আলু দিয়ে দেশি মুরগি রান্নার রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।
আলু দিয়ে দেশি মুরগি রান্নার রেসিপি
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো দেশি মুরগির আলু দিয়ে রান্নার রেসিপি। আসলে আমি কয়েকটি মুরগি পালতাম। মুরগির গুলো প্রতি নিয়ত ডিম দেয় কিন্তু ডিম দেওয়ার সময় হলেই মারা যায়। তখন অনেক কষ্ট লাগে।এবারো ডিম পারা মুরগী মারা গেছে তাই আরো দুটি ছিল সাথে সাথে জবাই করেছি।যদিও এই দুটি ভালো ছিল তারপরে কারণ মারা যাওয়ার চেয়ে বাচ্চারা খেলে ভালো। যাইহোক এমন মুরগির স্বাদ কিন্তু অনেক। মুরগির পেটে অনেক ডিম ছিল ডিম গুলো আমার মেয়েরা অনেক পছন্দ করে। যাইহোক সবাই অনেক মজা করে খেয়েছি। তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
দেশি মুরগি | ১ টি |
আলু বড় সাইজের | ১ টি |
পিঁয়াজ কুঁচি | পরিমাণ মতো |
আদাবাটা ও রসুনবাটা | দেড় চামচকরে |
হলুদের গুঁড়ো | ২ চামচ |
মরিচের গুঁড়ো | ২ চামচ |
ধনের গুঁড়ো | দের চামচ |
জিরার গুঁড়ো | ১ চামচ |
এলাচ , দারচিনি ও তেজপাতা | পরিমাণ মতো |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণ মতো |
ধাপ-১
প্রথমে আমি মুরগিটা জবাই করে মাংস বানিয়ে ধুয়ে নিয়েছি। তারপর কিছু পেঁয়াজ ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে কেটে ধুয়ে নিয়েছি। সাথে একটি বড় সাইজের আলু খোসা ছাড়িয়ে কেটে ধুয়ে নিয়েছে।
ধাপ-২
চুলায় একটি কড়ায় বসিয়ে দিলাম। কড়ায় গরম হয়ে আসলে তেল দিয়ে দেব।
ধাপ-৩
তেল গরম হয়ে আসলে ধুয়ে রাখা আলুগুলো দিয়ে দিব। আলু এভাবে ভাজা হলে অন্য একটি বাটিতে তুলে নেব।
ধাপ-৪
সেই তেলে পিঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দেব। তারপর এলাচ, দারচিনি ও তেজপাতা দিয়ে দেব।পিঁয়াজ এভাবে হয়ে আসলে আদাবাটা ও রসুনবাটা দিয়ে দেব ।
ধাপ-৫
এখন হলুদের গুঁড়ো, মরিচের গুঁড়ো ও ধনের গুঁড়ো দিয়ে কিন্তু ক্ষণ কষিয়ে নেব। তারপর ধুয়ে রাখা মাংস গুলো দিয়ে দেব।
ধাপ-৬
মাংস কিছুক্ষণ কষিয়ে তারপর ভেজে রাখা আলুগুলো দিয়ে আর একটু কষিয়ে নেব। তারপর ঝোলের জন্য পানি দিয়ে দেব।
ধাপ-৭
ঝোল কমে আসলে জিরার গুঁড়ো দিয়ে দেব। তারপর কিছু কাঁচামরিচ দিয়ে দেব।
ধাপ-৮
এভাবে হয়ে আসলে নামিয়ে নেব। এখন একটি বাটিতে তুলে পরিবেশন করব। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
দেশি মুরগির মাংস আলু দিয়ে রান্না করলে খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখে লোভনীয় লাগছে। গরম গরম ভাতের সাথে বা রুটির সাথে রেসিপিটি খেতে খুব ভালো লাগে। রান্না করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি আপু এই ধরনের খাবার গুলো অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপনাকে।
মুরগির ভাইরাসের জন্য এই রোগটা হয়েছে। যাইহোক দেশি মুরগি আমার বেশ পছন্দের। আর নিজের পালিত মুরগি হলে তো আর কোন কথাই নেই। দেশি মুরগির সাথে আরো বেশ ভালো যায়। বিশেষ করে বাচ্চারা বেশ পছন্দ করে। আপনার রেসিপিটির কালার টা একটু বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে মনে হচ্ছে ভীষণ টেস্টি হয়েছিল।
জি আপু অনেক মজা হয়েছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার রেসিপি দেখে তোমার জিভে জল চলে এসেছে। এই ধরনের রেসিপি যে কতদিন খাইনি।আলু দিয়ে দেশি মুরগি রান্নার রেসিপি। রেসিপিটার কালারটি দেখে বোঝা যাচ্ছে কতটা মজাদার ছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
আপনার দাওয়াত রইল সময় করে চলে আসবেন রান্না করে খাওয়াবো, ধন্যবাদ আপনাকে।
