রিপোর্ট আনতে ভোগান্তি ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা জানেন।কয়েক দিন আগে আমার মাকে ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তার দেখানোর পর কিছু পরিক্ষা দিয়েছিল। আমি পরিক্ষা গুলো করাতে দিয়েছিলাম কিন্তু রিপোর্ট দিতে দেরি হবে বলে, সে দিন চলে এসেছি। আর আমার এক বড় ভাই সেখানে চাকরি করে। বড় ভাইকে বলে এসেছিলাম রিপোর্ট নিয়ে রাখতে, সে রিপোর্ট না নিয়ে শুধু কাগজ নিয়ে বাসায় চলে গেছে। আসলে উনি বুঝতে পারেনি যে কাগজ আবার জমা দিয়ে রিপোর্ট আনতে হবে। তারপর রিপোর্ট আনতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। যাইহোক আর কথা না বাড়িয়ে তাহলে চলুন দেখো নিই আজকের পোস্ট।
আমরা হসপিটালে পৌঁছে আমাদের বড় ভাইকে ফোন দিলাম। উনি বলল দাঁড়াও আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে চলে আসছি।সত্যি পাঁচ মিনিটের মধ্যে ভাইয়া চলে আসলো। এসে বলল এর ভিতরে সব রিপোর্ট আছে, ডাক্তার দেখিয় ঔষধ নিয়ে চলে যাও। আমার আজ আর বের হবার মতো কোন সুযোগ নেই। আমার আজ দুপুর তিনটা পর্যন্ত ট্রেনিং।আমি বললাম ঠিক আছে এখন আমি একাই পারবো। এই বলে ভাইয়া চলে গেল আমরা রিপোর্ট দেখানোর জন্য আসলাম। এসেই দেখলাম বিশাল বড় লাইন , তারপর সকলকে বললাম আমি শুধু রিপোর্ট দেখাবো। এই বলে ভিতরে ঢুকে গেলাম। ভিতরে ঢুকতে বলল আপনার রিপোর্ট হয়নি, রিপোর্ট করে নিয়ে আসুন ও ই সি জি করে আনুন।আমি ই সি জি করতে দিয়ে চলে গেলাম রিপোর্ট আনার জন্য। কিন্ত কাগজ জমা দিতেই বলল রিপোর্ট দেব পরের দিন। তখন আমি তো অবাক যে আবারো আসতে হবে। এদিকে ভাইয়া ও আসতে পারবে না। তারপর ভাইয়াকে ফোন দিয়ে বললাম যদি একটু আসেন তাহলে আমার অনেক উপকার হয়। আসলে উনি আমাদের নিজের ভাই নয়, তবে উনি যত উপকার করে হয়তো বা আপন কেউ এমন করবে না।যাইহোক অবশেষে ভাইয়া এসে সরাসরি রিপোর্ট করিয়ে দিল।
রিপোর্ট নিয়ে ভাইয়া ও আমরা চলে গেলাম সরাসরি ডাক্তারের চেম্বারে। ডাক্তার কাছে গিয়ে সকল কাগজপত্র আগে নার্সের কাছে জমা দিলাম। সেহেতু মোস্তফা কামাল স্যার ভাইয়ার টিচার। নার্সগুলো সবাই ভাইয়ার পরিচিত । আমরা যাবার সাথে সাথেই আগে আমাদের কাগজ পএ জমা নিল।তারপর ডাক্তার সকল পরিক্ষার কাগজ নিয়ে দেখল।বলল আপনি কোন আঘাত পেয়েছিলেন, আসলে বেশকিছু দিন আগে বাথরুমে পড়ে গিয়েছিল,সেখান থেকে মনে হচ্ছে এমন ব্যাথা হয়েছে ।তারপর তিনটা ঔষধ লিখে দিল বলল বাইরে থেকে কিনে নিন।ঔষধ তিনটা খেতে হবে ১ মাস ।তারপর বলল পনেরো দিন পরে আবার এসে দেখিয়ে যাবেন।যাইহোক অবশেষে ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেলাম।
তারপর আমরা হসপিটাল থেকে বের হয়ে একটা ঔষধের দোকানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমি পনেরো দিনের ঔষধ কিনে নিলাম।তারপর আমরা বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেশন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে৷
কিছুদিন আগে আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম আপনি আপনার মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। আপনার বড় ভাই সেখানে থাকাতে আপনাদের সুবিধা হয়েছিল। কিন্তু এবার যেহেতু আবারো টেস্ট করতে বলা হয়েছে তাহলে তো বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়েছেন। আসলে টেস্টের রিপোর্ট যদি সেদিনই না দেয় তাহলে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। আবারও সেখানে যেতে হয় এবং ডাক্তার দেখানো খুবই ঝামেলার ব্যাপার। কি আর করার অপু সব জায়গাতেই একই অবস্থা। অবশেষে সেই ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেয়েছেন এটাই সবচেয়ে বড় কথা।
সত্যি বলেছেন আপু সব জায়গাতে প্রায় একই অবস্থা। তারপরেও আমাদের না গিয়ে উপায় নেই। যাইহোক অবশেষে রক্ষা পেয়েছি এটাই বড় কথা। ধন্যবাদ আপু।
আসলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের ভোগান্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তেমনি একটা ভোগান্তিতে আপনি আপনার মায়ের রিপোর্ট আনতে গিয়ে সম্মুখীন হয়েছেন। অবশেষে যে আপনি ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেয়েছেন এবং ডাক্তারের কাছে রিপোর্টটি দেখে এসেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো।
জি ভাইয়া বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্তায় অনেক ভোগান্তির শীকার হতে হয়।তারপরেও আমাদের যেতেই হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বর্তমান সময়ে সব জায়গায় কম বেশি ভোগান্তি থাকে। কিছুদিন আগে আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম আপনার মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। এবং সেখানে আপনার বড় ভাই থাকাতে আপনাদের অনেক সুবিধা হয়েছিল। যেহেতু টেস্ট করাতে বলেছে। তাহলে তো একটু ঝামেলার মধ্যে পড়ে গেলেন। তবে আমার কাছে ডাক্তার দেখানো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা এবং রিপোর্টগুলো ডাক্তারকে দেখানো । এগুলো একটু ঝামেলার মনে হয়। তবে সবশেষে ঝামেলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। এবং ডাক্তার দেখিয়ে আসতে পেরেছেন এটাই সবচেয়ে বড় কথা।
জি আপু বর্তমান সব জায়গাতে ভোগান্তির শীকার হতে হয়। আর পরিক্ষা নিরীক্ষা এ সব আসলে ঝামেলার কাজ। যাইহোক অবশেষে রক্ষা পেয়েছি এটাই বড় কথা। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
আপনি তো দেখছি বেশ একটা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিলেন। আর আপনার বড় ভাই দেখছি আপনাদের বেশ ভালোই সাহায্য করেছিলো। ডাক্তার নার্স উনার পরিচিত ছিল তার জন্য একটু হলেও কম সময় লেগেছিল আপনাদের। যাহোক এটা জেনে খুশি হলাম যে আপনাদের আবার পরের দিন যাওয়া লাগেনি। ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিলাম। আসলে বড় ভাই আমাদের অনেক উপকার করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
হাসপাতাল,ডাক্তার যেখানেই বলেন না কেন ভোগান্তির শেষ নেই। আপনি আপনার মায়ের টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে ভোগান্তির মধ্যে পরেছেন শুনে খারাপ লেগেছিল। যাই হোক পরিশেষে আপনি ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছেন, জেনে ভাল লাগলো।
জি আপু অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিলাম। যাইহোক অবশেষে রক্ষা পেয়েছি এটাই বড় কথা। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
এখন কেউ অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে গেলে তখন ডাক্তার অনেক ধরনের টেস্ট দেয়। আর টেস্ট করানো নিয়ে বিভিন্নভাবে ঝামেলায় পড়তে হয়। টেস্ট করানোর পর রিপোর্ট নেয়া থেকে শুরু করে ডাক্তার দেখানো, এই কাজগুলো করতে করতেই যেন একজন সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ে। কয়েক মাস আগে আমার আম্মু ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল ঢাকায়। সেখানেও অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল এই টেস্ট করানো আর রিপোর্ট নেয়ার প্রসেসিংয়ে।যাইহোক, আপনার আম্মুর সুস্থতা কামনা করছি।
জি আপু বর্তমান ডাক্তার দেখানো হলেই, আগে পরিক্ষা নিরিক্ষা দেয়।আর এসকল কাজ করা সত্যি অনেক কঠিন ব্যাপার।জি আপু দোয়া করবেন যেন তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে,ধন্যবাদ।
আমি নিজেও একবার কিছুদিন আগে বাথরুমে পড়ে গিয়ে বেশ ভোগান্তির স্বীকার হয়েছি। আসলে হসপিটালে যাওয়া এবং ডাক্তারের পেছনে দৌড়াদৌড়ি করা যে কত ঝামেলার কাজ সেটা আমি খুব ভালো করেই বুঝি। যাইহোক শেষ পর্যন্ত সমস্যার কিছুটা সমাধান হয়েছে সেটা শুনেই ভালো লাগলো।
সত্যি বলেছেন ভাইয়া হসপিটাল যাওয়া ও ডাক্তারের কাছে দৌড়াদৌড়ি করা অনেক কঠিন কাজ।জি ভাইয়া অবশেষে সমস্যার সমাধান পেয়েছি এটাই বড় কথা। ধন্যবাদ আপনাকে।