রেল স্টেশনে তোলা কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি। (১০% @shy-fox এর জন্য বরাদ্দ।)
নমস্কার সবাইকে।
আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজ আমি স্টেশনে আমার স্ত্রীকে ট্রেন ধরাতে গিয়ে দেখি স্টেশনে বেশ কিছু গাছে সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটে আছে। সেখানে কিছু রেনডম ছবি তুলেছি যা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
দাদ মর্দন বা সেন্না আলাটা : এই ফুলটি আপনারা সকলে দেখেছেন, পথেঘাটে জঙ্গলে সর্বত্র এই গাছ দেখা যায়। ফুলগুলি উজ্জ্বল হলুদ রঙের এবং ফলগুলি চ্যাপ্টা ধরনের হয়। এই গাছের নাম বাংলায় দাঁদ মর্দন এবং ইংরেজি নাম সেন্না আলাটা। সাধারণত আগাছার মত যত্রতত্র এই গাছ জন্মায়। এই গাছের ব্যবহার তেমনভাবে না থাকলেও চর্ম রোগের ক্ষেত্রে এর পাতা ব্যবহার করা হয়। এই গাছের নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে দাঁদ হলে এর পাতার রস ব্যবহার হয়। স্টেশনের পাশের জঙ্গলে এই অবহেলিত অথচ সুন্দর ফুলের গাছটি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে অবস্থান করে স্টেশনের শোভা বর্ধন করছে।
বোগেনভেলিয়া বা বাগানবিলাস : এই ফুল দেখেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমি ছোটবেলা থেকেই এই ফুল গাছটিকে বহু বাড়িতে, পার্কে, স্কুল-কলেজে দেখেছি। বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এর জুড়ি মেলা ভার প্রায় সারা বছর দেখা যায় গাছ গুলি ফুলে ভরে রয়েছে। বোগেনভেলিয়া বা বাগানবিলাস বিভিন্ন রঙের হয়, যেমন লাল, হলুদ, কমলা, সাদা, রাণি, বেগুনী প্রভৃতি। গাছগুলি যেখানে থাকে সেখানকার সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। স্টেশনের ফুল গুলিও চমৎকার লাগছে।
পুটুস বা লান্টানা: এই গাছটিও একটি অবহেলিত গাছ। রাস্তার ধারে ঝোপের সৃষ্টি করা এই গাছ সবার পরিচিত। এই গাছ বনফুল হিসেবে পরিচিত হলেও এর আসল নাম পুটুস আর ইংরেজি নাম লান্টানা। এই ফুলগুলি বিভিন্ন রঙের হওয়ায় বর্তমানে বাহারি গাছ হিসেবে এ প্রচলন হয়েছে। বিভিন্ন নার্সারিতে এর বিভিন্ন ভ্যারাইটি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এই গাছগুলি দেখা যায় এর ফুলগুলি ছোট হলেও গুচ্ছের আকারে হয়ে থাকে। এই গাছের ছোট ছোট ফলগুলি কাঁচা অবস্থায় সবুজ রঙের আর পেঁকে গেলে কালো রং হয়। আমি ছোটবেলায় এই ফুলগুলো ও এই গাছের ফলগুলো নিয়ে বহু খেলেছি, তখন যদিও এর নাম আমার জানা ছিল না। গুগল করে উইকিপিডিয়া থেকে তা জানতে পেরেছি। স্টেশনের পাশে এই গাছের অনেকগুলো ঝোপ রয়েছে যেখান থেকে আমি ছবি গুলো তুলেছি। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি মথ ফুলের মধু খেতে এসেছে।
কুল গাছ : স্টেশনে ঢোকার মুখে একটা মাঝারি মাপের কুলগাছ রয়েছে। গাছে অজস্র ফুল ফুটেছে, ডালে ডালে ছোট ছোট কুলও ধরেছে। কুল খেতে কার না ভালো লাগে। তবে অনেকেই হয়তো ভালো করে কুলের ফুল কখনো লক্ষ্য করেনি। শরৎকালেই কুল গাছে ফুল ধরে এবং কিছুদিনের মধ্যে দেখা যায় গাছটি কুলে ভরে গেছে।
টেকোমা : কুল গাছ বাদে এই একটি গাছ যেটার নাম জানতে আমাকে গুগল করতে হয়নি। বাকি গাছ গুলোর নাম জানতে আমাকে গুগল করতে হয়েছে আর বাংলা নাম জানতে উইকিপিডিয়া (তথ্য সূত্র হিসেবে) ব্যবহার করতে হয়েছে। টেকোমা ফুল আমার খুব পছন্দের। বহুবার বাড়িতে এই গাছ লাগানোর ইচ্ছে করেছে, তবে স্থানাভাবে লাগানো হয়নি। আসলে এই গাছ খুব তাড়াতাড়ি বড়ো হয়ে যায়। তাই সঠিক জায়গায় না লাগালে গাছ রাখা যাবে না। শীতে অনেকদিন পর্যন্ত এই ফুল ফোটে। গাছ ভরে ফুল যখন ফুটে থাকে তখন খুবই সুন্দর দেখায়। স্টেশনের গাছটিতেও অনেক ফুল ফুটেছিল।
আশা করি আমার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলি সকলের ভালো লাগবে। সকলে ভালো থাকবেন আর সবাইকে ভালো রাখবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি কমেন্ট করে আমার পাশে থাকার জন্য।
আপনার সুন্দর ফটোগ্রাফির সাথে সাথে কিছু নাম না জানা ফুলের নামও জানতে পারলাম। ধন্যবাদ সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
দাদ মর্দন বা সেন্না আলাটা এই ফুলটি অনেক দেখেছি। তবে নাম জানতাম না। আজকে জানতে পেরে ভালো লাগলো। হলুদ রঙের এই ফুলটি দেখতে সত্যি অনেক সুন্দর। আর বাগান বিলাস যেখানেই থাকুক না কেন চারপাশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তোলে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু বাগানবিলাস বাগানের শ্রীবৃদ্ধি করে, সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য।
পুটুস আর দাদ মর্দন এই দুটোই রেল স্টেশনে সব সময় দেখা যায়। পুটুস তো আমাদের এলাকা থেকে একটু ভেতরে গ্রামের দিকে প্রায়ই দেখা যায়। এটা দিয়ে আবার রান্নাবাটি খেলতাম। একটা ঝাঁঝালো গন্ধ হয় এর। সব ফুলের ছবি সুন্দর হয়েছে। একেই বলে প্রকৃতি।
পুটুসের ফল আমরা লিচু পাতার সাথে খেয়ে ফেলতাম চিবিয়ে। লিচু পাতা খেলে পানের মতো মুখ লাল হতো। তাই পুটুসের সাথে আমাদের ছোটবেলা জড়িয়ে আছে। ধন্যবাদ আপু।
আপনার স্ত্রীকে ট্রেন ধরাতে গিয়ে আপনি খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। সেন্না আলাটা ফুলের নাম এর আগে কখনো শুনিনি, তবে ফুলটি দেখেছিলাম। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে আপনি ক্যাপচার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করার জন্য।
আপনার হলুদ রংয়ের ফুলটির ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। বন্য ফুল গুলোর ফটোগ্রাফি করলে খুবই সুন্দর ভাবে ফুটে উঠে। দেখতে যেন অন্যরকম ভালো লাগে। চারপাশের সৌন্দর্য ক্যামেরা বন্দি করতে আমি খুবই পছন্দ করি। আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সেগুলোর বর্ণনা খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।