কাতলা মাছের দোপেঁয়াজা রেসিপি || ১০% বেনিফিসিয়ারি shy-fox ও ৫% বেনিফিসিয়ারি abb-school
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা সবাই?আশাকরি ভালোই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ও আল্লাহ রহমতে ভালোই আছি।
প্রতিদিনের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি রেসিপি নিয়ে। রেসিপিটি হলো কাতলা মাছের দোপেঁয়াজা। কাতলা মাছ অনেক মজার একটি মাছ। নদীর কাতলা মাছের স্বাদ অনেক।কাতলামাছ যেভাবে রান্না করি না কেন অনেক মজার হয়।আজ আামাদের পরিবারের সবাই কাতলামাছের দোপেঁয়াজা খাবে।তাই একটু তৈরি করে দিলাম।আমি কাতলামাছ অনেক ভাবে রান্না করি।কিন্তুু দোপেঁয়াজা করা কম হয়। পরিবারের সবাই কাতলামাছ অনেক পছন্দ করে।আমার বাচ্চারা অন্যমাছ তেমন খাই না। তারা ইঁলিশ ও কাতলামাছ একটু খাবে আর মাংস খাবে।যাইহোক বন্ধুরা আর কথা না বাড়িয়ে এখন চলে যাব মূলপর্বে।
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাএ কমিউনিটি (আমার বাংলা ব্লগ) সকল ভাই ও বোনেদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোষ্ট
🥣 কাতলামাছের দোপেঁয়াজা রেসিপি 🥣
🥣রেসিপি তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ🥣
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
কাতলামাছ | ৫ পিচ |
আদাবাটা | ১ চামচ |
রসুনবাটা | ১ চামচ |
মরিচের গুঁড়া | ১ চামচ |
হলুদের গুঁড়া | ১ চামচ |
ধনের গুঁড়া | ১/২ চামচ |
জিরার গুঁড়া | ১/২ চামচ |
পিঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৪ টি |
লবন | স্বাধমতো |
তেল | পরিমানতো |
🥣ধাপ-১ 🥣
প্রথমে আমি মাছগুলো দুয়ে লবন,হলুদ,লেবুর রস ও মরিচের গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে রেখেছি কিছু সময়।
🥣ধাপ-২ 🥣
এখন চুলাই একটি কড়াই বসিয়ে পরিমানতো তেল দিয়ে দিলাম।
🥣ধাপ-৩ 🥣
তেল গরম হয়ে আসলে মাখিয়ে রাখা মাছগুলো দিয়ে এপাশ ও পাশ ফ্রাই করে নিলাম।
🥣ধাপ-৪ 🥣
এখন ফ্রাই করা হয়ে গেলে একটি বাটিতে তুলে নেব।
🥣ধাপ-৫ 🥣
সেই তেলে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে দিলাম।
🥣ধাপ-৬🥣
পিঁয়াজ বাদামি রঙের হয়ে গেলে আদাবাটা ও রসুনবাটা দিয়ে দিলাম।
🥣ধাপ-৭🥣
আদাবাটা ও রসুনবাটা দিয়ে নেড়েচেড়ে, সকল মসলা দিয়ে কষিয়ে সামান্য পানি দিয়ে দিলাম।
🥣ধাপ-৮🥣
এখন কেটে রাখা কাঁচা মরিচ ও ফ্রাই করা মাছ দিয়ে দিলাম।
🥣ধাপ-৯🥣
মাছ দিয়ে আর একটু পানি দিয়ে দিলাম।এভাবে বেশ কিছু সময় রান্না করে নিলাম।এখন জিরার গুড়া দিয়ে নামিয়ে নেব।
🥣শেষ ধাপ-১০🥣
তৈরি হয়ে গেল মজার কাতলা মাছের দোপেঁয়াজা।এখন গরম গরম পরিবেশন করব।আশাকরি সবার কাছে ভালো লাগবে।
তবে আজ এ পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী কোনো ব্লগে নতুন কিছু নিয়ে। ততদিন সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এটাই কামনা করছি।
🥣আমার পরিচয়ঃ 🥣
আমি পারুল।আমার মাতৃভাষা বাংলা।বাংলাদেশ আমার জন্মভৃমি। আমি ফরিদপুর বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে।আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।
আপনি আজকে আমাদের সাথে কাতলা মাছের দোপেঁয়াজা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক বেশি মজার হবে। চমৎকারভাবে আপনি এটি উপস্থাপন করেছেন, আর আমিও ব্যক্তিগতভাবে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকি। তবে আমাদের বাজারে কাতলা মাছ সব সময় পাওয়া যায় না, মাঝে মাঝে খাওয়া হয়।
ভাইয়া আমাদের এখানে ও মাঝে মাঝে পাওয়া যায়,রেসিপিটি অনেক মজা হয়েছিল ধন্যবাদ।
কাতলা মাছ দিয়ে দারুন একটি দো পেয়াজা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি খুবই দারুন লোভনীয় লাগছে দেখতে খুব গুছিয়ে প্রতিটা ধাপ উপস্থাপনা করেছেন শুভ কামনা রইলো।
