গরীবের ছেলের ভালোবাসা ১ম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
গরীবের ছেলের ভালোবাসা
আদিবা ও অনিলের গল্প। আসলে অনিল গ্রামের ছেলে আর আদিবা শহরের মেয়ে। আসলে দুজনের কখনো দেখা হয়নি। তবে অনিলের ছোট একটা বোন আছে,অনিলের বাবা ও মা। তবে অনিলের বাবা তেমন বড় লোক না হলে অনেক ভালো আর অন্য দিকে আদিবা কোটিপতির মেয়ে।অনিল গ্রাম থেকে এসএসসি, এইচএসসি পাশ করেছি।তবে অনিল অনেক মেধাবী ছাত্র দুই বার সে গোল্ডেন এ+ পেয়েছে। এদিকে আদিবা মোটামুটি স্টুডেন্ট সে টাকার গরমে অস্থির। যাইহোক আদিবার বাবাকে সবাই এক নামেই চেনে। আসলে টাকার জোরে সে অনেক কিছুই করতে পারে।
যাইহোক এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছে অনিল আদিবা তাদের ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছে। আসলে আদিবার কলেজে বন্ধুর অভাব নেই এদিকে অনিলের কোন বন্ধুই নেই তার ডিপার্টমেন্টে। আসলে অনিল একে তো গ্রামের ছেলে নতুন ভর্তি হয়েছে তার ওপর কাপড় চোপড় মোটামুটি পরে । তাই তাকে দেখে ক্লাসের কেউ পছন্দ করেনা। এভাবে কেটে গেল কয়েক মাস। অনিলের হাতেগোনা দুই একজন ছাড়া আর কোন বন্ধু বান্ধব ছিল না। এদিকে আদিবার কোন বন্ধুর অভাব নেই। তারপর ক্লাসে পরীক্ষা শুরু হল। প্রথম পরীক্ষা দিয়েছে অনিল অনেক ভালো করেছে। কিন্তু আদিবা মোটামুটি পেরেছে সে শুধু অনিলের লেখা দেখেছিল। এভাবে দুটি পরীক্ষা পেরিয়ে গেল। একদিন অনিলে আসার সময় কোন বাস পাচ্ছিল না। অথচ পরীক্ষার লেট হয়ে যাচ্ছিল। ইতিমধ্যে আদিবা প্রাইভেটকারী কলেজে আসছিল। অনিল না জেনে গাড়িটার থামাতে বলে। ড্রাইভার বলল ভিতরে ম্যাডাম আছে উনাকে জিজ্ঞেস করেন যদি বলে তাহলে আপনাকে উঠিয়ে নেব।
অনিলকে দেখে আদিবা রেগে গেল। আর ড্রাইভার কে বলল এই ফকিন্নির বাচ্চাকে আমি গাড়িতে নেব না। ওর গায়ের কাপড় চোপড় দেখতে পারছ না ওকে কিভাবে গাড়িতে নিতে চাও। এদিকে অনিল আদিবার কাছে হাত জোর করল আমার পরীক্ষার লেট হয়ে যাচ্ছে, কোন বাস পাচ্ছি না একটু হেল্প করুণ প্লিজ। কিন্তু আদিবা তার অহংকারের জন্য অনিল কে নিল না। কিছু সময় পরবাস আসলো অনিল বাসে চলে কলেজে পৌঁছে গেল। অনিল পৌঁছালো ঠিকই তবে পরীক্ষার দশ মিনিট পর পৌঁছাল ।তারপর পরীক্ষা হলে গিয়ে অনিল সব প্রশ্নের
উত্তর দিতে লাগলো। এদিকে আদিবা অনিল এর পিছের বেঞ্চে বসেছে । আদিবা অনিলকে কলম দিয়ে শুধু খোঁচা মারছে আর বলছে আমাকে একটু দেখাও। এদিকে অনিল বলছে আপনার এমনিতে ১০ মিনিট লেট এখন দেখালে আমি আর লিখতে পারবো না। সব কমন পড়েছে বেশ ভালো লেখা শুরু করেছে।তারপর পরিক্ষার হল থেকে আদিবা বের হল।
তারপর পরিচিত কিছু লোক দিয়ে অনিলকে মারার জন্য পাঠাল।সবাই এসে অনিলকে মারা তো দূরের কথা অনিলের হাতে মার খেয়ে পালাল।এদিকে আদিবা গেটের সামনে বসে আছে অনিলকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখবে বলে। কিছু সময় পরে অনিল গেট থেকে বের হয়ে আসলো।তখন আদিবা বললো এই ছোটলোকের বাচ্চা তুই এখনো মারা যাসনি। এভাবে আরো অনেক কথা বললো অনিলকে।আসলে অনিল চুপচাপ থাকে বলে সেই কিন্তু কম ছিল না। অকারণে শুধু একজন বলেই যাবে তা কি করে হয়। অনিল প্রথমে আদিবাকে বুঝানোর অনেক চেষ্টা করল।কিন্তু আদিবার ছোটলোকের বাচ্চারা ছাড়া কিছু বলার ছিল না। কিছু সময় দাঁড়িয়ে শোনার পরে অনিল আদিবাকে কয়েকটি কষিয়ে থাপ্পর বসিয়ে দিল।(চলবে)
