ছোটবেলার এক মজার কাহিনী || শৈশবের স্মৃতিচারণ
আমার বাংলা ব্লগের ভাই এবং বোনেরা কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমার আজকের পোস্টে থাকছে ছোটবেলার এক মজার কাহিনী কে কেন্দ্র করে। ছোটবেলায় বিভিন্ন কাহিনী আমাদের সাথে ঘটে থাকে যেটা মনে পড়লে খুব হাসি পায় এবং ভালো লাগা কাজ করে। ঠিক তেমনি হঠাৎ করে আজ আমার একটি ছোটবেলার কাহিনী মনে পড়ে গেল যেটা মনে পড়ে খুব হাসি পাচ্ছিলো। ছোটবেলায় আমরা না বুঝে এবং অন্যান্যদের সাথে মিলেমিশে অনেক কিছুই ভুল করে ফেলি।ঠিক তেমনি ছোটবেলায় সবার সাথে মিলে একটা ভুল করে অনেক বকা খেয়েছিলাম। এসব স্মৃতিগুলো মনে পড়লে আনন্দও লাগে আবার মনে হয় কেন ওই ভুল কাজটা করেছিলাম। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে ছোটবেলার মজার কাহিনী টা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আশা করি আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছোটবেলা বলতে যখন আমি ক্লাস থ্রিতে পড়তাম তখন এর কাহিনী এটা। আব্বুর চাকরির জন্য আমরা তখন ফ্যামিলি সহ শহরে থাকতাম। কিন্তু গ্রামে আমার দাদা-দাদি,চাচা-চাচি, ভাই-বোন সবাই থাকতো।আমার অনেকগুলো চাচা থাকায় ভাই বোনের সংখ্যা ও অনেক বেশি। আর গ্রামের আশেপাশে তো আরো ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ছিলই।আমরা তো শহরে থাকতাম তাই কয়েকদিনের জন্য আমরা গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলাম। গ্রামে আসার পরের দিন বিকালে আমার বয়সী কিংবা আমার থেকে ছোট-বড় ভাইবোনরা সবাই মিলে ঠিক করল ফসলের মাঠে যাবে ঘুরতে। মাঠ টা ছিল অনেক বড় প্রায় তিন-চারটা গ্রাম মিলিয়ে। তো আমরা বিকালে সবাই মিলে হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূরে চলে গেলাম। আমরা যেতে যেতে অনেক খেলাধুলা এবং বিভিন্ন ধরনের গল্প করতে ছিলাম।
আমারা যেতে যেতে হঠাৎ দেখি আপেল কুল বাগান। কুল বাগানটা অনেক খানি এরিয়া জুড়ে ছিলো। প্রচুর পরিমাণে আপেল কুল ধরার কারণে বাগানটা চার সাইড থেকে নেট দিয়ে ঘেরা দেয়া ছিল।তখন সবার মাথায় কুবুদ্ধি চাপলো আপেল কুল চুরি করে খাওয়ার জন্য। কারণ আপেল কুলগুলো এত সুন্দর দেখা যাচ্ছিল বাইরে থেকে যে খেতে মন চাচ্ছিল। আমরা ছোট মানুষ আমাদের তো খেতে মন চাইবেই☺️।তাই সবাই মিলে ডিসাইড করা হলো আপেল কুল বাগানের ভিতর ঢুকে ইচ্ছামতো আপেল কুল খাব। যেই ভাবা সেই কাজ। সবাই মিলে আস্তে আস্তে কুলবাগানের মধ্যে ঢুকে ইচ্ছামত খেয়ে নিলাম আপেল কুল এবং যে যার মত জামার মধ্যে এমনকি প্যান্টের পকেটের মধ্যে কুলগুলো ভরে নিয়েছে। আমিও কয়েকটা কুল আমার জামার মধ্যে গিট্টু দিয়েছিলাম।
হঠাৎ দেখি কে যেন চিল্লাচ্ছে। আমরা ভয়ে সবাই মিলে দৌড় শুরু করলাম। কিন্তু লোকটা আমাদের পিছনে পিছনে দৌড়াচ্ছে। ভয়ে আমাদের দৌড়ানোর শক্তি হারিয়ে গেল এবং লোকটা আমাদের ধরে ফেলল। তখন লোকটা আমাদের সবাইকে চেক করে অনেকগুলো আপেল কুল পেল। আমাদের খুব বকা দিয়েছিল সেদিন লোকটা এবং বুঝিয়েছিল যে এভাবে না বলে কারো কোন জিনিসে হাত দেওয়া উচিত নয়। তারপর কুলগুলো আমাদের কাছে দিয়ে আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল। আমরা বাড়িতে এসে কাউকে কিছুই বলেছিলাম না মার খাওয়ার ভয়ে।
