দুই ভাই। বাবা ছিলেন অনেক দরিদ্র একজন রিক্সা চালক।নীলা ছিল সবার ছোট। এভাবে কোন রকম তাদের সংসার চলছে। আস্তে আস্তে তারা সবাই বড় হয়ে উঠতে লাগল। অভাবের সংসার অনেক কষ্টে চলছে তাদের। সংসারে যেহেতু অনেক অভাব তাই নীলার বোনকে খুবই তারাতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিল।এদিকে তার ভাই দুটি কৃষি কাজে নেমে গেল। নীলা মায়ের সাথে সাহায্য করতে লাগল ও স্কুলে ভর্তি হলো পড়াশোনা করার জন্য।
কিন্তু ভর্তি হলেই কি আর পড়াশোনা করতে পারল।কিছু দিনের মধ্যে নীলার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা । তখন নীলা কিছুতেই পড়াশোনা বন্ধ করবে না। সে সিদান্ত নিল মানুষের বাড়িতে কাজ করে পড়াশোনা করবে।ঠিক সেভাবেই কিছু দিন চলতে লাগল। হঠাৎ করেই নীলার বাবা মারা গেল। নীলার দু ভাই পরপর বিয়ে করে ফেলল।এখন নীলাকে তার মায়ের দেখাশোনা করতে হয় ও পাশাপাশি পড়াশোনা করে। এভাবে দেখতে দেখতে নীলিমা ৯ ম শ্রেণিতে উঠেছে। সে মানুষের বাসায় কাজ করে পাশাপাশি পড়াশোনা করে যাচ্ছে। কাজ করে নীল ও নীলামার মা দুজনে কোন রকম চলছে।নীলা ছিল দেখতে অনেক সুন্দর।
নীলা এসএসসি পরিক্ষা দেবে। এদিকে নীলার মা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ল। নীলার মা নীলাকে বিয়ে দেবার জন্য সকলকে বলতে লাগল।এদিকে নিলার বড় বোন মাঝে মাঝে নীলার মার খবর নিলেও এখন আর খবর নেই না।নীলার মা শুধু বলতে লাগল আমি বেঁচে থাকতে আমার মেয়েকে বিয়ে দিতে পারলে, ওর সুখটা দেখে যেতে পারতাম। নীলার পরিক্ষা শুরু হয়ে গেল। এদিকে মা অনেক অসুস্থ ওদিকে পরিক্ষা, নীলার কাছে সব অসম্ভব হয়ে পড়তে লাগল।নীলা যেন আর পারছে না। যেভাবে হোক অনেক কষ্টে নীলা পরিক্ষাটা দিল। পরিক্ষা শেষ হতে না হতেই নীলার জন্য একটা বিয়ের প্রস্তাব এলো।ছেলেরা দুভাই, মা বাবা কেউ নেই। ছেলে বিদেশে থাকে। নীলাকে দেখে ছেলেটা অনেক পছন্দ করল।কিন্তু ছেলের ভাই রাজি হলে না। ছেলের ভাই বলল ওরা অনেক গরীব। কিন্তু ছেলেটা নীলাকে বিয়ে করবে। ছেলের ভাই রাজি না হওয়ার সত্ত্বেও ছেলে নীলাকে বিয়ে করে নিল । এভাবে চলতে লাগল তাদের সুখের জীব।
এদিকে নীলার মাকে নীলার দেখাশোনা করতে হবে। নীলা সব সময় ভাবে তার মায়ের কি হবে । নীলার স্বামী নীলার মায়ের দেখা শোনা করবে। নীলার স্বামী ছয় মাসের ছুটিতে এসেছে। এভাবে নীলা তার মায়ের দেখাশোনা করতো, খুব ভালো আনন্দে চলছিল তাদের জীবন।। এত সুখ যেন নিলা মেনে নিতে পারছিল না । নীলার মা বলতে লাগলো আমার মেয়ের জীবন এতো সুখ এখন আমি মরেও শান্তি পাবো। কিছুদিনের মধ্যেই নীলা গর্ভবতী হলো। এদিকে নীলার স্বামী বিদেশে চলে গেল।এখন নীলা নিরুপায়। স্বামী বিদেশে যাবার সাথে সাথে নীলার ওপর শুরু হলো অত্যাচার।
আজ এই পর্যন্তই এই গল্পের বাকি অংশ নিয়ে আবার আসবো। আশা করছি আমার লেখা এই গল্পটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। আমার লেখা গল্পটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লাগে তাহলে আমারও অনেক ভালো লাগবে।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।
আপনার গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগল।কারণ একটি গরিব ফ্যামিলির পুরা আপডেট আপনি তুলে ধরেছেন।নীলার তো একটা ভালো স্বামীর সাথে বিয়ে হলো সেটা বুঝলাম।কিন্তু পরের ব্যাপারটা বুঝতে পারতেছি না কি অবস্থা হয় তার।পরের পর্বটার জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপু।
জি আপু স্বামী ভালো থাকলে অনেক শত্রু থাকলে শশুড় বাড়ি টিকা মুশকিল। ধন্যবাদ আপু।
আপনার গল্পটি খুব পড়ে খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে। কিন্তু শেষের দিকে এসে বুঝতে পারলাম না তার অত্যাচারের কথা কিছু। নীলা কিন্তু তার জীবনে খুবই ভালো একটি জীবনসঙ্গী পেয়েছে। তার সুখের জীবনের শেষের দিকে কি আসবে আমি শুধু তাই ভাবছি। আপনার পরের পর্ব টি দেখার অপেক্ষায় থাকবো।
জি ভাইয়া নীলা ভালো একজন স্বামী পেয়েছে। কিন্তু এটা আর বেশি দিন রইল না মনে হচ্ছে। পরবর্বী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন। ধন্যবাদ আপনাকে।