✏✂DIY- Project এসো নিজে করি: ✉" চিঠির রঙিন খাম "📨📩 অংকন || ১০% বেনিফিশিয়ারি @shy-fox ||🦊
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন।আজকে আমি আপনাদের সাথে ভিন্নরকম একটা ডাই প্রোজেক্ট শেয়ার করবো। ডাই প্রজেক্ট এর নাম হলো কাগজের তৈরি চিঠির খাম । আগের যুগের একমাত্র বার্তাবাহক ছিল চিঠি কিন্তু, বর্তমানে ডিজিটাল যুগে এতবেশি মোবাইল ফোনে মেসেজ করা হয়। এখন আর মানুষের চিঠি পাঠানোর দরকার হয়না তবে, কিছু অফিশিয়াল কাজ অথবা চাকরির লেটার লিখতে হয় তখন বিভিন্ন ধরনের অফিসের কাজে ব্যবহার করা হয়। তাই চিঠির জন্য চিঠির খাম দরকার হয়ে থাকে এজন্য চিঠির খাম এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমরা সবাই চিঠি লিখতে পারলেও চিঠির খাম অনেকেই বানাতে পারি না। তো খুব সহজে কাগজের মাধ্যমে চিঠি বানানো যায়। চিঠির খাম রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো যায়। কিন্তু, আমার কাছে, রঙিন কাগজ না থাকায়, রঙ করে একটা সাদা কাগজকে পরিণত করেছি রঙিন কাগজে।সাদা কাগজে আমি রং করে নিয়েছি, সবুজ রঙের রং করা হয়েছে। তারপর থেকে চিঠির খাম তৈরি করা হয়েছে এটা খুবই মজাদার। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনাদেরকে দেখাবো এবং কিভাবে করতে হয় সেটা জানাবো।তো চলুন শুরু করা যাক।
🔖প্রোজেক্ট এর বিষয় 🔖
📨চিঠির রঙিন খাম 📨
🎨উপকরন🎨
- সাদা কাগজ
- রঙ
- কলম
- স্কেল
- কাচি
- আঠা
👇 ধাপ ১👇
প্রথমে একটি রঙিন কাগজ নিতে হবে সেই কাগজ কাচি দিয়ে কেটে নিতে হবে! দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ সমান থাকতে হবে। ২০ ইঞ্চি এবং 20 ইঞ্চি প্রস্থ এমন সাইজ করে কেটে নিতে হবে।
👇 ধাপ ২👇
এবার কাগজকে ভাঁজ করে নিতে হবে দুই পাশে দুই কোনা ভাঁজ করে নিয়ে নিতে হবে।
👇 ধাপ ৩👇
এবার নিচের দিকের কোণাটিকে একটি ভাঁজ করতে হবে তারপর আরো নিচের দিকে থেকে ছোট একটি ভাজ করে নিতে হবে।। ঠিক যেভাবে দেখানো হয়েছে এভাবে ভাজ করতে হবে।
👇 ধাপ ৪👇
এবার আঠা নিতে হবে, তারপর কাগজের চারপাশে, ভাঁজে ভাঁজে বিভিন্ন পয়েন্টগুলোতে আঠা লাগিয়ে দিতে হবে।
👇 ধাপ ৫👇
তারপর আঠা লাগানো জায়গাগুলোতে প্রথম থেকে একপাশ থেকে ভাজ করতে হবে। দুপাশ থেকে একে একে ভাজগুলা এটে নিতে হবে। তারপর নিচের দিকের পার্ট টিকে উপরের দিকে তুলে আঠা দিয়ে এতে নিতে হবে এভাবে সব কণাগুলো আটা দিয়ে নিতে হবে।
👇 ধাপ ৬👇
এবার নিচের দিকের সেই ছোট ভাজ টিকে মুড়ে দিবো।সুন্দর একটা সেপ হয়ে যাবে।
👇 ধাপ ৭👇
এবার একটি কলম দিয়ে খাম এর রঙিন কাগজের উপর বিভিন্ন পাশে নকশা একে নিতে হবে।
👇 ধাপ ৮👇
এবার নিচের অংশে সুন্দর ভাবে নকশা একে নিতে হবে।
👇 ধাপ ৯👇
