ফিরিয়ে পাওয়া ভালোবাসা প্রথম পর্ব||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
source
ফিরিয়ে পাওয়া ভালোবাসা
ফয়সাল ও এনি দুজনে একই ক্লাসে পড়তো।দুজনের বাড়ি নদীর এপাড় ওপাড়। ফয়সালরা ছিল তিন ভাই ও একবোন। ফয়সাল ছিল ভাইদের মধ্যে দ্বিতীয়। ফয়সালের বাবা ছিল একজন কৃষক। তাদের পরিবার কোন রকম চলতো। ফয়সাল চার ভাই বোন লেখাপড়া করতো।তবে তার বাবার পক্ষে সংসার চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছিল। ফয়সাল তখন ক্লাস থ্রিতে পড়ে। ফয়সাল অনেক মেধাবী স্টুডেন্ট। তার মেধার কাছে যেন ক্লাসের সবাই হার মানে। এনিরা ছিল তিন বোন। এনি ছিল দ্বিতীয়।
এদিকে এনি ও ক্লাস থ্রিতে পড়ে। এনি আবার ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী। এনির বাবা আবার অনেক বড়লোক। ফয়সাল ক্লাসে সবচেয়ে ভালো স্টুডেন্ট আর এনি অনেক সুন্দর এদিক দিয়ে দুজনের অনেক বন্ধুত্ব। এভাবেই চলতে লাগল ওদের জীবন। আসলে ওরা ক্লাসের প্রথম দিন থেকে একজন আর একজনকে পছন্দ করে।প্রথম পছন্দ ছিল অন্য রকম আস্তে আস্তে তা ভালোবাসায় পরিণত হয়। এভাবে ফয়সাল ফাইভ পাশ করলো টেলেন্ট ফুলে বৃত্তি পেয়ে আর এনি মোটামুটি ভাবে পাশ করলো। এখন ফয়সাল জিলা স্কুলে চান্স পেল কিন্তু সে জেলা স্কুলে ভর্তি হলো না শুধু এনির জন্য। আসলে ওরা দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসে। তারপর দুজনে একটা নরমাল হাই স্কুলে ভর্তি হলো। আসলে ফয়সাল ভালোবাসার জন্য এতোটা ছাড় দিল।
এভাবে দুজনে পড়াশোনা করতে লাগল । তবে ফয়সাল তার পড়াশোনার কোন কমতি রাখেনি সাথে এনিকে অনেক সাহায্য করে পড়াশোনার জন্য। এদিকে ফয়সালের বড় ভাই পড়াশোনা বাদ দিয়ে বাবার সাথে কৃষি কাজ করতে লাগলো। ফয়সাল বৃত্তির টাকা দিয়ে সব খরচ চালাতে লাগলো। ফয়সালের বোনটার ও বিয়ে হয়ে গেল। ফয়সালদের সংসার মোটামুটি চলে। এভাবেই তারা চলতে লাগল। ফয়সাল সকাল স্কুলের স্যারের কাছে ও বিকেলে স্কুলে প্রাইভেট পড়ে কিন্তু এনির বাবা বাড়িতে টিচার রেখে দিয়েছে।তাই তাদের ক্লাস টাইম ছাড়া অনেক কম দেখা হয়। তারা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। এখন ফয়সাল আবার বৃত্তি পাওয়ার জন্য অনেক পড়াশোনা করতে লাগল, কারণ ফয়সাল জানে সে বৃত্তি না পেলে আর পড়াশোনা করা সম্ভব নয়। এই পড়াশোনার জন্য ফয়সালের সাথে এনির আর আগের মতো যোগাযোগ হয়। শুধু ক্লাসে টুকিটাকি কথাবার্তা আরকি।
