আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।

বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ এসেছি অন্য রকম একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে মানুষের জীবনের কোন নিশ্চয়তা নেই। আমরা আজ আছি কাল নেই।পৃথিবীটা ক্ষণস্থায়ী। মানুষের জীবন ও অনেক ছোট। কিন্তু এই ছোট জীবনে আমাদের কতো আশা আকাঙ্ক্ষা থাকে বলার মতো নয়। আমরা সবাই পৃথিবীর মায়ায় আবদ্ধ। কিন্তু আমরা কখনো চিন্তা করি না যে আমরা এই পৃথিবীতে দুদিনের অতিথি। আসলে পৃথিবী ছেড়ে আমরা কেউ যেতে চায় না। তবে আমাদের একদিন অবশ্যই চলে যেতে হবে।যে কোন সময় আমরা যে কেউ চলে যেতে পারি। আসলে কয়েক দিন আগে আমার এক চাচাতো ননদ মারা গিয়েছে। তার মৃত্যু সত্যি মেনে নেওয়া কঠিন, আসলে এভাবে কেউ চলে যেতে পারে ভাবা মুশকিল। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

আপার ছিল দুই মেয়ে।দুই মেয়েই বিয়ে হয়েছে। ছোট মেয়ে ডাক্তার । আপা তার ভাই বোনদের বড় ছিল। আসলে ছোটবেলা তাদের মা মারা গিয়েছে আপা তার ভাই বোনদের মানুষ করেছে। তার অবদান বলে শেষ করার মতো নয়।যাইহোক আপার স্বামী ছিলেন একজন ব্যাংকার। তার স্বামী ও অনেক ভালো মনের একজন মানুষ ছিল বিধায় সে তার ভাই বোনদের দেখতে পেরেছে।

যাইহোক গত বৃহস্পতিবারে আপার যাবার কথা ছিল তার ছোট বোনের সাথে তার শশুর বাড়িতে। তার ছোট বোনের শশুর বাড়ির লোকজন তাদের জন্য অনেক রান্না করেছে। আসলে বোনের বাসায় বোন আসলে যা হয় আরকি। আপার সকাল থেকে সকল কাজ কমপ্লিট করেছে বোনের বাসায় যাওয়ার জন্য। বেলা যখন এগারোটা বাজে তখন হঠাৎ তার বুকের ভিতরে ব্যথা উঠল। আসলে আপার হার্টের সমস্যা আগে থেকেই ছিল।তারপর সবাই মিলে তাকে কাছের হাসপাতালে নিয়ে গেল। সেখানে ডাক্তার দেখে বললো আপনারা ফরিদপুর কিংবা ঢাকা নিয়ে যান।

আমাদের বাড়ি যেহেতু ফরিদপুর তাই তারা তারাতাড়ি করে ফরিদপুর হার্ড ফাউন্ডেশনে নিয়ে আসলো । সেখানে ডাক্তার দেখে আপাকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করল।মাত্র ঘন্টা খানেক সময়ের মধ্যে সব যেন শেষ হয়ে গেল।এদিকে আপার অসুস্থর কথা শোনে যে বোনের শশুর বাড়ি যাবার কথা ছিল সেই বোন কান্না করছে। তার কান্না দেখে আমরা সবাই তাদের বাড়িতে ছুটে চললাম। এদিকে আর একটা ফোন এলো সে বলছে আপা মারা গিয়েছে।

এদিকে আপার ছোট বোনের স্বামী ফোন দিয়েই যাচ্ছে। তারপর আমার একজা ফোন রিসিভ করল।তখন ফোনের ওপাশ থেকে বলছে তুমি আপাকে নিয়ে আস না কেন সব কিছু রান্না করা শেষ। এদিকে ফোন আমার জা ধরেছিল। আমার জা বলছে উরাতো চলেগেছে। সে বললো কোথায় গিয়েছে তখন আমারজা বললো আপা মারা গিয়েছে তাই তাকে বাসায় নিয়ে গেছে। এ কথা শোনে সে যেন আকাশ থেকে পড়ল। আসলে এমন মৃত্যু কল্পনা করা যায় না। সত্যি মৃত্যু অনিশ্চিত। তবে এটা আমাদের অবশ্যই মেনে নিতেই হবে। সবাই আপার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আপাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন,আমিন।

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।