বায়তুল মোকাদ্দেম ট্রাস্ট মার্কেটে কিছু কেনাকাটা||১০% বেনিফিসিয়ারি লাজুক শেয়ালের জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছে একটি পোস্টে নিয়ে। পোস্ট টি হল বায়তুল মোকাদ্দেম ট্রাস্ট মার্কেটে কিছু কেনাকাটা।আসলে আমি অনেক কম গিয়েছি বায়তুল মোকাদ্দেম ট্রাস্ট মার্কেটে। আমি ও আমার দুমেয়ে ও মেয়েদের বাবা ছিল সাথে। আজ যদি ও কেনাকাটা করার মতো কোন ইচ্ছে ছিল না। আমরা বাইরে গিয়ে ছিলাম বেড়াতে।সেখানে দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। তারপর কিছু সময় রেস্ট নিয়ে, বের হলাম বাসায় আসার উদ্দেশ্যে।প্রথমে আমরা আত্মীয় বাসা থেকে বেরিয়ে রিক্সায় উঠলাম। রিক্সা থেকে নেমে আমরা অটো স্ট্যান্ড আসলাম।অটো স্ট্যান্ড এ কিছু সময় দাঁড়াতে হবে।বাবুদের বাবা বাজার করতে গিয়েছে । অটো স্ট্যান্ড সাথেই রয়েছে বায়তুল মোকাদ্দেম ট্রাস মার্কেট। তাই ভাবলাম একটু মার্কেটের ভিতর থেকে একটু ঘুরে আসি।তাই আরকি বায়তুল মোকাদ্দেম মার্কেটের ভিতর ঢোকা।
প্রথমে আমরা বায়তুল মোকাদ্দেম মার্কেটের গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলাম। যদি ও তেমন কিছু কেনার ছিল না। তাই আরকি কোন দোকানে যাব নির্ধারণ করতে পারছিলাম না।ভিতরে ঢোকার পরে কিছু জামা কাপড়ের দোকান চোখে পড়ল। আমার মেয়ে জামা কেনার জন্য বলেছিল। কিন্তু এখন জামা দেখে কিনার মতো সময় নেই।বাচ্চারা বলছে তাহলে খেলনা কিনে দেও।কিছু না কিনে সোজা চলে গেলাম মের্সাস আরিফ নামক স্টোরে। সেখানে হরেক রকমের জিনিস ছিল।আসলে আমি আগে কখনো এই দোকানে গিয়েছি বলে মনে হয় না।দোকানদার আমাদের পরিচয় নিলেন। পরিচয় দেবার সাথে দোকানদার ভাইয়া বলেন বাবুর আব্বু দোকানদার ভাইয়ের নাকি বন্ধু হয়। তখন দোকানদার ভাই বলল মেয়ের বাবা কই? আমরা বললাম সাথে আছে একটু বাজারে গিয়েছে তাই আমরা ভিতরে ঢুকেছি।বলল ভাবি কি কি নেবেন।আমি প্লাস্টিকের জগ, স্টেলের প্লেট ও চিনা মাটির বাটি গুলো দেখতে লাগলাম।যেগুলো আমি কিনব।
আপনাদের তো বলাই হয়নি। দোকানদার ভাইয়ের নাম ছিল আরিফ। আরিফ ভাই আমাদের জিনিস গুলো অনেক ভালো ভাবে দেখালেন। তারপর আমি দুটি স্টিলের প্লেট মেলামাইনের জগ ও একসেট চিনামাটির বাটি নিলাম।এখন এগুলোর দাম জিজ্ঞেস করলাম। আরিফ ভাই বলল ভাবি নিন, আপনার কাছ থেকে বেশি রাখব না। তবে জিনিস গুলো আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। আমি যে গুলো জিনিস নিয়েছি সবগুলো বলল ৯০০ টাকা দেন।আমি তখন বললাম ভাইয়া কোনটার কতো দাম বলেন।আরিফ ভাই বলল মেলামাইনের জগ ১২০ টাকা দুটি স্টিলের প্লেট ২৪০ টাকা ও চিনামাটির বাটি একসেট ৫০০ টাকা। তারপর আর কি করা আমি যেহেতু এই সব গুলো জিনিস নেব,তাই আমি আরিফ ভাইকে সব মিলে মোট ৮০০ টাকা দিলাম। তিনি আর কোন কথা বলেন না। বলেন ভাবি আবার আসবেন। ঠিক আছে ভাইয়া এই বলে আমি আমার মেয়েদের নিয়ে দোকান থেকে চলে আসলাম।