এদিকে এনি ও ফয়সালকে টাকা পয়সা দিতে চায় কিন্তু ফয়সাল নেই নি। তারপরেও এনি খাতা কলম সব দেয় ফয়সালকে। আবার প্রতি দিন টিভিন খাওয়ার টাকা দেয় । ফয়সাল অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক সময় এনির থেকে টাকা নেই। কারণ সে নিরুপয় হয়েই এই টাকাগুলো নেই। যাইহোক তারা যখন ক্লাস নাইনে উঠলো তখন ফয়সাল সাইন্স নেবে না শুধু টাকা পয়সার কথা চিন্তা করে। সে আবারো এইটে বৃত্তি পেয়েছে কিন্তু বৃত্তির টাকা দিয়ে তার সম্পন্ন খরচ চলে না। তখন এনি ফয়সালের পাশে এসে দাঁড়ালো বলল যেভাবেই হোক না কেনো তুমি সাইন্স নেবে আমি তোমাকে সাহায্য করবো।এনির উপর ভরসা রেখেই ফয়সাল সাইন্স নিল। আসলে এনি ফয়সালকে অনেক ভালোবাসে, তবে ফয়সাল ও কিন্তু কম নয়। ফয়সালের লক্ষ হলো সে জীবন অনেক বড় হবে। আর বড় না হলে এনির বাবা তাদের মতো কৃষক পরিবারে মেয়ে দেবে না।যাইহোক তাদের মিষ্টি প্রেমের মাঝে পড়াশোনা ঠিক ছিল। এভাবে দেখতে দেখতে তাদের এসএসসি পরিক্ষা চলে আসলো। যখন তারা এসএসসি পরিক্ষা দেবে তখন এনির বাসার লোক জন ফয়সালের আর এনির বিষয়টা জেনে গেলে। তখন এনির বাবা আর এনিকে বাসা থেকে বের হতে দেয় না। ফয়সাল পড়ে গেল অনেক চিন্তায় এদিকে এনি না দেখা আর অন্য দিকে পরিক্ষা নিকটে।যাইহোক গল্পটা আজকের মতো এখানেই শেষ করলাম আবার আসবো এর পরবর্তী পর্ব নিয়ে। (চলবে)
আজ এই পর্যন্তই। গল্পটি ভালো লাগলে আবার আসবো নতুন কোন গল্প নিয়ে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
এমন একটি মুহূর্তে গল্প শেষ করে দিলে কি ভালো লাগে। যেন মনের মধ্যে একটি টান টান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল কিন্তু এমন একটা মুহূর্ত যখন বাড়িতে জানাজানি হয়ে গেল এনির আর ফয়সালের ভালোবাসার কথা তখনই এনির বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ হয়ে গেল। তবে যাই হোক সামনে দিনের গল্পটি পড়ার প্রত্যাশায় রইলাম।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। অপেক্ষা করুন পরবর্তী পর্বের জন্য।
বাহ বাহ, তারা তো দেখছি পিচ্চি প্রেমিক প্রেমিকা। ক্লাস থ্রি থেকেই তাদের ভালো লাগা ভালোবাসা শুরু হয়ে গেল। যাইহোক এমন গল্পগুলো অর্ধ ভাগ পড়ার পর বেশ উত্তেজনাপূর্ণ লাগে। কারণ পুরো গল্পটি পড়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ ব্যাপার জানা হয়ে ওঠে না। তবে খুব সুন্দর লিখেছেন আপু। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
ফিরিয়ে পাওয়া ভালোবাসা গল্পের আজকের প্রথম পর্ব ভরে খুব ভালো লাগলো। গল্পটি বেশ রোমান্টিক টান টান উত্তেজনাপূর্ণ । ছোটকাল থেকে একে অন্যকে ভালবাসে। ফয়সালে পরবর্তীতে কি হলো জানার জন্য খুবই ইচ্ছে জাগছে। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া অপেক্ষা করুন পরবর্তী পর্বের জন্য সব জানা যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ক্লাস থ্রি থেকেই ফয়সাল আর এ্যানির মিষ্টি প্রেমের গল্প শুরু হয়ে গেছে। এ্যানি যে ভাবে ফয়সালকে সাহায্য সহযোগিতা করছে ফয়সাল শেষ পর্যন্ত সেটা মনে রাখলেই হয়। দেখা যাক পরের পর্বে কি আসে। ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া গল্পটা অনেক মিষ্টি, অপেক্ষায় থাকেন পরবর্তী পর্বের জন্য।