বিয়ের অনুষ্ঠানে কিছু ক্ষণ ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্টঃ
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছে একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো বিয়ের অনুষ্ঠানে কিছুক্ষণ। আসলে আমার এক ভাইয়া মানে আমার হাসবেন্ড এর বন্ধু ঢাকায় থাকে।কিন্তু তার মা বাবা ও ছোট বোন সবাই মিলে গ্রামে থাকে। তার বোনের আজ বিয়ে,তাই আমাদের সবারই দাওয়াত করেছিল। আমি প্রথমে যেতে রাজি ছিলাম না, তারপর আপনাদের ভাইয়া বলল তুমি না গেলে আমি ও যাব না। তারপর আর কি করা, বন্ধুর বাড়িতে যদি না যায় তাহলে কেমন হয়।আসলে দাওয়াত রক্ষা করা সবচেয়ে বড় কথা। প্রথমে রাজি ছিলাম না, বিধায় যেতে দেরি হয়েছে। আমরা মনে হয় অনুষ্ঠানের শেষে খেয়েছি।শুধু বর পক্ষের লোকজন বাদে।তো চলুন শুরু করে আমার আজকের পোস্ট।
আসলে আমাদের বাড়ির থেকে কয়েক বাড়ির পরে একটা বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। আমাদের বাড়ির সব লোকজনকে বলেছিল তবে তেমন কেউ যায়নি। তবে আমার হ্যাসবেন্ট এর বন্ধুর বোনের বিয়ে ছিল।তবে কেউ না গেলে আমাদের তো যেতেই হবে।আপনাদের ভাইয়ের বন্ধু বারবার ফোন দিয়েছিল আমাদের তারাতাড়ি যেতে। যাইহোক আমরা রেডি হয়ে যেতে যেতে প্রায় তিনটা বেজে গিয়েছিল।
তারপর আমরা অনুষ্ঠানের বাড়ি পৌঁছালাম। তারপর সাইঈ ভাই বলল তোমরা সবাই আগে গিয়ে খেতে বস। আসলে সাঈদ ভাই হচ্ছে আমার হাসবেন্ড এর বন্ধুর নাম।তারপর আমরা সবাই মিলে খেতে বসে গেলাম। আমরা গিয়েছিলাম পাঁচ জন। আমি ও আমার হাসবেন্ট,আমার দুই মেয়ে ও আমার দেবরের ছেলে।আসলে আমার দুই মেয়ে ও আমার দেবরের ছেলে একই বয়সের।উনারা যখন রোস্ট দিচ্ছিল তখন আমার ছোট মেয়ে রিমি ও আমার দেবরের ছেলে সাদিদ দুজনে মিলে বলেছিল, রিমি বলে আমাকে আগে দিতে আর সাদিদ বলে আমাকে আগে দিতে। কি আর করা উনারা রিমির প্লেটে আগে দিয়েছিল আর সাথে সাথে সাদিদি রিমির প্লেট থেকে রোস্ট নিয়ে নিল।এদিকে রিমি আর সেই প্লেট নেবে না। যাইহোক তারপর সবারই প্লেটেই রোস্ট দিয়েছিল। আসলে বাচ্চা বলে কথা। অবশেষে ভালো ভাবেই খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম।
আমরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে তারাতাড়ি স্টেজ থেকে বেরিয়ে পড়লাম। আমরা যদি ও বেশি দেরি করিনি। তবে যতক্ষণ ছিল বর আসেনি।খাওয়া শেষ হলেই আমরা রাস্তার সাইডে নদীর দিকে সুন্দর বসার ব্যবস্হা রয়েছে। নদী থেকে উপর পর্যন্ত সিঁড়ি রয়েছে।
আমার বাচ্চারা সবাই মিলে সিঁড়ি দিয়ে উঠা নামা করছে।আসলে নদীর পাশেই সিড়ি তাই অনেক ভালো লেগেছে।এই সিঁড়ি দেখার জন্য আমি মেইন গেটের ছবি তুলতে পারিনি।
আমরা চলে আসার সময় রাস্তা পাশে একজন বাদাম বিক্রি করেছিল। সেটা চোখে পড়ল বাচ্চাদের। তারা বাদাম কিনবে তবে খাবে না, বাড়িতে নিয়ে আসবে। অবশেষে কিছু বাদাম কিনা হলো, তবে বাদাম গুলো আমাকেই বহন করে নিয়ে আসতে হলো।যাইহোক সব কিছু অনেক ভালো ভাবেই ইনজয় করেছিলাম। আসলে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আশাকরি আপনাদের ও ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
বিয়ে বাড়িতে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন এবং সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আর বাচ্চারা বাদাম কিনার জন্য জেদ করেছিল আপনি তাদের বাদাম কিনে দিয়েছেন এবং শেষে আপনাকে সেগুলো বহন করতে হয়েছিল। আসলে আপু বাচ্চারা এমনই কোন কিছু খাবেনা কিন্তু কেনার সময় ঠিকই বায়না করবে। ধন্যবাদ আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।
জি আপু অনেক ভালোই লেগেছিল।আসলে বাচ্চারা এমনি খাবে না, তবে যা দেখবে তাই কিনবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি আপু অনেক সময় দাওয়াত রক্ষা করার জন্য বিয়ে কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতে হয়। মন না চাইলেও মাঝে মাঝে ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েও বিয়ের অনুষ্ঠানে এটেন্ড করতে হয়। আসলে মাঝে মাঝেই এমনটা হয়। তবে ভালো হয়েছে গিয়েছেন। বাচ্চারা নিশ্চয়ই খুশি হয়েছে। বিয়ের মৌসুমে চারপাশে বিয়ের ধুম পড়েছে। ভালো লাগলো আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে।
জি আপু অনেক সময় দাওয়াত রক্ষা করার জন্যই যেতে হয়,আসলে চারদিকে বিয়ে ধুম পড়েছে। ধন্যবাদ আপু।
বিয়ের দাওয়াত খেতে খুব মজা লাগে । আর গ্রামের বিয়ে হলে মজাটা একটু ভিন্ন হয়। সমিয়ানার নিচে খাওয়া দাওয়া, বর কনের বাহিরে বসার জায়গা এগুলো আনন্দ করা যায়। আপনারা সবার শেষে গিয়েও ভাল আপ্যায়ন পেয়েছেন। বাচ্চারা ফার্স্ট সেকেন্ড নিয়ে ঝগড়া করে এগুলো মজাই লাগে। ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া সব কিছু ভালোই ছিল তবে আমি বেশি ঘুরতে পারিনি। আর বাচ্চাদের কাজ শুধু ঝগড়া করা। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু অনেক সময় মানুষের কথা রাখতে অনেক জায়গায় ইচ্ছা না থাকলেও যেতে হয়। যাইহোক আপনি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন শুনে বেশ ভালো লাগলো।বিয়েতে একটু আনন্দটা বেশি হয়। আপনার বেশ ভালই আনন্দ করেছেন সেখানে। খাওয়া-দাওয়া টা বেশ জমিয়ে করেছেন দেখছি। আসলে বিয়ে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া বেশ ভালই হয়ে থাকে।
জি ভাইয়া বিয়ে বলে কথা খাওয়া দাওয়া তো ভালোই হবে, ঠিক বলেছেন ইচ্ছে না থাকলেও অনেক সময় যেতে হয়।ধন্যবাদ আপনাকে।