সখিনার জীবনের গল্প দ্বিতীয় পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
সখিনার জীবনের গল্প দ্বিতীয় পর্ব
সখিনা তার মায়ের কথা মতো বিয়ে করে নিল।আসলে সখিনাকে যে বিয়ে করেছে সে সখিনার গ্রামের ছেলে তবে অনেক বড় ঘরের। সখিনার জীবনের মোড় ঘুরা দেখে সখিনাকে বিয়ে করেছে। তবে সখিনার মা দেখলো সে বড় ঘরের ছেলে তাই বিয়ে দিতে আপত্তি করেনি।আসলে আমরা সবাই বড় ঘর দেখে মেয়েকে বিয়ে দেয় কিন্তু বড় বর দেখি না। সত্যি ঘর দেখে যদি বরের বিবেচনা করা যেত তাহলে তো কেমন হয়।
যাইহোক সখিনার বরের নাম হলো আলিম। আলিম বড় ঘরের ছেলে ঠিক কিন্তু তেমন কিছু করে না আবার সভাব তেমন ভালো নয় আবার নেশা করে। সব মিলে আলিম বাজে একটা ছেলে। আসলে এগুলো সখিনার পরিবার জানত না। তারপর সখিনা বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করল।ভালো মতো বিয়ে হয়ে গেল।প্রথম অবস্থায় সখিনাকে শশুর বাড়ির সকল লোকজন অনেক ভালোবাসত। বিশেষ করে সখিনার স্বামী। যাইহোক বিয়ের সাথে সাথে শশুর বাড়ির লোকজনকে চেনা মুশকিল। সখিনা ও তাদের সাথে মানিয়ে চলার চেষ্টা করল। আসলে সখিনার শশুর ও শাশুড়ি সখিনাকে মেয়ের মতো দেখে। তবে সখিনা ছয় মাসের ছুটিতে এসেছেিল। দুই মাসের মধ্যে বিয়ে হয়ে গেল আবার দুই মাস ধরে শশুর বাড়িতে সংসার করছে। যাইহোক দুই মাসে মধ্যে সখিনা তার স্বামীর ভালো ব্যবহার পেয়েছে।
এদিকে সখিনার বিদেশ যাবার সময় ঘনিয়ে এসেছে। তখন তার স্বামী এমন অভিনয় করলে যে সে সখিনাকে বিদেশ যেতে দেবে না। কিন্তু সখিনা বিয়ের আগেই বলেছিল তাকে বিদেশ যেতে দিতে হবে। আসলে সখিনার স্বামী ও চায় সে বিদেশ গিয়ে ইনকাম করে তাকে টাকা পাঠাক। অনেকের আছে না মুখে মধু অন্তরে বিষ। সখিনার স্বামী ঠিক সেই রকম একজন মানুষ। যাইহোক সখিনা তার মায়ের কাছে থেকে বিদয় নিয়ে চলে আসল শশুর বাড়ি। তারপর সখিনার স্বামীর সাথে এয়ারপোর্ট এ পৌঁছে দিয়ে আসল।সখিনা বিদেশ গিয়ে তার স্বামীকে সবারই আগে ফোন দিল। আসলে সখিনা স্বামীকে সখিনারপ্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। আসলে চার মাসে সখিনার স্বামী সত্যি সখিনাকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছে। সখিনা তাই তার স্বামীকে মনে প্রাণে ভালোবাসে। যাইহোক সখিনাকে বিদেশ পাঠানোর পরে দেখা গেল তার আসল চেহারা।
সখিনা যাবার পরেই বেতন পেয়ে তার স্বামীকে কাছে পাঠালো। আলিম টাকা পেয়ে আরো বেশি করে নেশা করতে লাগলো। আলিমের সাথে একটা মেয়ের আগেই সম্পর্ক ছিল। তবে সখিনাকে বিয়ে করেছে শুধু টাকার জন্য। সখিনা বিদেশ থেকে টাকা দেবে আর আলিম দেশে বসে বসে আর একটা বিয়ে করে সংসার করবে।এভাবে বেশকিছু দিন চলে গেল। সখিনা আলিমের কাছে তার মায়ের জন্য কিছু টাকা পাঠায়। আলিম আবার সখিনার দেওয়া টাকা গুলো সব সময় দিয়ে আসে। আসলে আলিম চায় না তার আসল চেহারা সখিনা বা তার পরিবার জানুক। এভাবে চলতে থাকল সখিনার জীবন। একদিন সখিনার ভাই আলিমের সাথে একটা মেয়েকে দেখে ফেললো। আসলে আলিম সেই মেয়েকে গোপনে বিয়ে করেছে যা আলিমের বাবা মা কেউ জানে না। এভাবে মাঝে মাঝে আলিমের সাথে মেয়েটিকে ঘুরা দেখত।একদিন সখিনার ভাই জিজ্ঞেসা করলো যে আলিমের সাথে মেয়েটা কে তখন একজন বললো এটা আলিমের বউ।তখন সখিনার ভাই এসে সখিনাকে সব বললো। সখিনা সাথে সাথে আলিমকে ফোন দিল। আসলে আলিম যেভাবে কথা বলল তাতে বুঝার উপায় নেই যে আলিম সখিনাকে মিথ্যা বলছে।এদিকে সখিনা তার ভাইকে ও বিশ্বাস করতে পারছে না আবার আলিমকে ও অবিশ্বাস করতে পারছে না।এখন সখিনা পড়ে গেল মহাবিপদে।(চলবে)
