কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি পোস্ট
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি পোস্ট
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আমি সব সময়ই চেষ্টা করি সপ্তাহে একদিন হলে একটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। তাই তো আজ ও এসেছি কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি নিয়ে। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাই সব সময় চেষ্টা করি ভালো কিছু দেখলে ফটোগ্রাফি করার জন্য। সত্যি বলতে আমি আজ বেশ কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি নিয়ে এসেছি। আসলে সব খাবার আমার তৈরি তা কিন্তু নয়।আমরা মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গা থেকে খেয়েছি সেগুলোর বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমি করেছিলাম। সে ফটোগ্রাফি গুলো থেকে আমি কয়েকটি ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করব।আসলে এমন খাবার সবারই অনেক পছন্দ হবে বলে আমি মনে করি। যাইহোক তাহলে চলুন দেখে আসি আমি কি কি খাবারে ফটোগ্রাফি নিয়ে এসেছি।
ধাপ-১
এই খাবারটি হয়তো আমরা অনেকেই চিনি। আসলে এটি হলো মোগলাই । মোগলাই আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার । তবে বাচ্চারা সব সময় খেতে চায় না। তাই কয়েক দিন আগে ভাইয়ের মেয়ে দেখতে গিয়ে আমরা তিন ভাইবোন মিলে মোগলাই খেয়েছিলাম। তাই ফটোগ্রাফি করে নিয়েছে আসলে মোগলাই অনেক মজার ছিল।
ধাপ-২
এগুলো হয়তো আপনারা সবাই খেয়ে থাকেন। অনেক মজার খাবার রসগোল্লা । যারা মিষ্টি পছন্দ করে তারা সবাই রসগোল্লা ও অনেক পছন্দ করে থাকেন। আপনাদের ভাইয়ের কিন্তু রসগোল্লা অনেক পছন্দ। কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়িতে এনেছিল তাই ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম। সত্যি অনেক মজার খাবার।
ধাপ-৩
এগুলো আমাদের বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় খাবার। আসলে এই ডিমের কোরমা আমাদের সবারই পছন্দ। তবে সব সময় তো আর রান্না করা হয় না। কয়েক দিন আগে যখন আমাদের বাসায় মেহমান এসেছিল তখন রান্না করেছিলাম। অনেক ভালো লেগেছিল।
ধাপ-৪
এগুলা আমরা সবাই চিনি। এগুলো হলো বাচ্চাদের সবচেয়ে প্রিয় খাবার। আসলে সব বাচ্চারা রোস্ট অনেক পছন্দ করে।আমার দুই মেয়ের অনেক পছন্দ । তাই কয়েক দিন আগে বানিয়েছিলাম । বেশ মজার খাবার।
ধাপ-৫
এগুলো হয়তো অনেকেই চেনে, এগুলো হলো মালাই চা। আসলে আমাদের পাশের একাকায় এই মালাই চা বিক্রি করে।আমি একটা কাজের জন্য গিয়েছিলাম। তাই মালাই চা দেখে আমরা সবাই মিলে এক কাপ করে খেয়েছি। অনেক মজার যদিও দাম নিয়েছিল ৮০ টাকা কাপ।
ধাপ-৬
এগুলো হলো আমাদের ফরিদ পুরের বিখ্যাত বেল পুরি। আসলে আমি বেল পুরি তো অনেক খায় তবে এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আসলে কয়েক দিন আগে আমরা দুই বোন ও আমার মেয়ে ও আমার ভাগ্নি মিলে এক সাথে এই বেলপুরি খেয়েছি। আর এক সাথে খাবার মজাই আলাদা।
ধাপ-৭
এগুলো সবই আমাদের জনপ্রিয় খাবার ফুসকা। আসলে আমার মনে হয় ফুসকা সবারই অনেক পছন্দের। তবে এভাবে ফুসকা অনেক কম খাওয়া হয়েছে। বেশ কিছু দিন আগে আমি আমাদের কলেজে গিয়েছিলাম একটা কাজের জন্য। সেখানে আমার বান্ধবীরা অনেকে এসেছিল। তাই আমরা সবাই মিলে এভাবে ফুসকা খেয়েছিলাম।আসলে আমার মনে হয় ফুসকা কলেজ লাইফের প্রিয় খাবার।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