তবে যাই বলুন বাচ্চা বলে কথা। যতই কিছু কিনা থাক না কেন। দোকান দেখলে না কিনে আর উপায় নেই। আরিফ ভাইয়ের দোকান থেকে ফেরার পথে চোখে পড়ল খাবারের দোকান।আমি আসার আগেই আমার দুমেয়ে খাবারের দোকানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারা কোন আইসক্রিম খাবে। এদিকে ওদের বাবা ফোন করছে তারাতাড়ি চলে আসার জন্য। সে অটো ঠিক করে দাঁড়িয়ে আছে। তারপর বাচ্চারা হাত দিয়েই কোণ আইসক্রিম নিল দুটি, জুস ও চিপস নিল। তারপর আমরা বায়তুল মোকাদ্দেম ট্রাস্ট মার্কেট থেকে বেরিয়ে পরলাম।আমার আজকের পোস্টটি আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। কেমন লেগেছে আমাদের সামান্য কেনাকাটা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য সময় অন্য কোন লেখা নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্হ্য থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমাদের ঢাকাতেও এইরকম নামের একটি মসজিদ রয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে, যাইহোক মোটামুটি ভালই কেনাকাটা হলো, দোকানদারের সাথে তো বোঝা যাচ্ছে বেশ ভালো একটি সম্পর্ক হয়েছে। খুবই ভালো লাগলো আপনার কেনাকাটা অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
জি ভাইয়া দোকানদারের সাথে ভালোই সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে।মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমি প্রথমে পড়েছি বাইতুল মোকারম। তারপর ভালো মত পড়ে দেখি অন্য মার্কেট। যাক পুরো ফ্যামিলি মিলে শপিং করেছেন বিষয়টা ভালোই। আর দামেও জিতেছেন মনে হচ্ছে। আপনার এই শপিং এর অভিজ্ঞতা জেনে ভালো লাগলো খুব।
আপু কিনার ইচ্ছা না থাকলেও হাতে টাকা থাকলে আর মার্কেটে গেলে কিছু না কিনে ফেরত আসা যায় না। যেমন আপনি মাকের্টে গিয়ে ইচ্ছা না থাকা সত্বেও কিছু জিনিষ কিনলেন। অবশ্য ৯০০ টাকার জায়গায় ৮০০ টাকা দিলেন। ১০০ টাকা কম দিলেন হা হা হা। আবার সাথে বাচ্ছা নিয়ে গেছেন কিছু তো খরচ হবেই। যায়হোক সব মিলিয়ে ভাইল ছিল। ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া বাচ্চা নিয়ে গেলে কিছু না অনেক খরচ হয়, ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার কেনাকাটার মুহুর্ত পড়ে বেশ ভালোই লাগলো। মার্কেটে গিয়ে পরিচিত একজন দোকানদার পেয়ে আপনার বেশ ভালোই হয়েছিল। সবমিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন মা মেয়ে মিলে।আমাদের সাথে সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
সত্যি আপু পরিচিত লোক পেয়ে অনেক ভালোই হয়েছিল। মা- ও মেয়ে মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
কেনাকাটার মুহূর্তগুলো খুব সুন্দরভাবে কাটিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। কোকারিজ দোকান থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনেছেন। কেনাকাটার অভিজ্ঞতা খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। আমাদের মাঝে পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনার কেনাকাটার দৃশ্য দেখে মনে হলো যেন খুব আনন্দঘন একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন বাচ্চাদের সাথে। আর বিস্তারিত পরে বুঝতে পারলাম দোকানদার ভাইয়ের সাথে আপনার বেশ সুন্দর মিল রয়েছে। আপনার এই পোস্টের মধ্য দিয়ে বায়তুল মোকাদ্দেম ট্রাস মার্কেট সম্পর্কে অবগত হতে পারলাম।
জি ভাইয়া দোকানদার ভাইয়ের সাথে ভালোই মিল হয়েছে। ধন্যবাদ