খুব ধিরে ধিরে পুরোটা অংশে নকশা একে নিতে হবে।তাহলে চিঠিটা আরও বেশি সুন্দর লাগবে।এইতো তৈরি হয়ে গেলো রঙিন চিঠি'র খাম।
🧐এতোটা সময় নিয়ে আমার আকানো ছবিটি দেখার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।ছবিটি কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাবেন।🤗আমার পোস্ট গুলা এভাবেই দেখতে থাকুন!🙄 দেখতে দেখতে একদিন ভালো লাগা,ভালোবাসা হয়েই যাবে। 🙃😌🤫
আমি মেঘলা!অসাধারণ দের মাঝে অতি সাধারন একজন।আমার প্রিয় শখ হলো-ফুলের বাগান করা,ছবি আকা,ফটোগ্রাফি করা, মনের অনুভূতি গুলো নিয়ে লেখালেখি করা,অবসর সময়ে গান শোনা এছাড়াও আমি ঘুরতে ভীষন পছন্দ করি!জীবন আমাকে সবকিছু দিবেনা,তাই স্বল্প আশায় বাঁচি।আমি নিজেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখি,সেই স্বপ্নগুলা বাস্তবায়িত করতেই আমার এই পথচলা।স্বপ্ন পূরনে ব্যার্থ, হয়তো পিছনে ফিরে গিয়ে শুরুটা পরিবর্তন করতে পারবোনা কিন্তু এখন আবার শুরু করে শেষটা অবশ্যই পরিবর্তন করতে পারবো।
অসাধারণ হয়েছে আপনার তৈরি রঙিন কাগজের চিঠির খাম। আমার অনেক ভালো লেগেছে। এক কথায় দারুণ ছিলো। আপনি উপস্থাপন করছেন অনেক সুন্দর। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো
ধন্যবাদ, আমি চেষ্টা করেছি রঙিন কাগজ দিয়ে সুন্দর ভাবে চিঠির খাম তৈরি করার জন্য। অনেক সময় ব্যয় করেছি অবশেষে সুন্দর হয়েছে, এটা জানার পরে আমার নিজের কাছেও খুব ভালো লাগছে।
আপু আপনার রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো খামটি অনেক সুন্দর হয়েছে ।ডিজাইনটা খুব সুন্দর ভাবে করেছেন দেখতে অনেক আকর্ষনীয় লাগছে।খামে করে আমাকে একটা চিঠি দিয়েন আপু ।অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপু, আমি আপনার জন্য চিঠি লিখে আপনার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবো।☺
রঙিন কাগজ দিয়ে আপনি বেশ সুন্দর চিঠির রঙিন খাম তৈরি করেছেন। দেখে বেশ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আমি চেষ্টা করেছি।আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
রঙিন চিঠির খামটি অসম্ভব সুন্দর ভাবে আপনি তৈরি করেছেন। আমার একটা প্রজেক্টর কাজে খাম বানানো টা খুব দরকার ছিল।আর আপনি সেখানে খুব সুন্দর ভাবে সহজভাবে উপস্থাপন করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু, সুন্দর একটা চিঠির খাম বানানোর চেষ্টা করেছি। তবে এটা আপনার প্রজেক্টের জন্য উপকারে আসতে পারে এটা জানার পরে আরো ভালো লাগছে।
খাম তো বানিয়েছেন কিন্তু ভিতরে কি চিঠি দিছেন নাকি এমনেই রাখছেন😁😁😁।কবুতোর দিয়ে পোস্ট হবে চিঠি।
আপু খুব সুন্দর নকশা করে খামটি বানিয়েছেন।দেখতে দারুন লাগছে ধাপ গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।শুভ কামনা