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
হায় হায় সখিনার কথা ভেবে তো আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কি হবে তাহরে সখিনার। আসলে পরিবারের মরুব্বিরা এই ভুলটিই করে। মেয়ে বিয়ে দিতে সব সময় ভালো বর নয়, ভালো ঘর খোঁজে। আর এ জন্যই সখিনাদের মত মেয়ের জীবন এমনই হয়। আর হলো যে সখিনার জামাইদের মত আরও হাজারও জামাই আমাদের আসে পাশে বসবাস করে। হয়তো আমরা চোখে দেখি না। অপেক্ষায় রইলাম আগামী পর্বের।
সবাই ভালো ঘর খোঁজে এটা আমাদের সমাজের রেওয়াজ হয়েছে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম সখিনার বিদেশ যাওয়ার কথা। আসলে স্বামী যদি খারাপ হয় তাহলে সংসারে সুখ শান্তি আসে না এবং সখিনা বিদেশ দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছে কিন্তু সখিনার টাকা দিয়ে তার স্বামী-নেশা পানি করছে। সত্যি এটা অনেক দুঃখজনক। অবশেষে সখিনা জানতে পারলো যে তার স্বামী অন্য একটি মেয়ের সাথে পরকীয়া লিপ্ত হয়েছে কিন্তু তারপরও তার ভাই সখিনা কে বলে দিল কিন্তু সখিনা মহা বিপদে পড়ে গেল। কার কথা বিশ্বাস করবে।তার ভাইয়ের কথা না। স্বামীর কথা।সখিনা এখন মহাবিপদে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
আসলে ভাইয়া সখিনার মাতো দেখেছে ভালো ঘর, সত্যি ভাইয়া সখিনা এখন মহা বিপদের মধ্যে আছে ধন্যবাদ ভাইয়া।
আলিমের মতো অনেক নেশাগ্রস্ত মানুষ আছে যাদের দ্বারা পরিবারের মানুষ সবসময় অসুখী থাকে। যাহোক আলিমের কার্যকলাপের মধ্য দিয়েই ছখিনা মহাবিপদের সম্মুখীন হলো। এখন দেখা যাক সখিনা কিভাবে এমন বিপদের মুহূর্ত সামাল দেয়।
দেখতে হলে পরবর্তী পর্বে জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়ের সাথে থাকার জন্য।
আসলে বর্তমান পরিস্থিতিটা এমনই যে। যোগাযোগ মাধ্যম সব ইন্টারনেট ভিত্তিক হওয়ায় মানুষ খুব সুন্দরভাবে মিথ্যে কে সাজিয়ে বলতে পারে। তাছাড়া যোগাযোগ মাধ্যম অনলাইনে হওয়ায় মানুষ এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় বলে। কিন্তু সখিনা বেশ বড় একজন খারাপ লোকের হাতে পড়ে গেলেন। কারণ তাকে এই চার মাসের মধ্যে খুব ভালো ব্যবহার দিয়ে গেছেন। যার কারণে তার মধ্যে অনেক বিশ্বাস জমে ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তার স্বামী আলিমের এমন ঘটনা হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল। আশা করি পরবর্তী পর্বে আরো ভালো কিছু পড়তে পারবো।
পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আলিম যেহেতু সখিনার গ্রামের ছেলে,তাই সখিনার মায়ের উচিত ছিলো ভালো মন্দ যাচাই করে বিয়ে দেওয়া। কিছু কিছু ছেলে আছে বউয়ের উপার্জনের টাকা দিয়ে মজা করে বেড়ায়। আর আলিম তো আরেকটা বিয়ে করে, সখিনার টাকা দিয়ে সেই সংসার চালায়। আলিম তো দেখছি মহা ধান্দাবাজ একজন ছেলে। সখিনা বিদেশে থেকে এখন শুধু দুশ্চিন্তা করতে থাকবে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
আসলে ভাইয়া সখিনার মা তো সহজ সরল মানুষ তাই এতো কিছু বোঝে না।পরবর্তী পর্বের জন্যই অপেক্ষায় থাকেন।