ডিম দেওয়ার সময় হলেই আপনার মুরগিগুলো মারা যায় এটা জেনে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে আপু। আবারো একটা মুরগি মারা গিয়েছিল যার কারণে অন্য দুইটি মুরগি জবাই করে ফেলেছিলেন। মুরগির ভেতরে দেখছি ডিম ছিল। মুরগি পালন করার পরে যদি কোন একটা কারণে মারা যায় মুরগিগুলো তাহলে অনেক খারাপ লাগে। যাই হোক দেশি মুরগির মাংস রান্না করলে খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি অনেক মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে অনেক বেশি লোভনীয় মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে আপনার মেয়েরা অনেক মজা করে খেয়েছিল, সে সাথে সবাই বেশ মজা করে খেয়েছিলেন। উপস্থাপনা দেখেও অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
আসলে আপু ডিম পারা ধরলেই অসুস্থ হয়ে পড়ে, আর এই মুরগির মাংস গুলো অনেক মজা।
নিজেদের পালা মুরগির মাংস খেতে অনেক বেশি মজার হয়।তবে জেনে খারাপ লাগলো আপনাদের মুরগিগুলো ডিম পারার সময়ই মারা যায়। এটা কেন হয় আমার আসলে জানা নাই।যাক আপনি খুব সুন্দর করে মুরগি রান্না করলেন আপু।দেশি মুরগির মাংস খেতে এম্নিতেই তো মজার। আপনি সাথে আলু ভেজে দিলেন।আরো বেশি মজার হলো খেতে।কালারটা খুব সুন্দর আসছে।ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু ঔষধ খাওয়ায় তারপরেও কেনো জেনো ডিম পারা শুরু করলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
দেশি মুরগির মাংস দেখি তো লোভ লেগে গেল। কারণ দেশি মুরগির মাংস মানুষ অনেক বেশি প্রিয়। এভাবে আলু দিয়ে ঝোল করে রান্না করলে খেতে খুবই মজা লাগে। আপনার রান্নার কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই মজা হয়েছে।
জি আপু অনেক মজা হয়েছিল, ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকবেন।
আপু মুরগির মধ্যে আমি দেশি মুরগিটাই খেতে বেশি পছন্দ করি। বয়লার মুরগি তোমার খেতে ইচ্ছে করে না। যাইহোক আপনি আলু দিয়ে দেশি মুরগি রান্না রেসিপি তৈরি করেছেন। তরকারি কালার দেখেই তো মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ মজাদার হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর করে রান্নার ধাপ গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে ভাইয়া দেশি মুরগি অনেক মজা লাগে, এর ঝোল ও অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
হাঁসমুরগি পালন করতে কিন্তু কিছুটা হলেও কষ্ট হয়। কষ্ট করে হাঁস মুরগি পালন করার পরে যদি সেগুলো মারা যায় তাহলে খুব খারাপ লাগে। আমার আম্মু তো আগে হাঁস মুরগি প্রচুর পরিমাণে পালন করতো। মাঝে মাঝে যখন সেগুলো মারা যেত তখন ওনার খুবই কষ্ট হতো, যার থেকে আমি এই কষ্টটা কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পারি। বেশ ভালো করেছেন বাকি দুটো মুরগি জবাই করে। রান্না করার পরে মজা করে খেয়েছিলেন মনে হয়। আমাকে দাওয়াত দিলে ভালো হতো তাহলে আমিও খেতে পারতাম।
জি ভাইয়া পালন করলে মারা গেলে অবশ্যই খারাপ লাগে। আর জীব মারা যাবে এটাও স্বাভাবিক। ধন্যবাদ আপনাকে।
আলু দিয়ে দেশি মুরগির মাংস রান্নার দারুন একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। দেশি মুরগির মাংসের সাথে যদি আলু ব্যবহার করা যায় তাহলে সেটা খেতে খুবই ভালো লাগে। মনে হয় যেন মাংস খাওয়া বাদ দিয়ে আলু খেতে থাকি।
আসলেই আপু এতো করে মুরগী পালন করে মরে গেলে সত্যি খুব খারাপ লাগে।আপু কি দেখালেন রেসিপি কালার টা অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। আর কিছু বলার নেই খেতে মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক বেশি লোভ লাগছে কাছাকাছি হলে আসতাম। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আসলে আপু বোনের বাসায় দূরে হলেও আসা যায়, ধন্যবাদ আপনাকে।