জি ভাইয়া, ধন্যবাদ নকশা করে আঁকিয়েছে যেনো এটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। আর এই খামের মধ্যে যে কেউ যার যেটা ইচ্ছা, মনের কথা লিখে প্রিয় মানুষটাকে পাঠাতে পারে। সেজন্যই বানিয়েছি আমি লিখি নাই। তবে, সবাই যারা লিখতে পারে কোনো বিশেষ দিনে, যেটা ইচ্ছা লিখে তার প্রিয় মানুষটি কে দিবে।
পোস্ট ম্যান আমাকে বানাইয়েন😁😁😁😁
অবশ্যই ভাইয়া, আপনি আমার পোস্টম্যান হবেন।😆
😁😁😁😁য়েয়াহ
চিঠির আদানপ্রদান তো এখন নেই। একসময় এই চিঠির সোনালী অতীত ছিল কত কাজে ব্যবহার হত। এখন তো ইমেইল এর যুগ। এখন এত সুন্দর খাম দিয়ে কি করব।
যাইহোক আপু চিঠির খাম টা খুব সুন্দর তৈরি করেছেন।এবং খামের উপর ডিজাইন টা সুন্দর ছিল।
ওল্ড ইজ গোল্ড ☺সোনালী অতীত কি কখনো ফেলে আসা যায়। এখনো তো অনেক মানুষ চাইলেই, তার প্রিয় মানুষটিকে এরকম খাম দিয়ে অনেক গিফট দেয়, জন্মদিনে বা বিশেষ দিনে। তো সেই হিসেবে এটা তৈরি করেছি যেন কেউ চাইলে এই রকম তৈরি করতে পারে।
😍
চিঠির রঙিন খাম তৈরি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। রঙিন খাম তৈরির প্রতিটি ধাপ গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে যে কেউ রঙিন চিঠির খাম তৈরি করতে পারবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আমি ধাপে ধাপে সাজিয়ে লিখেছি, সবাই খুব সহজেই চিঠির খাম বানাতে পারবেন।
বাহ আপনি সেই আদি কালের কথা মনে করায় দিলেন। এক সময়ে চিঠিতে তথ্য আদান-প্রদান হতো এবং এত সুন্দর ভাবে কাজটি সম্পন্ন করেছেন। প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ভালো লাগলো আপনার প্রতি শুভকামনা রইল। আপনার কাজ বরাবরই অনেক সুন্দর হয়।
এটা আদিকালের বহুল প্রচলিত একটা মাধ্যম ছিল। কিন্তু, এখনও অনেকেই তাঁর প্রিয় মানুষটিকে গিফট দেয়ার জন্য পাশাপাশি কিছু বার্তা পাঠানোর জন্য। এইটা ব্যবহার করে থাকে, সেরকম কিছু তৈরি করতে পেরে নিজের কাছে খুব ভালো লাগছে। ধন্যবাদ
আপনার চিঠির জন্য তৈরি করা খামটি সুন্দর হয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি কিউট লেগেছে চিঠির খামের উপরে কলম দিয়ে করা ছোট্ট ডিজাইনটি। আপনার কাছ থেকে শিখে যে কেও সহজেই চটজলদি খাম তৈরি করে ফেলতে পারবে।
ধন্যবাদ আপু, আপনি খুব সুন্দর ভাবে কথাটি বলেছেন। আসলে চিঠির খাম টা বানানোর পর ওতোটা ভাল লাগছিল না, তখন চিন্তা করলাম একটু উপরে নকশা করার! এখন দারুন লাগছে।
চিঠির দিন তো প্রায় উঠেই গেছে। সত্যি সোনালী দিন গুলো চলে গেছে। আপনি আবার মনে করিয়ে দিলেন আপনার এই পোষ্ট টির মাধ্যমে । ভাল থাকবেন । শুভেচ্ছা।
পুরোনো সেই দিন কী চাইলেই ভোলা যায়।মাঝে মাঝে এভাবেই আবার মনে পড়ে যায়।