বুন্দিয়া বানানো রেসিপি ||১০। shy-fox বেনিফিসিয়ারি এবং ৫% বেনিফিসিয়ারি abb-school
আসসালামু আলাইকুম।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি ভালোই আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমি ও ভালো আছ।
আজকে আমি আবারো নতুন একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের সাথে যুক্ত হলাম। রেসিপিটি হলো বুন্দিয়া বানানো রেসিপি। নিজের হাতে বানানো বুন্দিয়া খুব সুস্বাদু। আমি বাচ্চাদের জন্য প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু তৈরি করে থাকি।বুন্দিয়া বাজার থেকে আনলে হয়তো অনেক সময় মশামাছি পড়ে থাকে।সেগুলো স্বাস্হ্যের জন্য খতিকর।তাই আমি চেষ্টা করি নিজের হাতে বানানোর জন্য।আর রমজান মাাস বলে কথা।আমি ইফতারিতে ভিন্ন রকম জিনিস তৈরি করে থাকি।
যাইহোক আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাব মূলপর্বে:
আমার বাংলা ব্লগ একমাত্র কমিউনিটি সকল ভাই ও বোনেদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোষ্ট :-
প্রয়োজনীয় উপকরন সমুহ :-
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
বেসন | ১ কাপ |
চিনি | ১ কাপ |
ব্রেকিং পাউডার | ১ চামচ |
জাফরান | ১/২ চামচ |
লবন | সামান্য |
তেল | পরিমান মত |
লেবু | ১/৩ |
পানি | ১/৩কাপ |
এলাচ | ২টি |
প্রস্তুত প্রণালীঃ
আমি বুন্দিয়া যেভাবে বানিয়েছি তা ধাপেধাপে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
ধাপ-১
আমি একটি বাটিতে বেসন নিয়েছি। বেসনের ভিতর
ব্রেকিং পাউডার ২ চামচ তেল ও লবণ দিয়ে দিলাম।
ধাপ-২
এখন নরমাল তাপমাত্রার পানি দিয়ে একটা বিটার তৈরি করে নিলাম।এখান থেকে কিছু নিয়ে জাফরান দিয়ে দিলাম।
ধাপ-৩
এখন চুলাই একটি কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে দিলাম।তেল একটু গরম হয়ে আসলে ছাকনি নিয়ে নিলাম।
ধাপ-৪
তেল থেকে( ৬-৭) ইঞ্চি উপরে ছেকনি রেখে এখন বিটার ঢেলে দেবো। এভাবে একটু সময় ভেজে নেব।
ধাপ-৫
একই ভাবে কালার করাগুলো ভেজে নেব।
ধাপ-৬
এভাবে সবগুলো ভাজা হয়ে গেলে একটি পাএে তুলে নেব।
ধাপ-৭
চিনির সিরাতৈরি করার জন্য চুলাই একটি পাতিলে পানি দিয়ে তার ভিতর চিনি দিয়ে দিলাম।
ধাপ-৮
পানি ফুটে আসলে এলাচ ও লেবুর রস দিয়ে দিলাম।সিরা ঘন হয়ে আসলে চুলা বন্ধ করে দেব।এখন ভেজে রাখা বুন্দিয়া গুলো দিয়ে দেব।
ধাপ-৯
এখন ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখব প্রায় ১ ঘন্টা।
ফিরে আসলাম ১ ঘন্টা পর। তৈরি হয়ে গেল মজার বুন্দিয়া। আশাকরি রেসিপিটি সবার কাছে ভালো লাগবে।কেমন হয়েছে বন্ধুরা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
আজ এখানে শেষ করছি।আবার দেখা হবে অন্যকোন সময় অন্যকোন লেখা নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন।
রমজান মাসে বুন্দিয়া ছাড়া একদিন ইফতার করি না। ইফতারেএ আমার বুন্দিয়া চাইই চাই। খুব চমৎকারভাবে আপনি রেসিপি তৈরি করলেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আপু আসলে একটু মিষ্টি মুখ না করলে ভালো লাগে না ধন্যবাদ