ভাইয়া সত্যিই দোপেঁয়াজা টা অনেক লোভনীয় ছিল, মন্তেব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আহ কি দারুন একটি লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করলেন দেখেই তো জিভে জল চলে আসলো লোভ সামলানো মুশকিল রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে দারুন মজা হয়েছিল প্রস্তুত প্রণালি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ভাইয়া আসলে অনেক মজা হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে
কাতলা মাছের দোপেয়াজা রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। কাতলা মাছ আমার খুবই প্রিয়। আমার মনে হয় ছোট-বড় সবারই এই মাছ অনেক প্রিয়। অসাধারণ ভাবে আপনি পেঁয়াজ দিয়ে এই মাছটি রান্না করেছেন। একদম লোভনীয় স্টাইলে নিশ্চয়ই অনেক মজা হয়েছে।
আপু ঠিক বলেছেন ছোটবড় সবারই এই মাছ অনেক প্রিয়া।রেসিপিটি লোভনীয় ছিল ধন্যবাদ।
কাতলা মাছের সব প্রকার রেসিপি আমার কাছে খেতে খুব ভালো লাগে। তবে রান্নার প্রকারভেদ অনুযায়ী স্বাদের কিছুটা পরিবর্তন হয়। আপনি খুব চমৎকার করে কাতলা মাছের দোপেয়াজা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই রেসিপিটি আমার কাছেও খেতে খুব ভালো লাগে। আর আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। সুস্বাদু এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া সত্যিই বলেছেন রান্নার প্রকার ভেদ অনুযায়াী স্বাদের পরিবর্তন হয়,মন্তেব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কাতলা মাছ অনেকের প্রিয় মাছের তালিকায় আছে। আমিও কাতলা মাছ অনেক পছন্দ করি। আপনি কাতলা মাছের দোপেঁয়াজা রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে দোপেঁয়াজা খুবই ভালো লাগে আমার। আপনার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভইয়া আসলে কাতলামাছের দোপেঁয়াজা অনেক মজা হয়, মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কাতলা মাছ আমিও খুব পছন্দ করি। আর আপনি খুব সুন্দর করে কাতলা মাছের দোপেঁয়াজি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া এবং উপকরণ গুলো ঠিকঠাক ভাবে দিয়েছেন। আমাদের সাথে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তেব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
কাতলা মাছের দোপেঁয়াজা রেসিপি খুবই লোভনীয় হয়েছে আপু। আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখেই মনে হচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে।কাতলা মাছ আমার অনেক প্রিয়। অনেক মজার একটি রেসিপি তৈরি করে সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ।
ভাইয়া আসলে কাতলামাছের দোপেঁয়াজা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার কাতলা মাছের দোপেয়াজা রেসিপি টা দেখে তো লোভ লেগে গেলো, দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। নদীর মাছ হলে তো কোন কথাই নেই মাছের স্বাদ টা অন্য রকম হয়। তবে বর্তমানে যেভাবে চাষের মাছ গুলো বের হয়েছে এ মাছগুলো খেতে একদম স্বাদ হয় না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মাছের চাষের জন্য স্বাদ কমে গেছে,আর দোপেঁয়াজাটা অনেক মজা হয়েছিল ধন্যবাদ আপনাকে।
শুধু পেঁয়াজ দিয়ে কাতলা মাছের দোপেয়াজা রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন যেটা দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। এমন লোভনীয় একটি রেসিপি সামনে থাকলে খাওয়ার প্রতি ইচ্ছা জাগে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু 🥰
ভাইয়া এমন লোভনীয় রেসিপি সামনে থাকলে খাবার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়,ধন্যবাদ।