আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
প্রতি দিনের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্টটি হলো টক ঝাল মিষ্টি চালতার আচার বানানোর রেসিপি। আচার আমরা সবাই কম বেশি সবাই পছন্দ করি। আমার বাচ্চাদের তো অনেক প্রিয়। তবে চালতার আচার বানানো অনেক কষ্টের। জানি না আপনাদের কাছে কেমন লাগে বানাতে। আমি অনেক আচার বানিয়েছি তবে কখনো চালতার আচার বানাইনি। এই প্রথম বানালাম তাই মনে হচ্ছে আমার কাছে একটু বেশি কষ্ট হয়েছে। কষ্ট হলেও আচারটা কিন্তু অনেক মজার। আমি যখন আচার বানাই আমার মেয়ে বলে আম্মু আমাদের স্কুলের সামনে এভাবে আচার বানিয়ে বেঁচে।তুমি ও আমাদের কলার পাতাই করে এই আচার দেবে। আমি দেবার আগে তারা খাতার পৃষ্ঠা নিয়ে তার ভিতর আচার নিয়ে নিল।তাদের কাছে নাকি আচার অনেক মজা লেগেছে।যাইহোক তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে নিই আমি কিভাবে চালতার আচার বানিয়েছিঃ
১. চালতা
২. আদা ও রসুন বাটা
৩. তেজ পাতা ও শুকনো মরিচ
৪ চিনি
৫. পাঁচফোড়ন
৬.জাফরান ও চিলি ফ্লেক্স
৭. তেল ও লবন
ধাপ -১
প্রথমে আমি কয়েকটি চালতা নিয়েছি।তারপর চালতাগুলোকে ভালো করে কেটে ধুয়ে নিয়েছি। এখন একটি পাতিলে পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নেব।
ধাপ -২
সিদ্ধ হয়ে গেলে একটি চালনে ঢেলে নেব। তারপর ভালো করে পানি ঝরিয়ে নেব।এখন পাটার ওপর নিয়ে এভাবে ভেঙে নেব।
ধাপ -৩
এখন চুলাই একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। তারপর কড়াই হালকা গরম হয়ে আসলে কয়েক চামচ সরিষার তেল দিয়ে দেব। তেল গরম হয়ে আসলে শুকনো মরিচ, তেজপাতা ও পাঁচফোড়ন দিয়ে দেব। এখণ আদাবাটা ও রসুন বাটা দিয়ে দেব।
ধাপ -৪
এখন ভেঙে রাখা চালতা গুলো দিয়ে দেব। কিছু ক্ষণ নেড়ে চিনি দিয়ে দেব। আর একটু নেড়ে চিলিফ্লেক্স দিয়ে দেব।
ধাপ -৫
এখন একটু কালার আসার জন্য জাফরান দিয়ে দেব। জাফরান দিয়ে আরো কিছু ক্ষণ নেড়ে নামিয়ে নেব। ব্যাস এভাবে তৈরি হয়ে গেল আমার মজার চালতার আচার রেসিপি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। কেমন হয়েছে বন্ধুরা মন্তব্যের মধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।
আজ এখানেই শেষ করছ। আবার দেখা হবে অন্য কোনো সময় অন্য কোন ব্লগ নিয়। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবে, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম
@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।
আসলে আচারের নাম শুনলে আমার কেন যেনো খেতে খুব ইচ্ছে করে। আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে সুস্বাদু চালতার আচার তৈরি করেছেন। দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে শুকনা মরিচ এবং পাঁচফোড়ন দেওয়াতে খেতে অনেক মজাদার হবে। এত চমৎকার সুস্বাদু চালতার আচারের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আচারের মজাই শুকনো মরিচ ও পাঁচফোড়ন। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ
আমাদের বাড়িতে বড় একটি চালতা গাছ আছে। তবে অনেকদিন হয়ে গেল আচার খাওয়া হয়না। আপনার চালতার আচার দেখে মনে পড়ে গেল আপু। আমার প্রিয় আচার এই চালতার আচার!
জি ভাইয়া এভাবে একদিন অবশ্যই বানিয়ে খাবেন অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
চালতার আচার আমার অনেক পছন্দের একটি আচার।তবে আমি কখনো নিজে তৈরি করিনি।বাচ্চারা এমন হয় কলাপাতায় নিয়ে খেতে,অথবা কাগজে খেতে চাই।বুঝা যাচ্ছে চালতার আচার বানাতে কষ্ট হবে।যাই হউক তৈরি তো করে পেলেছেন।সুন্দর হয়েছে পরিবেশনা।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমার সবচাইতে প্রিয় আচার হচেছ এই চালতার আচার। আমি যখন এই কমেন্ট লিখছি তখনো চালতার আচার খাচ্ছি। গতকাল আমার ওয়াইফ বানিয়েছিল। সুস্বাদু এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
চালতার আচার বানানো অনেক কষ্টের ঠিকই বলেছেন ছোটবেলা থেকে দেখেছি আমার মাকে এই আচার বানাতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে।।
তবে পরিশ্রম একটু হলেও ঠিকঠাক মতো মশলাপাতি দিয়ে প্রস্তুত করলে খেতে কিন্তু খুবই সুস্বাদু হয়।।
আপনার প্রস্তুত প্রণালী দেখেই বুঝতে পারছি খেতে অনেক মজাদার হবে আমার তো খুবই ফেভারিট।।
জি ভাইয়া আপনার ফেভারেট জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আসলে যে কোন বাচ্চারই আচারের প্রতি অনেকটা লোভ রয়েছে। আর বাচ্চাদের বাইরে যে অন্যদের লোভ নেই তা কিন্তু নয়। আচার সবাই পছন্দ করে আমি ও অনেক পছন্দ করি। আর আপনি খুব চমৎকারভাবে চালতার আচার বানিয়েছেন যেভাবে আপনার মেয়ে আপনাকে বলল স্কুলের সামনে আচার বিক্রি করা হয়। যাই হোক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
সত্যি ভাইয়া আচারের প্রতি সবারই একটু লোভ বেশি থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলেই আচার দেখলে কেউ লোভ সামলাতে পারে না ধন্যবাদ।
সত্যি বলেছেন ভাইয়া ভেঙে আর সিদ্ধ করাটা অনেক ঝামেলার কাজ। জি ভাইয়া অনেক সহজে আচার বানানো যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
চালতার আচার খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটির কালার দেখতে অনেক সুন্দর এসেছে। দেখে জিভে জল আসেনি তা তো একেবারেই বলতে পারবোনা। বরং বলছি যে দেখে লোভ সামলাতেই পারছি না। আপনার রেসিপিটি দেখে টেস্ট করার ইচ্ছা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য। ❤️
হা হা হা আপু, টেস্ট করলে আসতে হবে।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য
বেশ কয়েকদিন আগে আমি মেলা থেকে খেয়েছিলাম চালতার আচার এটা খেতে অসাধারন লাগে।আমি বানাতে পারিনা।আপনার রেসিপি টা দেখে ট্রাই করবো ভাবছি ধন্যেবাদ শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া অবশ্যই ট্রাই করবেন, ধন্যবাদ আপনাকে
আপু, আপনি খুব সুন্দরভাবে চালতার আচার করলেন, ভাল লাগলো দেখে।খেতে পারলে আরও ভাল লাগতো। 😋আমি খুব আচার পছন্দ করি।আপু সামান্য গুড় দিলেই কালার চলে আসতো আচারে, জাফরান না দিলেও হত।অনেক ধন্যবাদ আপু।
হা হা হা খেতে হলে আসতে হবে।আপনি খুব পছন্দ করেন জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