সমাপ্তির জীবনের কাহিনী—(২য় পর্ব)।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আজকের নতুন ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে সমাপ্তির জীবনের কাহিনীর দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করব। এর আগে আমি প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম। সমাপ্তি আসলে খুবই সুন্দর এবং মেধাবী একজন ছাত্রী। সে তার বাবা-মায়ের সব থেকে ছোট সন্তান। দশটা বোনের মধ্যে সেই ছিল সবথেকে ছোট এবং তার কোন ভাই নাই। তার বাবার অনেক সম্পত্তি। সমাপ্তির বাবা সমাপ্তি অর্থাৎ ছোট মেয়েকে অনেক লেখাপড়া করাতে চেয়েছিল এবং তাদের আশা ছিল সে অনেক বড় একটি চাকরি করবে। তারপর তাকে ধুমধাম সহিত বিবাহ দিবে । লেখাপড়া করানো শেষ হলেও ভালো কোন চাকরি এবং বিয়ে হচ্ছিল না। অনেক ভালো ভালো জায়গা থেকে দেখতে আসতো, পছন্দ হতো কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়েটা আর হতো না। অবশেষে ঢাকায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গেলে সেখান থেকে একটি পরিবার তাকে খুব পছন্দ করে এবং তাদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। অবশেষে দুই পরিবার রাজিও হয়ে যায়। এরপর থেকে আজকের গল্পটুকু লেখা শুরু করছি।
অবশেষে তাদের ধুমধাম সহিত বিবাহ কমপ্লিট হল। বিয়ের পর সমাপ্তি তার শ্বশুরবাড়ি ঢাকাতে চলে গেল। শ্বশুরবাড়িতে কাটানোর কিছুদিন পর জানতে পারলো তার স্বামী ব্যাবসা করতে যেয়ে লস খেয়ে বসে আছে এবং কয়েক লক্ষ টাকার দেনা রয়েছে। আর তাদের গ্রামে কোন বাড়ি ছিল না এবং জমি জাতি সবই তার কাকাদের নামে ছিল। কিন্তু সমাপ্তির শ্বশুর শাশুড়ি তাকে অনেক বেশি ভালোবাসতো। তারপরও সমাপ্তির মনে এবং তার বাবা-মার মনে অনেক কষ্ট লেগেছিল সমাপ্তির শ্বশুরবাড়ির আসল সত্যটা জানার পর।
তারপরও সমাপ্তি ঢাকায় তার শ্বশুরবাড়িতে সংসার করে যাচ্ছিল।
যেহেতু তার স্বামী অনেক টাকার দেনা ছিল তাই পাওনাদারেরা তার স্বামীর উপর খুব চাপ দিচ্ছিল টাকাগুলো ফেরত পাওয়ার জন্য।কিন্তু সমাপ্তির স্বামী কিংবা শশুরবাড়ির কেউই তাদের টাকাগুলো ফেরত দিতে পারছিল না। তাই সমাপ্তির স্বামীর ঢাকায় থাকা খুবই মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল দিন দিন। এই সময় সমাপ্তি কি করবে সেটা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিল না। সমাপ্তির বাবা-মার যেহেতু ভালো অবস্থা ছিল এবং তার থেকে বড় নয়টা বোন রয়েছে তাদের ভালো জায়গায় বিবাহ হয়েছে। তাই সমাপ্তি বিয়েতে অনেক গহনা পেয়েছিল।সেগুলো বিক্রি করে তার স্বামীর কিছু দেনা পরিশোধ করেছিল। এত গহনা বিক্রি করার পরেও কিন্তু তার স্বামীর সব দেনা পরিশোধ হয়েছিল না। এখনো অনেক লক্ষ টাকা বাকি রয়েছে।
এদিকে সমাপ্তি বিভিন্ন চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে যাচ্ছিল। ভাগ্যক্রমে সমাপ্তির সরকারি প্রাইমারি স্কুলে একটি জব হয়েছিল। আর এই জবটি সমাপ্তির বাবার বাড়ির এলাকাতেই হয়েছিল । সমাপ্তির বাবা মা আসলে বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছে। আর যেহেতু তাদের অনেক সম্পত্তি তাই সমাপ্তি তার স্বামীসহ বাবার বাড়িতে চলে আসলো। সমাপ্তিদের বাড়ি যেহেতু গ্রামে ছিল তাই সমাপ্তির স্বামী ঘর জামাই থাকার কারণে গ্রামের মানুষেরা নানা ধরনের কটু কথা বলতো। সমাপ্তির বাবা গ্রামের একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি। তার কাছেও সমাপ্তির স্বামীর নামে বিভিন্ন মানুষ কটু কথা বলতে কোন দ্বিধাবোধ করত না।
চলবে....!!!
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_Copy.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQL4SxGA9Sdnn4JMpnVSe79yHzro2uaokTzUcohwupjb2/Heroism_Copy.png)
আপনার এই গল্পটির প্রথম পর্ব আমার পড়া হয়নি। তবে এই পর্বটি পড়ে প্রথমের দিকে বেশ ভালো লাগছিল কারণ অনেক চেষ্টার পর সপ্তমীর বিয়ে হয়েছিল কিন্তু সেখানে তাকে ঠকানো হয়েছিল মিথ্যে কথা বলে। অবশেষে তার একটা চাকরি হয় এবং বাবার বাড়িতে আসে। আসলে আপু গ্রামের মানুষ এমনই যে কোনো বিষয় নিয়ে কথা শোনাতে তারা ছাড়ে না। যাইহোক এখন পরের পর্বে দেখার অপেক্ষায় রইলাম যে তাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,, গল্পটি পড়ে এত সুন্দর একটি মতামত দেওয়ার জন্য।