ফটোগ্রাফি পোস্ট ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
প্রতিদিনের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোষ্টটি হলো কয়েকটি ফটোগ্রাফি পোস্ট । ফটোগ্রাফি করতে আমরা অনেক ভালো লাগে।তাই তো মাঝে মাঝে আপনাদের মাঝে হাজির হয় ফটোগ্রাফি নিয়ে। আসলে আমাদের চার পাশে অনেক কিছু রয়েছে। যা আমরা কখনো কাজ থেকে অনুভব করে দেখিনা। আমার
একটি বাগান রয়েছে। বাগানে কয়েক প্রকার সবজি ও ফল গাছ রয়েছে।সবজিগুলো যেমন তাজা ও খেতে অনেক সুস্বাদু। কারণ নিজের হাতে তৈরি করা সবজিতে এখানে সার নেই বলে চলে।আর চার পাশে রয়েছে নদী। নদীতে বিকাল হলে দেখা যায় হাজার মানুষের সমোহার।গোধূলির বেলায় ঘুরতে কার না ভালো লাগে।।তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখো নেওয়া যাক আমি কি কি ফটোগ্রাফি করেছি।
ফটোগ্রাফি -১
এটি হচ্ছে চালকুমড়া ফুল। আমরা যারা গ্রামে থাকি তারা হয়তো সবাই এই ফুলের সাথে পরিচিত।সকালে আমি যখন বাগানে গিয়েছিলাম দেখতে পেলাম অনেক চালকুমড়া ফুল ফুটেছে।দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। তাই আমি একটা ছবি তুলে নিলাম।
ফটোগ্রাফি -২
কামরাঙা অনেক ভালো একটা ফল।আমার বাড়ির ওঠানের সামনে একটা কামরাঙা গাছ রয়েছে। অনেক কামরাঙা ধরেছে।কামরাঙা গুলো খেতে অনেক মজা। কামরঙায় অনেক পুষ্টি গুণ রয়েছে। যেমন প্রতি ১০০ গ্রাম কাম রাঙায় আছে ৫০ কিলো ক্যালোরি,খাদ্য শক্তি ০.৫ গ্রাম, প্রোটিন ০.১ ফ্যাট ইত্যাদি । এছাড়া ও কামরাঙায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ।
ফটোগ্রাফি -৩
এই ফল আমরা সবাই চিনি।এখন আমড়ার সিজন। আমড়া বিভিন্ন ভাবে খাওয়া হয়। আমড়ায় রয়েছে প্রচুর উপকার।যেমন হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।যাদের হজম শক্তি দুর্বল তাদের প্রতিনিয়ত আমড়া খাওয়া উচিত । ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে। আমড়া সমস্যা থেকে দূরে রাখে অনেকটাই।
ফটোগ্রাফি -৪
এটা হলো হলুদ গাছের ফুল। হলুদ আমদের অনেক কাজে লাগে।হলুদ ফুল গুলো দেখতে অনেক সুন্দর। আমার বাগানের পাশে কিছু হলুদ গাছ রয়েছে। গাছে বেশকিছু ফুল ধরেছে। ফুল গুলো দেখতে অনেক চমৎকার। আমরা ছোটবেলায় হলুদ ফুলের পানি মুখে নিতাম।
ফটোগ্রাফি -৫
এই গাছটির সাথে আমরা হয়তো সবাই কমবেশি পরিচিত।এটি হলো মালতা গাছ।আমার বাগানে বেশকিছু মালতা গাছ রয়েছে। গাছে অনেক মালতা রয়েছে।তবে মালতা গুলো এখনো খাওয়া হয়নি। কেমন হবে জানি না।মালতা গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ফটোগ্রাফি -৬
আমাদের বাড়ির পাশেই রয়েছে নদী।নদীতে অনেক পানি বেড়েছে। আমাদের এপার ও পারের যাবার কোন সাকো বা ব্রিজ নেই। নৌকা ও সব সময় পাওয়া যায় না।।এখন নদীতে একটা ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছে।কাজ করার জন্য লোকজনের সব সময় নদীর এপার ওপার যেতে হয়।তারা পার হওয়ার জন্য নদীর দুপাশে রশি বেঁধে এভাবে পারাপারের জন্য একটা জিনিস তৈরি করে নিয়েছে।
ফটোগ্রাফি -৭
এটি হচ্ছে আমার বাগানের লাউ গাছের ছবি। লাউ গাছে মাএ বাউনি ধরেছে। আশাকরি কিছু দিনের মধ্যেই লাউ ধরবে।লাউয়ের শাক খেতে অনেক মজা। আমি মাঝে মাঝে তুলে এনে খাই।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেশান | লিংক |