বেশ লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। আপনার ধারণা করা প্রতিটি খাবার দেখে তো আমার জিভে জল চলে আসছে। প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফির সাথে সাথে আপনি বর্ণনা অনেক সুন্দর ভাবে দিয়েছেন। তবে আপনার ধারণ করা ফটোগ্রাফির মধ্যে আমার কাছে মালাই চা এর ফটোগ্রাফি টা বেশ ভালো লেগেছে কেননা এটা খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।
জি আপু মালাই চা খেতে আসলে অনেক মজার। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু সকাল সকাল এতো মুখরোচক খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে খাওয়ার খুব ইচ্ছে হলো।আপনি খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো খুব চমৎকার ভাবে শেয়ার করলেন সুন্দর বর্ননার মাধ্যমে। ধন্যবাদ আপু মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
প্রশংসা মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
পছন্দ মানে অনেক পছন্দ। আপনি তো দেখছি সকাল সকাল চোখের সামনে মূলো ঝুলিয়ে দিলেন। এমন করে যদি সকাল সকাল মনের মত কিছু খাবার চোখের সামনে ঝুলে থাকে তাহলে কি আর মাথা ঠিক থাকে? আমার তো পেট ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে। বেশ লোভনীয় ছিল ফটোগ্রাফি গুলো। শুধু আফসোস রইল।
চলে আসবেন আপু আবার তৈরি করে দেব,ধন্যবাদ আপু।
এত লোভনীয় এবং মজাদার খাবার দেখে সত্যি নিজেকে কন্ট্রোল করা খুব কষ্ট।
বিশেষ করে মোগলাই এবং ফুচকা দেখে ইচ্ছে করছে তুলে খেতে শুরু করি।
খাবার জন্যই তো দিয়েছি, খেয়ে নিন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি আজকে খুবই চমৎকার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন আপনার শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটা খাবারের ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে রসগোল্লা দেখে তো লোক সামলাতে পারলাম না। এই ধরনের রসগোল্লা খেতে ভীষণ মজা। এত সুন্দর খাবারে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাদের ভালো লাগলেই কাজের স্বার্থকতা,ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকে আপনি দারুন দারুন খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন এবং অনেককে পছন্দের কিছু খাবার ছিল এর মধ্যে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার। ফুচকা তো আমার ভীষণ প্রিয় ফুচকা খেতে অনেক ভালো লাগে তারপর ডিম এটা অনেক ভালো লাগে। তারপর সব থেকে ভালো লাগে হচ্ছে মুরগির রোস্ট।সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন যা দেখে লোভ লেগে গেল। অবশ্যই আপনার বাসায় একদিন দাওয়াত নিব। এত সুন্দর খাবারগুলি খাওয়ায় জন্য
বোনের বাসায় ভাইয়ের জন্য সব সময় দরজা খোলা, যে কোন সময় চলে আসবেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি খুবই লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফির প্রতিটা খাবার আমার খুব পছন্দের। সবগুলো খাবার একসাথে খেতে পারলে খুব মজা হতো। ধন্যবাদ এত লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
চলে আসবেন আপু খাওয়াব,ধন্যবাদ আপু।
বেশ কিছু লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। আসলে খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে। যদি এত সুস্বাদু এবং প্রিয় খাবারগুলোর ফটোগ্রাফি হয় তাহলে তো আর বলার কথা নেই। প্রতিটি খাবার বেশ সুস্বাদ এবং লোভনীয় ছিল। অনেক ভালো লেগেছে আপু বাইরের এবং ঘরের তৈরি করা অনেক গুলো খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।