সাবেক মন্ত্রী খন্দকার ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের বাড়ি ঘোরাঘুরি শেষপর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
সাবেক মন্ত্রী খন্দকার ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের বাড়ি ঘোরাঘুরি শেষ পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে ঘুরতে কার না ভালো লাগে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই তো সময় পেলেই ঘুরতে যায় যদিও সব সময় ইচ্ছা থাকলেও যেতে পারি না। যাই হোক বেশ কিছুদিন আগে আমরা সাবেক মন্ত্রী খন্দকার ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে গিয়েছিলাম ঘুরতে। আসলে এক সময় এই বাড়িতে অনেক জাঁকজমক ছিল। আসলে রাজনীতি এ মনি জিনিস এক সময় সব আছে অন্য সময় কিছুই নেই। সত্যি বলতে মোশারফ হোসেন আমাদের ফরিদপুরের জন্য অনেক কিছুই করেছিল। যাইহোক রাজনীতির ব্যাপার সেদিকে আমরা না আগাই। তবে তার বাড়িটা কিন্তু অনেক সুন্দর ছিল। আমি প্রথমবার গিয়েছি দেখে অনেক ভালো লেগেছে।যাই হোক তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
আসলে এমন সবুজ প্রকৃতি দেখে মন প্রাণ সত্যি জুড়ে যায়। যেহেতু বিকেলে বেলার দিকে গিয়েছিলাম তাই অনেক ভালো পরিবেশ ছিল। সত্যি বিকেলের পরিবেশ এমনিতে ভালো আর ছিল নাতিশীতোষ্ণ। যে সময় শীত ও গরমের মাঝামাঝি থাকে সেই পরিবেশ আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আসলে মন্ত্রীর বাড়ির ভিতর দিয়ে এভাবে রাস্তা আছে। আমাদের বাচ্চারা ভিতরে রাস্তা পেয়ে মনের আনন্দে ঘুরছে। আমাদের মতো অনেকেই এভাবে ঘুরছে।
মন্ত্রীর বাড়ির সামনে এমন ফুল বাগান, দেখতে অনেক সুন্দর। আসলে বর্তমান মন্ত্রী থাকে না, তারজন্য হয়তো তেমন কড়া শাসন নেই। তবে অন্য জায়গার তুলনায় ফুল বাগানের সামনে মানুষের অনেক ভীর। তবে কেয়ার টেকার কিন্তু ঠিক আছে। কাউকে ফুল ছিড়তে দেওয়া তো দূরের কথা ধরতেও দিচ্ছে না। কেয়ারটেকার বলেছে আপনারা দূর থেকে ফুলের ছবি তুলতে পারবেন কিন্তু ভিতরে যাওয়া নিষেধ। অনেক জায়গা নিয়ে বাড়িটা, চারপাশে সুন্দর সুন্দর সবুজ গাছপালা দিয়ে ভরা সত্যি ঘুরার মতো একটা জায়গা। তবে আমরা আবার যাব ভাবছি পিকনিক করার জন্য।
তারপর সামনে ছাউনি দেখছেন সেখানে গিয়ে বেশ কিছু সময় বসেছিলাম। আসলে আমার জা তো বসে রয়েছে আর সবাইকে বলছে আমার ফটোগ্রাফি করে দেও।আমি আমার জায়ের মতো বসে থাকার সময় পাইনি কারণ আমি চারপাশ ঘুরে দেখছিলাম।সত্যি বলতে এমন জায়গায় ঘুরলে কারো আর আসতে ইচ্ছে করবে না।
আসলে ভিতরে রয়েছে পার্ক। যদিও পার্কের ভিতরে কাউকে যেতে দেয় না।তবে আমাদের ঢুকতে দিয়েছিল পরিচিত একজন। তাই আমরা ভিতরে গিয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি।আসলে পশুপাখি গুলো পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। বাচ্চারা পাখি ও হরিণ গুলো দেখে অনেক খুশি। হরিণ গুলো ক্ষুদার অভাবে আমাদের কাছে এসেছে তবে বাচ্চারা চিপস গুলো হরিণকে দিচ্ছিল। সত্যি এগুলো খাদ্যের অভাবে অনেক কষ্টে আছে।আগে অনেক ভালো ছিল, এখন শুকিয়ে গেছে।
আমার মেয়ে পাখি ধরা চেষ্টা করেছিল।তখন একজন বললো হাত নিয়ে যাবে কিন্তু তাই দূরে চলে এলো।আমরা প্রায় দুই ঘন্টা ঘুরার পরে সন্ধ্যা নেমে এলো।এখন বাড়ি ফেরার পালা। যখন সূর্য ডুবে যাচ্ছে তখন আমরা একটা ফটোগ্রাফি করেনিয়েছি। সত্যি সূর্যের লাল বর্ণ ধারণ করা ফটোগ্রাফি দেখতে অনেক ভালো লাগে। সত্যি আমরা অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
আজকে আপনার মাধ্যমে কিন্তু খন্দকার মোস্তাকের বাড়ি দেখার সুযোগ হল। সেখান থেকে বেশ চমৎকার সব ফটোগ্রাফি ধারণ করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো ফটোগুলো দেখে।
আসলে ভাইয়া বাড়িটা অনেক সুন্দর, ধন্যবাদ ভাইয়া।
যে কোন জায়গায় পরিচিত লোক থাকলে কাজ হয়। এ জন্যই তো সাবেক মন্ত্রীর বাড়ির পার্কে আপনাদের ঢুকতে দিয়েছিল। যেখানে সাধারণ মানুষদেরকে দেয় না।পশু পাখিগুলোর ঠিক মত যত্ন হয় না মনে হয়। তাইতো বাচ্চাদের চিপস খাচ্ছিলো। বেশ ভালোই ঘোরাফেরা করেছেন দেখছি। ভিতরটাও খুব সুন্দর। ভালো লাগলো দেখে।
আসলে পরিচিত লোক থাকলে সব কিছু সম্ভব হয়। গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন এবং যেভাবে আপনি এখানে সময় অতিবাহিত করে আমাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে পোস্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ যেভাবে আপনি ফটোগ্রাফিগুলোর মাধ্যমে বাড়ির অনেক কিছুই শেয়ার করেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ পরিচিত লোক থাকার কারণে আপনাদের ওই পার্কে প্রবেশ করতে দিয়েছে৷ আজকের এই শেষ পর্বের মাধ্যমে খুব সুন্দরভাবে আপনি এই ভ্রমণের সমাপ্তি ঘটিয়েছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আসলে ভাইয়া পরিচিত লোক থাকলে সব সম্ভব, ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
একদম। পরিচিত লোক থাকলে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়।
ঠিক বলেছেন