ছোটবেলার মজার কাহিনীটা জানিনা কতটুকু আমি লিখে আপনাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি। আশা করি আমার আজকের লেখাটি আপনাদের ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে মন্তব্য করবেন। আজ এ পর্যন্তই, দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে ইনশা-আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ছোটকালের স্মৃতিগুলো তুলে ধরেছেন। ছোটবেলাই সবাই এই রকম ছোটখাটো চুরি করেছি। আমি অনেক ছোটবেলায় চুরি করে ডাব, আম, কলা খেয়েছি। আসলে কারোর জিনিস খাওয়ার আগে অবশ্যই তাকে জানিয়ে খাওয়া উচিত। কিন্তু ছোটবেলায় আমরা এই বিষয়টা তেমন গুরুত্ব দিতাম না। কারণ আমাদের কাছে চুরি করে খাওয়ার মজাটা ছিল অন্যরকম। আপনি কুল চুরি করে খেতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন বিষয়টা অনেক মজাদার ছিলো।
জ্বী ভাইয়া,আমাদের উচিত কারো জিনিস খাওয়ার আগে অবশ্যই তাকে জানিয়ে খাওয়া । সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
হুম। আপনাকে সু স্বাগতম আপু
আপু আমি জানতাম আপনাকে আমরা প্রতিযোগি হিসাবে পাবো। কারন আপনি বেশ ক্রেয়েটিভ একটি মানুষ। দারুন একটি পেইন্টিং করেছেন। আর করবেন নাই বা কেন আপনি তো অলস্কায়ার। আমি তো আর এগুলো পারি না। তাই আর অংশ গ্রহণও করলাম না। তবে আপনার জন্য শুভ কামনা রইল। আপু।
আপু এটা পেইন্টিং না, এটা শৈশবের স্মৃতি নিয়ে কিছু কথা লেখা ছিল।
আপু আপনার ছোটবেলার মজার কাহিনীটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলেই ছোট মানুষ হলে অনেক কিছুই দেখে খেতে ইচ্ছে করে। আর কুল তো সকলেরই প্রিয় হয়। সেই জন্যই আপেল কুলগুলো দেখে আপনাদের খুব খেতে ইচ্ছে করেছিল। তবে কুলগুলো নিয়ে আসার সময় লোকটি আপনাদেরকে একটু বকাবকি করেছিল দেখছি।
জ্বী আপু, ঠিক বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
শেষমেষ আপনি আপেল কুল চুরি করতে গিয়ে ধরা খেয়ে গেলেন। বিষয়টি খুবই হাস্যকর ব্যাপার। আসলে যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত হয় সে কথাটা অনেক সত্যি। গ্রামে গেলে অনেক মজা পাওয়া যায়।আসলে ছোটবেলায় এমন চুরির ঘটনা অনেক আছে। কিন্তু চুরি করে খাওয়া জিনিসের মজা ও আলাদা ছিল। বেশ আনন্দ পেয়েছি আপনার গল্পটি পড়ে সে সাথে অনেক হাসি ও পেয়েছে। যেহেতু আপনি গ্রামের জন্য নতুন তাই আপনাকে ধরতে অনেক সহজ হয়েছে হা হা হা।
গল্পটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ছোট বেলায় এমন অনেক ভুলবাল কাজ করা হয় বন্ধুদের সাথে মিলে। আজকালকার ছেলে মেয়েরা আর সেই শৈশব উপভোগ করতে পারে না। তাদের জীবন বন্ধি মোবাইল কিংবা ফ্ল্যাট বাড়িতে। কি মধুর ছিল আমাদের শৈশব। অনেক মজা পেলাম আপনার পোস্টটি পড়ে। এবং আমার এমন অনেক শৈশব স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। অনেক ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আমার পোষ্টটি পড়ার মাধ্যমে চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন আপু। আপনার মন্তব্যটি পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।