হাতে তৈরি সেমাই পিঠা রান্নার রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
হাতে তৈরি সেমাই পিঠা রান্নার রেসিপি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটি রেসিপি নিয়ে। এখন চলছে শীতকাল। আসলে শীত মানে পিঠা খাওয়ার ধুম পরেছে ঘরে ঘরে। আর শীতের জনপ্রিয় পিঠা হলো হাতে তৈরি সেমাই পিঠা। এই সেমাই পিঠা খেতে অনেক মজার। তবে পিঠা তৈরি করতে বেশ ঝামেলা আর সময়ের প্রয়োজন। যাইহোক খেতে মজার হলে একটু কষ্ট তো করতেই হয়। আরো কয়েক দিন আগে আমার মা এই সেমাই পিঠা বানিয়ে দিয়েছে। আসলে আমি সেমাই পিঠা গুলো ফ্রিজে রেখে মাঝে মাঝে কিছু রান্না করি। তাই গতকাল রান্না করেছিলাম অনেক মজা করে খেয়েছি।তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিই। যেই ভাবা সেই কাজ। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
১.দুধ
২.সেমাই
৩.চিনি
৪.গুড়
৫. এলাচ,দারচিনি
প্রথমে আমি দুধ জ্বালিয়ে দিয়েছি। তারপর দুধ নামিয়ে ঠান্ডা করে নিয়েছি।
এখন একটু পানি ও গুড় দিয়ে ভালো করে জ্বালিয়ে দিয়েছি।
গুড় গুলানো হয়ে গেলে তার ভিতরে একটু চিনি, এলাচ, দারচিনি দিয়ে দেব। সকল কিছু দিয়ে আরো কিছু সময় জ্বালিয়ে নেব।
তারপর এভাবে হয়ে আসলে পিঠা গুলো কিছু কিছু দিয়ে নেড়ে চেড়ে নেব। এভাবে বেশ কিছু সময় রান্না করে নেব।
সব পিঠা গুলো দিয়ে নেড়ে একটু সময় রান্না করে নেব। ব্যাস এভাবে হয়ে আসলে পিঠা গুলো নামিয়ে নেব।
এখন একটা প্লেটে তুলে গরম গরম পরিবেশন করব। বেশ মজা করে খেয়েছি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।আমার কাছে নতুন নতুন ডাই ও ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। ।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করি।
ঠিক বলেছেন আপনি শীতে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়েছে ঘরে ঘরে।আর মজাদার পিঠা খেতে চাইলে তো কষ্ট করতেই হয়।চমৎকার লোভনীয় এই হাতে তৈরি সেমাই পিঠা।পিঠা গুলো দেখে তো খেতে মন চাচ্ছে। পিঠা তৈরি পদ্ধতি দারুণ করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় পিঠা রেসিপি টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু পিঠা গুলো অনেক মজার খেতে, ধন্যবাদ আপু।
ইস্ আপু আপনার রেসিপি দেখে তো মায়ের কথা মনে হয়ে গেল। সেই ছেলেবেলায় মা কত মজা করে এমন করে সেমাই রান্না করতো। আর আজ আপনার রেসিপি দেখেই বুঝা যাচেছ যে সেমাই বেশ মজাদার হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ আপু
শীতের সময়টাতে নানা রকমের পিঠা খাওয়া হয়।তবে এই সেমাই পিঠা না খাওয়া হলে আমার মনে হয় শীতটাই মাটি।এই শীতে সেমাই আর দুধ পুলি পিঠা না খেতে পারলে চলবেই না।আমি এখন ও এই শীতে সেমাই পিঠা করে খেতে পারিনি আপু।আপনার পিঠা দেখে আমার লোভ লেগে গেলো।এখন তো দেখছি সেমাই বানাতেই হবে।মজার রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি।এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দু:খিত আপনি খেতে পারেননি জেনে অনেক খারাপ লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
সেমাই পিঠা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে৷ এগুলো অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে৷ আজকে যেভাবে আপনি এটি তৈরির রেসিপি শেয়ার করেছেন তা একদমই অসাধারণ দেখা যাচ্ছে এবং এটিকে এখনি এখান থেকে নিয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। ৷
ধন্যবাদ ভাইয়া প্রশংসনীয় মতামতের জন্য।
শীতকাল মানে যেন পিঠাপুলির উৎসব। শীতকাল আসলেই এই ধরনের জিনিস খাওয়া সব থেকে বেশি পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায়। আপনি যে পদ্ধতি ব্যবহার করে সেমাই রান্না করেছেন সেটা আমার খুবই প্রিয় একটা পদ্ধতির। এভাবে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে।
শীতকালে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আর শীতকালে কম বেশি সবাই বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেয়ে থাকে। আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে সেমাই পিঠা রেসিপি করেছেন। আপনার সেমাই পিঠা রেসিপি দেখে আমার নিজেরও খেতে মন চাইতেছে। তবে এই ধরনের রেসিপি খাওয়ার মজাই আলাদা। সেমাই পিঠা রেসিপি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন।
জি আপু আপনি ঠিক বলেছেন এই পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা, ধন্যবাদ আপু।
সেমাই পিঠা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর শীতকালে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে এই পিঠাগুলো যদি সুন্দর করে রান্না করা হয় খেতে খুব মজা লাগে। সত্যি আপনার রেসিপিটি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আর এই পিঠাগুলো রেডি করে ফ্রিজের মধ্যে রাখলে অনেক দিন পর রেডি করে খাওয়া যায়। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।