বুন্দিয়া খেতে আমার কাছে অনেক মজা লাগে। ইফতার শেষে হালকা মিষ্টিমুখ করার জন্য বুন্দিয়া মাঝেমাঝেই বাজার থেকে কেনা হয়। তবে আজকে ঘরোয়া উপায়ে বুন্দিয়া তৈরি করার পদ্ধতি গুলো দেখতে পেলাম পরবর্তীতে বাসায় তৈরি করতে পারব।
ধাপগুলো সম্পূর্ণ ভাবে দেওয়া আছে বাসায় তৈরি করতে পারবেন ধন্যবাদ
আপনার তৈরি বুন্দিয়া অনেক মজার হয়েছে তা দেখেই বুঝতে পারছি। বুন্দিয়া তৈরির ধাপগুলো আপনি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যার কারণে আমরা খুব সহজ ভাবে তৈরি করতে শিখে গেলাম মজার বুন্দিয়া। আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া বাসায় বানিয়ে ফেলুন ধন্যবাদ
বুন্দিয়া বেশ চমকপ্রদ এবং সুস্বাদু একটি খাবার। তবে এটা কখনো বাড়িতে তৈরি করি নাই। অনেক সুন্দরভাবে বুন্দিয়া তৈরির রেসিপি টা শেয়ার করেছেন। ইউনিক ছিল রেসিপি টা। এবং অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে বুন্দিয়া গুলো। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।।
বাড়িতে তৈরি করে দেখবেন ভালো লাগবে আপনাকে ধন্যবাদ
বুন্দিয়া বানানোর রেসিপি আগে কখনো দেখা হয়নি। তবে আপনার প্রতিটি পর্যায়ে গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। শিখে গেলাম বুন্দিয়া তৈরির অসাধারণ রেসিপি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর রেসিপি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য
ভাইয়া বানিয়ে ফেলুন আপনাকে ধন্যবাদ
এই রমজানে ইফতারের সময় বুট ও বুন্দিয়া ছাড়া ইফতার যেন জমে উঠে না। বুন্দিয়া আমরা সকলেই খুব পছন্দ করি সেটা যদি আবার বাসায় বানানো হয় তাহলে তো কথাই নেই। বুন্দিয়া বানানোর অত্যন্ত চমৎকার রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া বাসার বুন্দিয়া সাথে তুলনা হয় না আপনাকে ধন্যবাদ
আমি বুন্দিয়া খেতে খুব পছন্দ করি। কিন্তু জানতাম না কিভাবে এটি তৈরি করা হয়। কিন্তু আজকে আপনার মাধ্যমে জেনে নিলাম কিভাবে খুব সহজেই বুন্দিয়া তৈরি করা যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এখনতো জানলেন কিভাবে তৈরি করতে হয় তৈরি করে ফেলুন ধন্যবাদ
বুন্দিয়া বানানো রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। বাহ সত্যি চমৎকার ছিল আপু আপনার এই রান্না পোস্ট। আপনার উপস্থাপন ভলো ছিল আপু। বেশ সুন্দর করে তৈরি করেছেন।
আপনার জন্য সুভ কামনা রইল আপু 💞💞
আপু মন্তেব্যের করে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ
বাসায় কখনো বুন্দিয়া বানায় খাওয়া হয়নাই। সব সময় রেস্টুরেন্ট থেকে কেনা হয়েছে। তবে আপনার বুন্দিয়ার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো। দেখে বোঝাই যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এরকম সুন্দর একটি বুন্দিয়া রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন অনেক সুস্বাদু হবে ধন্যবাদ
এক সময় বুন্দিয়ার ফ্যান ছিলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে এখন আর ভালো লাগেনা। আগে আমি ইফতারির জন্য কিনে এনে খালিই খেয়ে ফেলতাম এতো ভালো লাগতো। কিন্তু এখন কেনো জানি আর ভালো লাগেনা।
মন্তেব্যের জন্য ধন্যবাদ