মিন্টু মিয়ার জীবনী দ্বিতীয় পর্ব||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
মিন্টু মিয়ার জীবনী
মিন্টু মিয়ার বেতন নিয়ে বাড়িতে গেল।বাড়িতে যাবার পর মিন্টু মিয়াকে অনেকে অনেক ভাবে বুঝায়। যে তুমি এখন কাজ শিখেছো বেশি বেতন চাবে, না হলে অন্য দোকানে চলে যাবে।আর মিন্টু মিয়ার বাবার কথা ছিল যে মিন্টু তুই কারো সাথে বেইমানি করবি না। যাইহোক সবকিছু ভেবে চিন্তা করে মিন্টু মিয়া চলে আসলো চাচার দোকানে। এভাবেই মিন্টু মিয়া ফাইভ পাশ করলো।
ইতিমধ্যে মিন্টুমিয়া অনেক ভালো কাজ শিখে গেল। তখন মিন্টু মিয়াকে অনেকেই হোটেলে নিতে চাইলো কিন্তু মিন্টু মিয়া গেল না। কারণ মিন্টু মিয়া বলল আসলে আমি যখন কোন কিছুই পারতাম না, তখন চাচা আমাকে কাজ দিয়েছে আবার পড়াশোনা সুযোগ করে দিয়েছে। হয়তো কাজ অনেকেই দেবে কিন্তু পড়াশোনার সুযোগ কয় জনে দেবে।এভাবেই মিন্টু মিয়ার চলতে লাগল।চাচা ও মিন্টু মিয়াকে বেতন বাড়িয়ে দিল। মিন্টু মিয়া অক্লান্ত পরিশ্রম করে, সারাদিন হোটেলে কাজ করে আর রাতে পারাশোনা করে।আসলে হোটেলেতো অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়।
মিন্টু মিয়া এখন এস এস সি পরিক্ষা দেবে। তখন চাচা মিন্টু মিয়াকে বলল বাবা তোমাকে রাত আটার পর আর কাজ করতে হবে না। আসলে বর্তমান যুগে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যেমন ছিল মিন্টু ও তেমনি ছিল চাচা। যাইহোক মিন্টু মিয়াকে চাচা পড়াশোনার সব সুযোগ করে দিল।মিন্টু মিয়া ও চাচার হোটেলে নিজের মতো করে দেখলো। এভাবে মিন্টু মিয়া এস এস সি পাশ করলো।এখন চাচার দোকানে থেকে ক্লাস করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ল।আসলে চাচা ও মিন্টু মিয়াকে ছাড়বে না মিন্টু মিয়া ও চাচার কাছ থেকে আসবে না। এভাবে মিন্টু মিয়া এইচ এসসি পাশ করলো। এখন সে চাচার দোকান থেকে বিদায় নিল।
চাচা সত্যি মিন্টু মিয়াকে অনেক ভালো বাসে মিন্টু মিয়া ও । মিন্টু মিয়ার দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেল।মিন্টু মিয়া তার ছোট ভাইয়ের দ্বায়িত্ব নিল।এখন মিন্টু মিয়া ইংরেজিতে আনার্স পড়ে আর পাশাপাশি টিউশনি করে।মিন্টু মিয়ার ছোট ভাই ও এস এস সি পাশ করে গেল।এদিকে মিন্টু ঢাকায় পড়াশোনা করে তার কাছে ছোট ভাইকে নিয়ে গেল। এখন বাড়িতে শুধু তার বাবা মা।তবে মিন্টু মিয়া তার বাবাকে এখন আর রিক্সার চালাতে দেয় না।তার বাবা মা মিন্টুর মতো সন্তান পেয়ে সত্যি গর্ববোধ করে।এভাবে মিন্টু মিয়া পড়াশোনা শেষ করল।এখন কলেজে প্রফেসর হিসেবে নিয়োগ পেল।যদিও এই সফলতার পিছনে মিন্টু মিয়াকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে। আসলে পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।
এখন মিন্টুর বাবা মা মিন্টু মিয়াকে বিয়ে দেওয়ার জন্য মেয়ে খুঁজতে লাগল।মিন্টু মিয়া বলল পরে বিয়ে করবে কিন্তু তার বাবা বলল দেখ আমি যেন তোর বউটা দেখে যেতে পারি। অনেক কষ্টের মধ্যে তুই বড় হেয়েছিস এখন তোকে সুখে দেখে যেতে পারলেই আমি মরে ও শান্তি পাব। তখন মিন্টু মিয়া বিয়ের জন্য রাজি হলো সবাই মেয়ে দেখতে লাগল।(চলবে)
আজ এই পর্যন্তই। গল্পটি ভালো লাগলে আবার আসবো গল্পের বাকি অংশ নিয়ে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
গল্পটা ভালো ছিল,আগের পার্টটাও পড়েছি।মিন্টু মিয়ার মতো এমন অনেক লোক আছে চারপাশে কিন্তু ওমন চাচা নেই। থাকলে হয়তো এমন অনেক মিন্টুর অবির্ভাব ঘটতো।
সবই আছে ভাইয়া ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
আপু গল্পের আগের পর্বটিও পড়ে ছিলাম। খুব ভাল লাগলো। আসলে পরিশ্রম করলে সফলতা আসেই এটা খুব সত্যি। এখন মিন্টু মিয়ার সামনের দিন কেমন হয় এটাই দেখার বিষয়। ধন্যবাদ আপু।
জি আপু পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই, ধন্যবাদ আপু।