আজ এখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য সময় অন্য কোন লেখা নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্হ্য থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।
ইস নদীর পাড়ে যদি আমার বাড়ি হতো তাহলে ভালো হতো। গোধূলি বিকেলে হাঁটতে বের হতে পারতাম। যাই হোক আপু এই নদীটির নাম কি? আর মনে হচ্ছে এটি কোন নদীর ছোট শাখা।
জি আপু এটা হলো কুমার নদী,মাঝে মাঝে হাটতে চলে আসবেন হাহাহা। ধন্যবাদ
আপু আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখতে সুন্দর লাগছে। তবে আমার কাছে আমড়ার ফটোগ্রাফি দেখে জিভে জল চলে এলো। ইচ্ছে করছে এখনই গাছ থেকে পেরে নিতে। আপনার বাগানে তো দেখছি অনেক সুন্দর ফল রয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ।
সত্যি আপু বাগানের ফল ও সবজি গুলো অনেক ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
ঝোলঠিকই বলেছেন আপনি নদীর পাড়ে গোধূলি বেলায় ঘোরার মজাটাই আলাদা। আমি যদি এরকম একটু ঘুরতে আসতে পারতাম খুবই ভালো লাগতো। আর নিজের গাছের তরতাজা এবং সারবিহীন সবজি ও ফল খেতে সবার কাছে ভালো লাগবে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছে। তবে হলুদ গাছের ফুল আগে সামনাসামনি কখনো দেখিনি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এবং চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু সময় করে চলে আসবেন। সারবিহীন সবজি ও ফল দুটি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। ধন্যবাদ
বাহ! আপু বেশ দারুন দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন তো দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আর আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের চারপাশে অনেক কিছুই রয়েছে যা আমরা ভালোভাবে অনুভব করি না। একটু ভালো করে খেয়াল করলেই অনেক চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি করা যায়। তবে আপু আপনার জন্য আমার একটা পরামর্শ থাকবে আপনি আপনার পোস্টের মার্ক ডাউন গুলো ব্যবহার করে পোস্টটাকে আরো সাজিয়ে তুলতে পারতেন।
মন্তব্য জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনার মতো আমার ও ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই সুন্দর লেগেছে।কুমরা ফুলটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার উঠানের কামরাঙা ফল দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ
সত্যিই আপু গোধূলি বিকেলে নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা। আপনার বাগানের কামরাঙ্গার ফটোগ্রাফিটি দেখতে খুবই সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। একেবারে একটি ডালে একগুচ্ছ কামরাঙ্গা। পাশাপাশি চাল কুমড়ার ফুলের ফটোগ্রাফিটি অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। তবে লাউ গাছের ফটোগ্রাফিটি আমি তো প্রথমে ভেবে নিয়েছিলাম এটা করলা গাছের ফটোগ্রাফি😄।
জি ভাইয়া গোধূলি বিকেলে নদীর পাড়ে ঘুরতে সত্যি ভালো লাগে। ধন্যবাদ
আপু আপনার বাড়িতে তো অনেক ধরনের ফল গাছ আছে। কামরাঙ্গা,মালটা,আমড়া যা দেখে আমার আপনার বাড়িতে বেড়াতে যেতে মন চাইতেছে। আপনি কামরাঙা ও আমড়ার পুষ্টিও খুব ভালভাবেই বনর্না করেছেন। গাছের নিচে ছোট ছোট দুইটি ঘর দেখলাম এগুলো কিসের আপু...........?
এগুলো হাঁস ও মুরগির ঘর। সময় করে চলে আসবেন। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য