ফিরিয়ে পাওয়া ভালোবাসা পর্ব -২ ||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
ফিরিয়ে পাওয়া ভালোবাসা
ফয়সাল ও এনির গল্প প্রথম পর্বের পর।ফয়সাল ও এনির সম্পর্কের কথা যখন এনির পরিবার জেনে গেল। তখন ফয়সালের সাথে এনির যোগাযোগ সম্পূণ নিষেধ করে দিল।ফয়সালের যেহেতু সামনে এসএসসি পরিক্ষা ছিল তাই ফয়সাল মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে লাগল।এনিকে তার বাবা এনির মামার কাছে পাঠিয়ে দিল। এনি মামার বাসায় গিয়ে কিছুতেই ফয়সালকে ভুলতে পারছে না আর পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না। কিন্তু ফয়সাল ভাবে আমার ভালোবাসা সত্যি হলে এনি একদিন ফিরে আসবে। এদিকে পরিক্ষার তারিখ দিয়ে দিল।একদিন এনি হঠাৎ অন্য নম্বর দিয়ে ফয়সালকে ফোন দিল।এনি ফয়সালকে বলল আমাকে মামার বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে, আমার বাবা যাই বলুক না কেনো আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না।
তখন ফয়সাল এনিকে বলল ধৈর্য হারা হলে চলবে না, আগে তুমি ভালো করে পড়াশোনা করো, তারপর সব হবে।ফয়সাল বলল আমি ও তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না। তবে আমি তোমার যোগ্য না হয় তাহলে তো তোমার বাবার কাছে দাঁড়াতে পারবে না। তাই তুমি শক্ত হও আমি তোমার আছি তোমারি থাকবো।আমি আমার যোগ্যতা দিয়েই তোমাকে বিয়ে করবো।তুমিশুধু আমার ওপর ভরসা রাখ।এদিকে পরিক্ষার সিট একই স্কুলে পড়েছে।এনি এসেছে বাড়িতে পরিক্ষা দিতে। পরিক্ষার সময় এনিকে তার মা সাথে নিয়ে যায় আবার নিয়ে আসে।তাই ফয়সাল ও এনির মধ্যে কোন কথা হয় না।এভাবেই দুজনের সব পরিক্ষা শেষ হয়ে গেল কোন কথা ছাড়ায়। আবার পরিক্ষার শেষে এনিকে পাঠিয়ে দিল তার মামার বাসায়।
কিছু দিন থাকার পড়ে এনির বাবা এনিকে বিয়ে দিয়ে দেবে শুধু ফয়সালের ভয়ে। এনি যাতে ফয়সালের সাথে চলে না যায়। ফয়সালের বাবা কৃষক ও গরীব মানুষ,আবার এদিকে ফয়সাল মাত্র এসএসসি পাশ করেছে বেকার। একদিন এনি ফয়সালকে বলেছে চলো আমরা পালিয়ে বিয়ে করি।তখন ফয়সাল এনিকে বলল আমরা পালিয়ে গিয়ে কি করবো। আমি তো এখনো বেকার।তুমি তোমার বাবাকে বুঝিয়ে বলো যে তুমি ভালো করে পড়াশোনা করবে তাই তোমার বাবা তোমাকে বিয়ে দেবার কথা বলবে না। তারপর একটা পর্যায়ে আমি নিজের পায় দাঁড়িয়ে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাব তোমার বাবার কাছে।
তখন এনি তার বাবাকে বলল বাবা আমি এখন বিয়ে করবো না। আমি পড়াশোনা করতে চায়, আর ফয়সালের সাথে কোন যোগাযোগ রাখবো না।তখন এনির বাবা এনির কথা বিশ্বাস করে এনিকে পড়াশোনার সুযোগ করে দিল।কিন্তু ফয়সাল আর এনির যোগাযোগ রয়েছে তবে আগের থেকে অনেক কম। ফয়সাল এনিকে বলল তুমি এমন ভাবে কথা বলবে যাতে কেউ আমাদের ভালোবাসা বুঝতে না পারে। দুজনে এসএসসি পাশ করে দু কলেজে ভর্তি হলো। এনি তার বাবার বাসার ওখানে আর ফয়সাল তাদের গ্রামে ভালো একটা কলেজে। ফয়সালকে এনি এখনো মাসে মাসে অনেক টাকাদেয় পড়াশোনার জন্য। আর এক পর্যায়ে এনির বাবা ভাবে সত্যি ফয়সালকে এনি ভুলে গিয়েছে।এর মধ্যে হঠাৎ একদিন এনির মামী তাদের কথা বলা টের পেয়ে গেল। (চলবে)
আজ এই পর্যন্তই। গল্পটি ভালো লাগলে আবার আসবো নতুন কোন গল্প নিয়ে। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ঠিক তো এই দুইজন এসএসসি পরীক্ষার্থী মাত্র পাশ করে কলেজে ভর্তি হলো এই বয়সে পালিয়ে গেলে কিন্তু খাবে কি করবে কি।ফয়সাল অনেক বুদ্ধিমান ছেলে বুঝতে পারার জন্য সেই হয়তো জয় করতে পারবে তার ভালোবাসাকে।হয়তো একদিন পূর্ণতা পাবে তাদের এই সম্পর্ক কারণ দুজনে বেশ ভালো বুঝতে পারে।দুইজনের পরিবার বেশ ভালো বলা যায় কারণ তাদের ছেলেমেয়েদেরকে খুব শক্ত হাতে হ্যান্ডেল করতেছে।অনেক ভালো লেগেছে গল্পটি পড়ে আশা করি পরবর্তী পর্ব আরো সুন্দর হবে।
ফয়সাল সত্যি অনেক বুদ্ধিমান ছেলে আপু,পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু গল্পটি পড়ে খুব ভাল লাগলো। এনি আর ফয়সাল ভালো ই করেছে।দুজনেরই বয়স কম। কিন্তু মামী তো তাদের কথা বলা শুনে গেল এখন কি হবে?? জানতে অপেক্ষায় রইলাম আপু।অনেক ধন্যবাদ আপু।
অপেক্ষা করুন চলে আসবো পরবর্তী পর্ব নিয়ে, ধন্যবাদ আপু।
প্রথম পর্ব পড়েছিলাম, সেখানে খুব ভালো লেগেছিল। তবে পরবর্তী পর্বে জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। আর আজকে এই পর্ব পড়তে পেরে খুব বেশি ভালো লাগছে। কারণ পর্ব আকারে গল্পগুলো পড়লেও যদি ধাপে ধাপে পড়া যায় তাহলে গল্পের মূল কথা বোঝা যায়। যাই হোক যেহেতু গল্পটি এখনো শেষ হয়নি তাই পরবর্তী পর্বের জন্য আবারো অপেক্ষায় রইলাম।
ফিরে পাওয়া ভালোবাসা গল্পের দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু । আগে যদিও এই গল্পের প্রথম পর্বটা পড়িনি তাই আগে প্রথম পর্বটি পড়ে নিলাম এই গল্পটি বোঝার জন্য। ফয়সাল ও এনির গল্প পূর্ণতা কবে পাবে সেটাই ভাবছি। যদিও তাদের বয়স কম তাও ভালোবাসার জোরে তারা একদিন এক হবে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু । আশা করি খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন পরের পর্বটি।
জি ভাইয়া ভালোবাসার জোরে তাদের সম্পর্ক পূর্ণতা পাবে,অপেক্ষায় থাকুন, তারাতারি পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হব।