আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
প্রতিদিনের মতো আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি রেসিপি নিয়ে। রেসিপিটি হল লুচি বানানোর রেসিপি। লুচি আমরা হয়তো সবাই কম বেশি পছন্দ করি। আজ সকালে যখন ঘুম থেকে উঠলাম কিছুই ভালো লাগছিলো না, বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ। তারপর আবার গিয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম। এখন নাস্তা বানাতে হবে কিন্তু নাস্তা বানানো, কেনো কিছুই করতে ভাল লাগছে না। ছোট মেয়ে উঠে বলেছে আম্মু আমাকে লুচি আর মাংস দিও , আমি খাব। কি করা তখন উঠে গেলাম বানানোর জন্য। মেয়ে বলেছে কষ্ট হলেও বানাতে হবে । তখন লুচি বানানোর প্রস্তুতি নিলাম।যেহেতু আমার আগে থেকে মাংস রান্না করা ছিল। তাই আমি তারাতাড়ি কয়েকটি লুচি তৈরি করে নিলাম। লুচি গুলো তারাতাড়ি করলেও অনেক সুন্দর ফুলেছে ও মজা হয়েছে।তাই ভাবলাম আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের সাথে একটু শেয়ার করে নিই। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে নিই আমি কিভাবে লুচি গুলো তৈরি করেছি।
১.ময়দা
২.তেল
৩.লবন
৪.পানি
ধাপ -১
প্রথমে আমি এক কাপ ময়দা নিয়েছি।তারপর ময়দার ভিতরে লবন ও তেল দিয়ে দিলাম। তেলটাকে হাত দিয়ে ভালো করে ময়দার সাথে মিশিয়ে নেব।
ধাপ -২
এখন নরমাল তাপমাত্রার পানি দিয়ে আস্তে আস্তে একটা ডো তৈরি করে নেব।ডোটার ওপর একটু তেল দিয়ে দেব।তারপর ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখবো।
ধাপ -৩
ফিরে এলাম ১০ মিনিট পর।একটা পিড়ি বেলুন নিলাম। এখন ডোটা আর একটু মুথে নেব। তারপর এভাবে লম্বা করে নেব।
ধাপ -৪
এখন ডোটা থেকে এভাবে ছোট ছোট লুচি কেটে নেব। একটা পিড়ির পার নিয়ে এভাবে কেটে নেব। তারপর পাতলা করে বেলে নেব।
ধাপ - ৫
এভাবেই আমি সব গুলো লুচি বানিয়ে নিয়েছি।এখন চুলাই একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। কড়াই একটু গরম হলে তেল দিয়ে দেব।
ধাপ -৬
তেল গরম হয়ে আসলে একটি করে লুচি দিয়ে দেব।লুচি দিয়ে একপাশ ফুলে আসলে অন্য পাশ উল্টিয়ে ভেজে নেব।এখন তেল ঝরিয়ে তুলে নেব। এভাবেই আমি সব গুলো লুচি ভেজে নেব।
ধাপ শেষ
ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল মজার লুচি রেসিপি। এখন গরম গরম মাংসের সাথে পরিবেশন করব। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য সময় অন্য কোন লেখা নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্হ্য থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
পারুল। আমার ইউজার নেম
@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে৷
আসলে মেয়ে আবদার করেছে তা কি আর আপনি ফেলতে পারবেন আপু। মেয়ের আবদার রক্ষা করার জন্য সকাল সকাল লুচি আর মাংস রান্না করে ফেললেন। আসলে লুচি খেতে আমারও ভালো লাগে। বিশেষ করে খাসির মাংসের রেসিপি ঝোলের সাথে লুচি খেতে আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
সত্যি ভাইয়া বাচ্চাদের আবদার না রেখে উপায় নেই। আর মাংস তো আমার বেশির ভাগ সময় রান্না করা থাকে। তাই লুচি বানিয়ে দিলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বড়ই লোভনীয় ছিল আমার কাছে আপনার এই রেসিপিটা। কারণ আমি এই জাতীয় লুচি বেশি পছন্দ করে থাকি। আর তৈরীর প্রসেস বেশ ভালো লেগেছে। ধাপে ধাপে খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করাটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি।
আপনাদের ভালো লাগা আমার কাছের প্রতি আরো আগ্রহ বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
লুচি আর আলুর দম এটা তো বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় খাবার ৷ এখনো গ্রামে লুচি আর আলুর দম জমে খাওয়া ৷ সত্যি বাঙালির কিছু কিছু খাদ্য সত্যি ভুলে যাওয়ার নয় ৷
আর আপনি তো সেই বাঙালির প্রিয় খাবার লুচি রেসেপি তৈরি করেছেন ৷
বাহ দেখে খুব লোভ পাচ্ছে ৷
ফুলকো লুচি গুলো দেখে লোভনীয় লাগছে। লুচি খেতে আমার ভালো লাগে। সাথে মাংস থাকলে তো খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। তৈরি করার পদ্ধতি সহজ ও সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। বিকেলের নাস্তা হিসেবে লুচি আমার খুব পছন্দের একটা খাবার। অনেকদিন খাওয়া হয়নি। সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু লুচি তৈরি করা অনেক সহজ। আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ।
অনেক পছন্দের একটা খাবার শেয়ার করেছেন আপু। লুচি দিয়ে মাংস খাওয়া এক অন্যরকম অনুভুতি। লুচি আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার। বাড়িতে বানিয়ে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। বাড়িতে এ ধরনের জিনিস তৈরি করলে বেশ মজা পাওয়া যায়। লুচি বানানোর ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি ভাইয়া বাড়িতে তৈরি করে খেলে অনেক মজা লাগে। প্রশংসানীয় মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
লুচি আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। লুচি দিয়ে মাংস খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনার পোষ্টের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপ গুলো খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আমরা তো সকলেই এভাবেই বাড়িতে লুচি বানিয়ে খাই। তবে আমি মাঝেমধ্যে বেকিং সোডা দেই, ময়দা মাখানোর সময়। এতে করে লুচি বেশ কিছুটা ফুলে যায় এবং দেখতে সুন্দর লাগে। আর মাংস দিয়ে লুচি তো আমার বরাবরই খুব পছন্দের খাবার।
বেকিং সোডা দিলে আরো অনেক বেশি ফুলে। সত্যিই তো মাংসের সাথে লুচি অনেক মজা। ধন্যবাদ আপনাকে।
লুচি বানানো আসলেই খুব সহজ আবার সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন না করলে ঠিক ততটাই শক্ত। লুচির ময়ামটা ভীষণ প্রয়োজনীয় একটা বিষয় ভালো লুচি বানানোর জন্য। আমি লুচি বানানোর সময় ময়ামে অল্প চিনি দি। অল্পচিনি সবসময়ই টেস্ট ব্যালেন্স করে।আর লুচি মাংস, আলুর দম, আলুপোস্ত দিয়ে খাসা লাগে খেতে।
ঠিক বলেছেন দিদি লুচি বানানো আসলে সহজ কিন্তু সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন না করলে ততটাই কঠিন। মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।