বাচ্চাদের জোলাপাতি দেখার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
বাচ্চাদের জোলাপাতি দেখার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ সকাল থেকে কারেন্ট নেই তারপর অনেক গরম সব কিছু মিলে বেশ ঝামেলায় আছি। তারপর বাচ্চারা অনেক জ্বালায় ।আসলে গরমে কোন কিছু ভালো লাগে না।যাইহোক আজ দুপুরে রান্না শেষ করে আমি যখন গোসল করতে যাব ঠিক তখনি দুই মেয়ে এসে বললো আম্মু আমরা জোলাপাতি করবো।আসলে আমি ভেবেছিলাম মুখে বলেছে কিন্তু কখনো করবে না। তবে এখনকার বাচ্চারা জোলাপাতি কি জিনিস আসলে বুঝে না তবে আমরা কিন্তু ছোট বেলায় অনেক জোলাপাতি করেছি।সত্যি বলতে আমার মেয়ে ও জোলাপাতি কি জিনিস কখনো বুঝেনি।তবে আজ হঠাৎ যখন দুপুরে আমাকে এসে বললো তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম কোথা থেকে শুনেছো এই কথা। তখন আমার বড় মেয়ে বললো গতকাল আমার বান্ধবীরা ব্রিজের ওপর জোলাপাতি করেছে।তাই আমি ওদের বলেছি আমাদের সাথে এসে জোলাপাতি করার জন্য। একথা শোনে আমাুর অনেক রাগ হচ্ছে। আসলে কারেন্ট নেই অতিরিক্ত গরম বাচ্চাদের এই সকল আবদার ভালো লাগে না।যাইহোক আমি রাগ করাতে তারা চলে গেল। কিছু সময় পরে তার বাবা আসলে তারা তার বাবার কাছ থেকে চাল আলু পাতিল আরো অনেক কিছু নিয়ে গেল।সব কিছু নিয়ে গিয়েছে দেখে আমার অনেক রাগ হলো আপনাদের ভাইয়ের ওপর। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমি সব কাজ সেরে যখন বাচ্চাদের খাবার জন্য খুজতেছি ঠিক তখন ওর বাবা বলতেছে ওরা জোলাপাতি করছে।আসলে আমি রাগ করবো তাই আমাকে আর বলেনি।এ কথা শোনে আমি তারাতাড়ি গেলাম বাচ্চাদের খুজার জন্য। তারপর গিয়ে দেখি তারা পাতিলে চাল ধুয়ে জ্বাল ধরিয়ে নাচছে। তবে জ্বাল ভালো ভাবে ধরাতে পারেনি।তারপর আমার এক ভাতিজি তাদেরকে রান্নায় সাহায্য করছে।ভাতিজি ঢাকায় থাকেন ঈদে বেড়াতে এসেছে। তার মেয়ে ও আমার মেয়েদের সাথে জোলাপাতি করবে।আমি মনে মনে অনেক রাগ করে গিয়েছিলাম কিন্তু ওখানে যাবার পরে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল।মনে পড়ে গেল সেই শৈশবের স্মৃতি গুলো।
তারপর দেখলাম বাচ্চারা চাকু দিয়ে আলু কাটছে।তখন ভাবলাম ওদের একটু সাহায্য করি।তারপর আমি আলু গুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে দিলাম। আর বাচ্চাদের বললাম তোমরা একটু বস। আসলে অনেক গরম কিন্তু বাচ্চাদের এমন আনন্দ দেখে আর বসে থাকতে পারলাম না। তারপর সবাই সারি ধরে কলার পাতা নিয়ে বসে পড়লো।সত্যি বলতে আমরা আগে মাঝে মাঝে এভাবে কলার পাতায় খেতাম কিন্তু এখন বাচ্চাদের কলার পাতায় খাওয়া তেমন দেখা যায় না। তবে কলার পাতায় খাওয়ার মজাই আলাদা।
তারপর আমি আলু গুলো ভেজে দিলাম। আসলে আমার মেয়ে আলু ভাজি অনেক পছন্দ করে। ভাত ও আলু ভাজি রান্না শেষ হলে তারা সবাই কলার পাতায় এভাবে নিয়ে বসলো।আসলে আলু ভাজির সাথে একটু ডাল লাগবে।সত্যি খাবার দেখে আমার কাছে ভালো লেগেছিল।
তারপর সবাইকে খাবার দিয়ে পাশে বসে রইলাম। তখন আমার ছোট মেয়ের জন্য আবার একটু ডাল নিয়ে দিতে হলো।প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো তারা খাবে না কিন্তু সবাই মিলে বেশ ভালোই খেয়েছিল।সত্যি এই আনন্দ প্রকাশ করা অনেক কঠিন। আমরা ও ছোট বেলায় এমন অনেক জোলাপাতি করেছি। আজ আমার মেয়েদের জেলা পাতি করা দেখে অনেক ভালো লেগেছে। সত্যি আমরা বেশ ভালো এত সময় কাটিয়েছি গরমের মধ্যে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1805936353332678728?t=3tkhBazu0jIagosMeiOmiw&s=19
জোলাপাতি নামটি আজকে প্রথম শুনলাম আপু। তবে আমরা সাধারণত পিকনিক বলি। ছোটবেলায় এরকম অনেক রান্না করতাম। বাসা থেকে ডিম নিয়ে যেতাম আর দুমুঠো চাল নিয়ে যেতাম। সেই সময়গুলো হারিয়ে গেছে আপু। এখনো মনে পড়ে সেই স্মৃতিগুলো।
পোস্ট পড়ে গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার পোস্টটি দেখে শৈশবে ফিরে গেলাম। ছোটবেলা এভাবেই জোলাপাতি করতাম এবং সবাই মিলে খেতাম। তখনকার আনন্দটা সত্যি দারুন ছিল। আপনি খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটা স্টেপের মধ্য দিয়ে স্মৃতিগুলো দারুণভাবে তুলে ধরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
জোলাপাতিকে আমাদের এলাকায় আগের দিনে চড়ুইভাতি বলতো আপু।আসলে বাচ্চাদের এই জোলাপাতি ভীষণ পাছন্দের। আমার মেয়ে তো শীত এলেই দলবল দিয়ে পিকনিক খায়।ডিম দিয়ে খায় বেশি।আপনার মেয়েরা মজাদার আলু ভাজা করে খাচ্ছে দেখছি।ডিম থাকলে আরোও মজা পেতো খেয়ে।ধন্যবাদ চমৎকার পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জি আপু তবে বাচ্চারা ডিম পছন্দ করে না,ধন্যবাদ আপনাকে।