গিফট পাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমরা আজকের পোস্ট।
গিফট পাওয়ার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে গিফট পেতে সবারই ভালো লাগে।আমার কাছে তো অনেক ভালো লাগে। আবার গিফট দিতেও অনেক ভালো লাগে। তবে এখন বড় হয়ে গিয়াছি তাই তেমন কেউ গিফট দেয় না। যারা গিফট দেয় সব বাচ্চাদের আমার জন্য তেমন কেউ গিফট দেয় না। তারপরেও মাঝে মাঝে গিফট পেলে অনেক ভালো লাগে। এবার ঈদে তেমন কেউ গিফট দেয় না , আসলে রোজার ঈদে অনেকেই গিফট দিয়েছে বাচ্চাদের। তবে এবার আমি একটা চাদর গিফট পেয়েছি আমার বড় জার কাছ থেকে। সত্যি চাদর টা দেখে অনেক ভালো লাগল। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো ছোট হোক বড়হোক গিফট তো গিফট। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট ।
ঈদ উপলক্ষে আমাদের বাড়িতে সবাই এসেছে ঈদ করার জন্য। আসলে বাবা মার সাথে সবাই চায় ঈদ করতে। আমার বড় জারা ঈদের আগের দিন সবাই এসেছে আমাদের সাথে ঈদ করার জন্য। আমি আবার তাদের জন্য রান্না করতেছিলাম। কিছু সময় পরে আমার রুমে ঢুকে দেখে খাটের ওপর একটা শপিং ব্যাগ পড়ে আছে। যদি ও কাজের চাপে তেমন দেখি নাই শুধু ব্যাগটা খুলে দেখলাম মেয়ে বললো আম্মু তোমার জন্য বড়মা চাদর এনেছে। তখন মেয়েকে বলে তুলে রাখতে বললাম।আসলে আমার জা বললো তোমার জন্য সারপ্রাইজ তাই তোমাকে আগে থেকে বলিনি।
তারপর সব কাজ সেরে আবার রাতে যখন রুমে আসলাম তখন ব্যাগটা খুলে চাদর দেখলাম। একটু একটু করে ছাড়িয়ে দেখতে লাগলাম। প্রথম দেখেই ভালো লাগলো। আসলে অনেক দিন হলো এমন লালের ভিতর চাদর কিনিনি। আসলে বাচ্চাদের জন্য সব ধরনের চাদর পাতা যায় না সব সময়। যাইহোক চাদরের চেয়ে বালিশের কাবার দুটি বেশি সুন্দর ছিল।
সত্যি পুরো চাদর অনেক সুন্দর ছিল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে মাঝে মাঝে এভাবে গিফট পেতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। তবে দুঃখের বিষয় হলো ঈদের দিন চাদরটা বিছানায় ফেলতে পারিনি।আসলে অনেক বৃষ্টির কারণে ইচ্ছে করেই ফেলিনি।তবে পরে দিন সকাল সাকাল উঠে চাদরটা বিছানায় ফেলাম অনেক ভালো লেগেছে। যদিও পুরো চাদরে ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। চাদর তুলার পরে আবার ছবির কথা মনে হয়েছে। যাইহোক আমার কাছে ভালো লেগেছে চাদরটি।আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপু এটা ঠিক বলেছেন, সবাই বাচ্চাদের গিফট দেয়।বড় হয়েছি তাই সবাইকে দিয়েই আনন্দ পেতে হয়।কিন্তু এই অবুঝ মন যে গিফট পেতে পছন্দ করে তা কজনাই বা জানে। যাক আপনার বড় জা আপনার পছন্দের চাদর গিফট করেছে দেখে ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করে অনুভূতি গুলো শেয়ার করলেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
জ্বী আপু রোজার ঈদে আসলে সবাই গিফট করে। কোরবানির ঈদে গিফট খুব কম দেয়। তারপরেও আপনি আপনার বড় জায়ের কাছ থেকে খুব সুন্দর একটি চাদর গিফট পেয়েছেন ।চাদরটি দেখতে খুব সুন্দর লাগছে।ঠিক বলেছেন আপু ছোট হোক বড় হোক গিফট এরজিনিস সব সময় সুন্দর হয়।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঈদ উপলক্ষে সকলের মন চাই কারো কাছ থেকে কিছুটা না কিছু গিফট পাওয়ার আশা। তবে ছোটরা সব সময় বড়দের পানে চেয়ে থাকে কিন্তু বড় হয়ে গেলে যেন মনে হয় আমাদের কথা সকলেই ভুলে যায়। আজ আপনাকে আপনার আপনজন একটি গিফট প্রদান করেছে। এতে আপনি খুশি হয়েছেন আর এই খুশিতে যেন নিজেরও খুশি মনে হচ্ছে। নিজের বোন খুশি তাই নিজেও অনেক খুশি।