প্রয়োজনীয় | তথ্য. |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
গরিবের ছেলের ভালোবাসা গল্পটার প্রথম পর্ব আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অনিল যেমন অনেক ভালো একটা ছেলে তেমনি পড়ালেখাতেও ভালো যদিও সে গরিব পরিবারের সন্তান। অন্যদিকে আদিবা কোটিপতির মেয়ে হলেও সে খুবই খারাপ। গরিবদের সাথে বাদই দিলাম নিজের ক্লাসমেটের সাথে কিভাবে এরকম ব্যবহার করতে। আবার দেখছি অনিলকে মার খাওয়ানোর জন্য কয়েকটা ছেলে ঠিক করেছিল। ভাগ্যিস অনিল তাদেরকেই মেরে পাঠিয়ে দিয়েছিল। আদিবা অনিল এর সাথে এরকম খারাপ আচরণ করছিল বলে, অনিল শেষ পর্যন্ত তাকে থাপ্পড় দিয়েছিল। এখন দেখা যাক এই গল্পের পরবর্তী পর্বে কি হয়।
জি ভাইয়া চেষ্টা করব তারাতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসার জন্য, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আবিদাও অনিলের গল্পটি অনেক ভালো লাগলো।আসলে গরিব হলে সবাই হেয় চোখে দেখে।অনিলের বেলায় যেমনটি হয়েছে। তবে অনিল মেধাবী। অনিলকে মারধোরের ঘটনাটি দুঃখজনক। পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
একটা মানুষ যতই ধনী পরিবারের হোক না কেন, তার উচিত সকল শ্রেণীর মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করা। আদিবা কোটিপতির মেয়ে হলে কি হয়েছে, তার মধ্যে ভালো মানুষের কোন দিক অথবা গুণ নেই। অহংকার রয়েছে শুধু। তবে অনিল কিন্তু গরিবের সন্তান হলেও তার মধ্যে ভালো গুণ রয়েছে। আদিবা অনিলের জন্য লোক ধরিয়েছিল যেন তারা তাকে মারে। অনিল কিন্তু একেবারে ঠিক করেছে তাদেরকে উল্টো মেরে। আদিবা তো ভেবেছিল অনিলকে হয়তো তারা অনেক মারবে, আর তার রক্তাক্ত শরীর দেখতে পাবে সে। কিন্তু এরকম কিছু হয়নি আর সে অনিলকে খারাপ বাসায় অনেক কিছুই বলছিল। অনেকক্ষণ পর্যন্ত অনিল সবকিছু সহ্য করলেও কিছুক্ষণ পরে সেই তাকে কষিয়ে কয়েকটা থাপ্পর দিয়েছিল। আর এটা সে ভালোই করেছিল। এর পরবর্তীতে আদিবার রিয়েক্সান কি ছিল, এটাই দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
সত্যি আপু আদিবার অনেক অংহকার রয়েছে, ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার লেখা গল্পটি বাস্তবধর্মী কিনা জানিনা তবে সিনেমায় এমনটা হরহামেশাই ঘটে থাকে।আমার কাছে গল্পের শেষের অংশ বেশি ভালো লেগেছে।কারন অনিল ক্ষমতাকে ভয় না পেয়ে সাহসের সঙ্গে থাপ্পড় কষিয়ে দিয়েছে এটা জেনে।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম, ধন্যবাদ আপু।
জি আপু তারাতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হব, ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
বাহ্! গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু। এই ধরনের গল্প পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। কিছু কিছু মেয়েরা বাবার টাকার গরমে কি করবে না করবে,সেটা বুঝে উঠতে পারে না। আদিবাও এমন টাইপের মেয়ে। আদিবা কতোটা খারাপ হলে অনিলকে মার খাওয়ানোর জন্য লোক ঠিক করে। পরীক্ষার হলে সবাই ব্যস্ত থাকে। তাই অনিলও ব্যস্ত ছিলো নিজের লেখা নিয়ে। যাইহোক অনিল উচিত জবাব দিয়েছে তাদেরকে মেরে,এই ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবো কি হলো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।