নান রুটি ও চাপ খাওয়ার অনুভূতি ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো নান রুটি ও চাপ খাওয়ার অনুভূতি। আসলে আপনাদের সাথে আমার ভাইয়ের বিবাহ সম্পর্কে আলোচনা করেছি।তাই আমরা মার্কেটে গিয়েছিলাম।আমি ও আমার মেয়ে, আমার ভাবি ও আমার বড়বোন। মার্কেটে অনেক ক্ষণ ঘুরার পর ক্ষুদা পেয়ে গেল।কিন্তু কি করব এখন খাবারের মতো সময় ছিল না।তারপর যখন স্বর্ণকার দাদা বলল আপু আপনাদের বাইরে কাজ থাকলে ঘুরে আসুন।তারপর আমাদের জিনিস দিচ্ছি। সেই সুযোগে আমরা সবাই চলে গেলাম রেস্টুরেন্টে। সেখানেও গিয়ে দেখি অনেক ভীর। কি করব খেতে তো হবে।
তারপর আমরা সুলতানী ভোজ রেস্টুরেন্টে গেট দিয়ে ভিতরে ডুকে গেলাম। যাবার সময় গেটেই অনেক ভীর ছিল। কারণ সময়টা ছিল সন্ধ্যা আটটা। সাধারণত এ সময় অনেক বেশি ভীর থাকে। আমরা ভিতরে ডুকে গেলাম।
সুলতানী ভোজ রেস্টুরেন্টে অনেক ধরনের খাবার ছিল।
ভিতরে ডুকতেই চোখে পড়ল নান রুটি ও চিকেন বানানো। আসলে আমার মেয়ে ও আমার ভাগ্নে খাবে চাপ। ওরা ভাবছে যে চাপ এই রেস্টুরেন্টে নেই। তাই ওরা আর ভিতরে ঢুকবে না।হোটেল বয় বলল বাবু তোমরা যাও, তোমাদের জন্য চাপ দেওয়া হবে।যাইহোক অনেক কষ্টে বাচ্চাদের নিয়ে ভিতরে গেলাম।
ভিতরে ঢুকেই আমরা একটা টেবিল নিয়ে বসে পড়লাম। অনেক লোকজন ভিতরে এভাবে বসে আছে। তবে আমরা অনেকক্ষণ হয়েছে অর্ডার করেছি তারপরেও খাবার দিচ্ছে না । কারণ ভিরটা বেশি ছিল তাই দিতে দেরি হয়েছে। বাচ্চারা বলছে খাবার দেয় না কেন চলো চলে যায়। হোটেল বয়কে জিজ্ঞেস করলাম ভাইয়া তাড়াতাড়ি একটু দেয়া যাবে বললো আপু একটু ওয়েট করেন দিচ্ছি। আমরা প্রায় আধাঘণ্টা ওয়েট করার পরে হোটেলবয় আমাদের জন্য খাবার নিয়ে এসেছে।
অবশেষে খাবার পেয়ে আমার মেয়ে ও আমার ভাগ্নে অনেক মজা করে খেল। আমরা যদিও খেয়েছিলাম। তবে ওরা একটু বেশি মজা পেয়েছিল। সত্যিই তো ক্ষুদার সময় এ রকম খাবার খেতে মজা লাগা স্বাভাবিক। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য সময় অন্য কোন লেখা নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্হ্য থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।
খিদের সময় খাবার গুলো আসলেই বেশ মজা লাগে। খাবার গুলো দেখেও লোভনীয় মনে হচ্ছে। যাই হোক বুঝাই যাচ্ছে কেমন ভিড় ছিল, আপনাদের খাওয়ার এত দেরিতে এসেছে। বাচ্চারা দিচ্ছে বেশ মজা করে খাচ্ছে। ধন্যবাদ খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
জি আপু খিদের সময় যেকোন খাবার অনেক মজা লাগে আর যদি হয় লোভনীয় খাবার তাহলে তো কথায় নেই। ধন্যবাদ আপনাকে।
পুরো পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি বলতে ভীরের কারণে অনেক সময় এই রকম লেট হয়ে যায়। আর বাচ্চাদেরকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গেলে লেট হলে তারা অবশ্যই একটু ডাকাডাকি করে। যাই হোক অবশেষে আধা ঘন্টা পরে খাওয়ার এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে পুরো অনুভূতি আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।
জি ভাইয়া ভিরের কারণে লেট হয় কিন্তু বাচ্চারা বুঝে না। প্রশংশনীয় মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বাচ্চা বলে কথা, যাই হোক খুব চমৎকারভাবে আমার মন্তব্যের ফিডব্যাক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ও ধন্যবাদ
আসলে নান রুটি খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। আপনি খুব চমৎকারভাবে নান রুটি এবং চাপ খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো। খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলি দেখে বুঝে যাচ্ছে। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আমার পোস্ট আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সুলতানি ভোজ রেস্টুরেন্টের নাম টা অনেক সুন্দর। বাচ্চারা আসলে নান রুটি খেতে পছন্দ করে।আমার মেয়ে ও নান রুটি খেতে পছন্দ করে। আপনার মেয়ে ও ভাগ্নে চিকন চাপ খেয়ে নিশ্চয়ই অনেক খুশি।অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু আমার মেয়ে ও ভাগ্নে চিকেন চাপ খেয়ে অনেক খুশি হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভিড় বেশি হলে খাবার দেরিতে দেওয়াটা স্বাভাবিক।যাইহোক নান আমার খুবই পছন্দের খাবার।আপনারা সবাই মিলে বেশ ভালো সময় পার করেছেন রেস্টুরেন্টে আশা করি।বাচ্চারা খুবই খুশি হয়েছে এইরকম পরিবেশে কাটিয়ে।রেস্টুরেন্টের পরিবেশ ও মোটামুটি ভালোই ছিল, ধন্যবাদ আপু।
জি আপু সব মিলে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি।মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।