ফরিদপুর শহরে ঘুরাঘুরি ও কিছু কেনাকাটা ||১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
আজ আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি অন্য রকম একটি পোস্ট নিয়ে।। পোস্টটি হলো শহরে একটু ঘুরাঘুরি ও কেনাকাটা।বেশকিছু দিনপর গিয়েছিলাম একটু কেনাকাটা করতে। আগের দিন সব কিনাকাটা করলে ও পরের দিন গিয়েছিলাম ঘুরার উদ্দেশ্যে।আমি আমার দু মেয়ে ও আমার বড়জা ও তার মেয়ে। আমরা অনেক মজা করে ঘুরেছি। ঘুরাঘুরি করলে কিছু কেনাকাটা ও খাওয়া দাওয়া বাদ যাবে কেন।তাহলে চলুন বন্ধুরা আমরা কোথায় কোথায় ঘুরেছি ও কিকি কেনাকাটা করেছি।
যে ছবিটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, সেটি হচ্ছে ফরিদপুরের ঐতিহ্য বাহি লোহার ব্রিজ।এই ব্রিজটি দেখতে অনেক সুন্দর। ব্রিজের ওপর দিয়ে মানুষ জন সব সময় হেঁটে যাতায়াত করে থাকে। আর ব্রীজের দুপাশ দিয়ে রয়েছে হরেক রকমের দোকান। আরো রয়েছে অনেক ভিক্ষারী,তারা প্লেট নিয়ে ব্রিজের দুপাশ দিয়ে বসে থাকে। আসলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। তাই আমি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। আর একটা দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে আলীপুরের ব্রীজ। এই ব্রিজের ওপর দিয়ে সবাই গাড়িতে যায়। আমরা যখন রিক্সা করে ব্রিজের ওপর দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন আমি এই ব্রিজের ফটোগ্রাফি করে নিই।ব্রিজটি দেখতে অনেক সুন্দর।
এটা হচ্ছে গ্রামীণ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার। আমরা যাবার সময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ওখানে কিছু সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম রিক্সা জন্য।রিক্সা না পেয়ে আমরা একটু ভিতরে ঘুরে দেখলাম। এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আমি আগে ও গিয়েছি।। আসলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভিতরের ও বাইরের পরিবেশটা দারুণ ছিল।খুব পরিস্কার ও নিরিবিলি। অবশেষে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে হেঁটে আসলাম জনতার মোড়ে। অবশ্যই আমাদের হেঁটে আসতে বেশি সময় লাগে নাই।
এখানে আমাদের কিছু কাজকাম ছিল সেগুলো সেরে নিয়েছি। এখানের ছবি গুলো ভালো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম। তারপর রাস্তা পার হয়ে চলে এলাম মার্কটের ভিতর।
মার্কট থেকে আমরা সব কিছু আগের দিন কিনেছিলাম। তাই আমাদের তেমন কিছু কিনার ছিল না। তারপরে ভিতরে ঢুকলাম শুধু বাচ্চাদের খাতা কলম কিনার উদ্দেশ্যে। ভিতরে ডুকেই সোজা চলে গেলাম খাতা কলমের দোকানে। আমি এক সাথে প্রায় কয়েক মাসের খাতা কলম কিনে নিই। তবে অনেক দিন পর গিয়েছি তাই দাম জানাছিল না।সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বগতিতে। এখন আর কি করা কিনতে তো হবে। তারপর রাবার পেন্সিল ও ১০ পিচ খাতা নিলাম।
এখন চলে এলাম ক্যাপ কেনার জন্য।ক্যাপ কিনবে আমার ভাজতি, কাল রংয়ের ক্যাপ। ক্যাপ কেনার জন্য বেশি দোকানে ঘুরতে হয়নি। দু দোকান ঘুরেই আমাদের ক্যাপ পছন্দ হয়ে গেছে। আসলে ভাজতির একার জন্য কিনতে চেয়েছিলাম, কিন্ত বাচ্চারা তো আর বুঝে না। তাই একটা কিনতে গিয়ে তিনটা কিনলাম।ক্যাপ গুলো অনেক ভালো ছিল। ক্যাপ কিনে আসার পথে চোখে পড়ল বলে দোকান। বাচ্চাটা নাসর বান্ধা,বল বাড়িতে আছে তারপর ও কিনবে। কি আর করা তারপর দুটি বল কিনে আনলাম। সবশেষে খাবার দাবার তো রয়েছে। বাচ্চারা কেউ ফুসকা, কেউ বাগার খেল।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য সময় অন্য কোন লেখা নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্হ্য থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।
পরিবারকে অনেক কেনাকাটা করেছেন।লোহার ব্রিজ টি দেখে অনেক ভালো লাগলো। বাইরে বের হলে খাওয়া দাওয়া না করলে ভালো লাগে না।অনেক খাবার খেয়েছেন।অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মূহুর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
সত্যি আপু বাইরে বেরহলে খাওয়া দাওয়া না করলে ভালো লাগে না।আর লোহার ব্রিজ অসলে অনেক সুন্দর। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বাহ বেশ ভাল মজা করেছেন তো আপনারা।আমাদের নিউমার্কেট ও এরকমই।কিন্তু আপু বার্গার কিসের ঝোলের মাঝে সাতার কাটছে সেটা বুঝলাম না।ধন্যবাদ সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
আসলে অনেক মজা করেছি, আর বার্গার সসের ঝোলের সাথে সাতার কাটছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপু আপনি ফরিদপুর শহরে ঘোরাঘুরি করে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। আর বাচ্চারা কোথাও গেলে যে কোন কিছু কিনতেই হবে। সেটা যদি ঘরে থাকে ও তারপরে ও। আপনি কাগজ এবং অনেকগুলো পেন্সিল ক্রয় করেছেন। ঘোরাঘুরি এবং কেনাকাটা শেষ করে আপনারা খাওয়া-দাওয়া করেছেন যা দেখারও বেশি ভালো লাগলো।
সত্যি আপু বাচ্চারা যাদেখে তাই কিনার জন্য অস্হির থাকে,প্রশংসানী মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ফরিদপুর শহরে আপনার ঘোরাঘুরি সময়টুকু পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ঘোরাঘুরি করার পাশাপাশি অনেক কেনাকাটা করেছেন এবং কেনাকাটার গুলোর ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমার অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে