বাচ্চাদের স্পোর্টস দেখার অনুভূতি ১ম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
বাচ্চাদের স্পোর্টস দেখার অনুভূতি ১ম পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।আসলে বর্তমান অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি।যদিও আমি সব সময় সকালে পোস্ট করার চেষ্টা করি। তবে আমি আজ সকাল থেকে ব্যস্ত থাকার জন্য পোস্টে লিখতেই পারিন। যাইহোক এখন সময় পেলাম তাই আগে পোস্ট লেখার চেষ্টা করেছি । আসলে আজ এসেছি বাচ্চাদের স্কুলে খেলা দেখার অনুভূতি নিয়ে। অনেকদিন হলো এভাবেই স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার খেলা দেখা হয়নি। আসলে করুনার পর থেকে এ পর্যন্তই স্কুলে আর খেলা হয়নি। গতবার অনেক স্কুলে হলেও এখানে হয়নি। যাইহোক এবার আবার নতুন করে খেলা শুরু হয়েছে। যদি স্কুলটা আমাদের বাড়ির অতি নিকটে। আসলে অনেকদিন খেলা দেখিনি খেলা দেখার প্রতি আগ্রহ অনেকটা বেশি ছিল। তারপর আমার নিজের বাচ্চারাও খেলা দিয়েছে তার জন্য শুরু থেকে গিয়েছিলাম খেলা দেখতে। সত্যি অনেক দিন পর এভাবে খেলা দেখে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে খেলা দেখতে গিয়ে খুব ভালো লেগেছিল মনে হচ্ছিল আবার সেই শৈশবে ফিরে যায়। যাইহোক এটা তো আর কখনো ফিরে পাওয়া সম্ভব না। তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
প্রথমে আমরা সকাল সকাল চলে গেলাম স্কুলে। আসলে ৮টা থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল কিন্তু শুরু হয়েছে নয়টায়। যাইহোক অনেক সুন্দর করে একটা গেট করেছে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বাঁচ্চারা গেট দেখে অনেক খুশি। যেহেতু আমরা আগে গিয়েছি তাই বেশি লোকজন উপস্থিত হয়নি। স্টেজটাও অনেক সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। আসলে স্পোর্ট ছোট হলেও আনন্দটা অনেক বেশি ছিল। মাঠটা অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে। তবে হঠাৎ করেই স্পোর্টস এর ডেট দিয়েছে তাই তেমন লোকজনকে বলতে পারিনি তবে লোকজন কম হয়নি। তারপর অতিথিরা সবাই এলেই উদ্বোধন শুরু করল।
যাইহোক উদ্বোধন করার পরেই শুরু হয়ে গেল খেলা। প্রথমেই হল বালক 'ঙ ' দলের বিস্কুট দল । সত্যি ছোটবেলায় এই বিস্কুট খেলা অনেক ভালো লাগতো। কিন্তু দুঃখের বিষয় জীবনে কখনো "ঙ" দলে পড়িনি। আসলে সব সময় সর্বোচ্চ বড় দলে পড়তাম। যাইহোক আমার মেয়েও এবার ক দলে পড়েছে। তার খেলা হচ্ছে দৌড় আর মার্ভেল চামচ খেলা।তবে সে বলছে আম্মু টিচারদের বলে আমাকে বিস্কুট খেলায় নাম দিতে বল। বিস্কুট খেলায় না দিলে গুলি খেলায় নাম দিতে বল। আসলেও বুঝতে পারছে না এগুলো অন্য দলের খেলা নাম দেওয়া যাবে না। বিস্কুট খেলার পরে বাচ্চাদের শুরু হলো দৌড় খেলা। তারপর ব্যাঙ খেলা দেখার পরে এভাবে পর পর বেশ কয়েকটি খেলা দেখলাম। খেলা গুলো দেখতে বেশ ভালই লেগেছিল।
তারপর যারা যারা পুরস্কার পেয়েছে তারা স্টেজ গিয়ে সবাইকে সম্মান জানিয়ে ছিল। বেশ কয়েক বছর পরে এমন খেলা দেখতে পেয়ে মনটা আনন্দে ভরে গেল। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের খেলা দেখার মধ্যে আসলেই অন্যরকম আনন্দ থাকে। যাইহোক তারপর শুরু হল অতিথিদের খেলা। অতিথিদের জন্য বিষের বালিশ খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। যদিও বিষের বালিশ খেলায় আমিও নাম দিয়েছিলাম। তবে( ২-৪) জনের পরেই পড়ে গিয়েছি। বিশের বালিশের পরেও অতিথিদের জন্য আরো খেলা ছিল ৮০০ মিটার দৌড়। এই দৌড় গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। খেলাধুলা শেষ হলে যখন হাফ টাইম ছিল। সে ক্ষেত্রে আমরা সবাই মিলে কিছু খাওয়া দাওয়া করলাম।
যাইহোক হাফ টাইমের সময় আমরা কিছু খাইয়া দাওয়া করলাম। যদিও আমরা বাড়ি থেকে খাওয়া-দাওয়া করে আবার গিয়েছিলাম। তবে আইসক্রিম, ফুচকা, চটপটি, বাদাম এগুলো তো খেতেই হয়। তবে ফুচকা গুলো খেতে বেশ মজার ছিল। যাই হোক অনেক ভালো একটি সময় কাটিয়েছি খেলা দেখতে গিয়ে। আসলে একদিন তো লিখে শেষ করা যাবে না। পরবর্তী পর্বতে আমরা দেখব যেমন খুশি তেমন সাজো, পুরস্কার বিতরণ মানে খেলার বাকি অংশ। আশা করি সাথেই থাকবেন। আশাকরি আপনাদের কাছে পোস্টটি ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
.
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
আসলে আপু বাচ্চাদের স্পোর্ট দেখানো এটাও কিন্তু একটা শিক্ষনীয় বিষয়। কারণ বাচ্চারা বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করে বিভিন্ন স্পট দেখতে পেয়ে তাদের মধ্যে একটি সৃজনশীল কাজ করে। আর নতুন কিছু দেখার মাধ্যমে বাচ্চাদের চিন্তাভাবনা ভিন্ন তারা হয়ে থাকে যাতে তারা খুব সহজেই ভালো কিছু করতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে পর্বটি শেয়ার করার জন্য। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া বাচ্চাদের সব সময় ঘোরাঘুরি করানো উচিত, ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাচ্চাদের এই খেলাধুলা দেখে যেন মনে পড়ে গেল সেই অতীতের দিনগুলোর কথা। হয়তো আর ফিরে পাবো না কখনো সেই অতীতের পুরনো দিন যেদিন আমরাও খেলতাম অনেকের সাথে। দারুন একটি মুহূর্ত কিন্তু আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পাশাপাশি ফুচকা খাওয়ার অনুভূতি ও। বেশ চমৎকার হয়েছে আপনার আজকের এই পোস্ট।
সত্যি বলেছেন ভাই বাচ্চাদের খেলাধুলা দেখে অতীতের কথা মনে পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।