বছরের প্রথম চিতই পিঠা খাওয়ার অনূভুতি।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।
প্রতিদিন এর মত আজও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আমি আপনাদের সামনে হাজির হলাম। সকাল থেকে ভেবেই পাচ্ছিলাম না যে কি পোস্ট লিখব। অবশেষে মোবাইল ফোনের গ্যালারি ঘাটতে ঘাটতে কয়েকটি ছবি চোখের সামনে আসে। ভাবলাম সেটা নিয়ে একটি পোস্ট লিখে ফেলি। আসলে শরীরটা কয়েকদিন যাবত খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। কোন কিছু করতেই তেমন ভালো লাগেনা । তাই সেদিন বিকালবেলা আমরা দুজনে গিয়েছিলাম একটু বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে। বাইরে খুব একটা বের হওয়া হয় না। সেদিন বাইরে যেয়ে হাঁটাহাঁটি করতে বেশ ভালই লাগছিল।
কয়েকদিন ধরে পাকা কদবেল খেতে খুব ইচ্ছা করছিল। কিন্তু ঢাকার শহরে তো ভালো পাকা কদবেল পাওয়া খুবই মুশকিল। কিন্তু সেদিন যখন হাঁটতেছিলাম, তখন দেখলাম ভ্যানের উপর অনেকগুলো পাকা কদবেল নিয়ে একজন বিক্রি করছে । তখন ভ্যানের কাছে গিয়ে কদবেল গুলো দেখে বেশ ভালই মনে হলো। পাকা কদবেলের খুব সুন্দর স্মেল বের হচ্ছিল। একটা ভাল দেখে কদবেল চয়েজ করে মামাকে বললাম মসলা দিয়ে খুব সুন্দর করে মাখিয়ে দিতে। তিনি মাখিয়েও দিলেন কিন্তু রেখে দিলাম যে বাসায় যেয়ে খাব। কিন্তু পরবর্তীতে বাসায় যেয়ে খেয়ে দেখলাম কদবেল থেকে এমন একটা বাজে স্মেল আসছে এবং খেতে একদমই টেস্ট লাগছে না।
তারপর আরো কিছুক্ষণ হাঁটছিলাম। প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। তখন দেখলাম একটি চিতই পিঠার দোকান। শীতকালে চিতই পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। এই চিতই পিঠাগুলো দেখে বাড়িতে শীতকালের পিঠা খাওয়ার কথা খুব মনে পড়ছিল। আর মনে হচ্ছিলো, ইস!! কবে বাড়িতে যাব আর আম্মুর হাতের গরম গরম পিঠা খুব মজা করে খাব। আমার মনে হয় শীতকাল আসলে হরেক রকম পিঠার পাশাপাশি চিতই পিঠা এবং ভাঁপা পিঠা বেশি তৈরি করা হয়।
যাইহোক, দোকানটিতে চিতই পিঠার পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের ভর্তার আইটেম রয়েছে। ভর্তার আইটেমগুলো দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছিল। ভর্তাগুলো লোভনীয় লাগলেও খেতে আমার কেমন যেন লাগে। কারণ, রাস্তার পাশে এই দোকান বসে, ভর্তাগুলো কখনো ঢেকে রাখে না। আশেপাশে কত মানুষজন এবং গাড়ি চলে। কত ময়লা যে এই ভর্তার ভিতর রয়েছে কে জানে। তাই আমি বাইরের এই সকল খাবার খুব বেশি পছন্দ করি না খেতে। কিন্তু সেদিন খুব খেতে মন চাওয়াই কিছু চিতই পিঠা এবং পছন্দের কয়েকটি ভর্তা নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এখান থেকে আমাদের বাসা বেশি দূরে নয়। হেঁটে গেলে মাত্র চার পাঁচ মিনিট পথ।বাসায় যেয়ে চিতই পিঠার সাথে ভর্তা গুলো খেয়ে খুব ভালো লাগছিল। খুবই মজাদার ছিল খেতে।এ বছর এটাই প্রথম চিতই পিঠা খাওয়া তাই মনে হয় একটু বেশি মজা লেগেছিল খেতে।
যাই হোক, আজ আর বেশি কিছু লিখছি না। আশা করি আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমাকে জানাবেন। কোন ভুলক্রটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবার সুস্থতা কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_Copy.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQL4SxGA9Sdnn4JMpnVSe79yHzro2uaokTzUcohwupjb2/Heroism_Copy.png)
কি যে করেন না আপু এমন করে কি চোখের সামনে কেউ চিতই পিটা ঝুলায়। দেখে কিন্তু দারুন লাগছে। আর সাথে সাথে জিভে পানি টলমল করছে। আসলে দুজন পাশাপাশি হেটে এমন শীতের দিনে এত এত ঝাল ঝাল ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।
রাইট আপু।
বাহ দু'জনে তো বাহিরে ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন। ঢাকা শহরে যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই। তারজন্য মাঝে মাঝে এভাবে সন্ধ্যার পর হাঁটতে বের হলে খুব ভালো লাগে। আপনার মতো আমারও কিছুদিন আগে কদবেল খেতে ইচ্ছে করছিল। এমনকি কিনে এনেও ছিলাম কিন্তু অল্প খেয়ে কেন জানি আর খেতে পারলাম না। তবে এটা ঠিক বলেছেন শীতকালে চিতই পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে। আমরা জানি বাহিরের খাবার স্বাস্থ্যসম্মত নয় কিন্তু ইচ্ছে করলে থাকা যায় না। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু, চারিদিকে এত মানুষ ঢাকার শহরে যে কোথাও যেয়ে একটু শান্তি নাই। কিন্তু মাঝে মাঝে এভাবে হাঁটতে বের হলে খুব ভালই লাগে।
আসলে মাঝে মাঝে আমিও বুঝে উঠতে পারি না যে কি পোস্ট করব। আর হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন শরীর ভালো না থাকলে কাজেও মনোযোগ বসেনা। আসলে সুস্থতা সবার আগে। যাইহোক হাঁটতে বের হয়ে কদবেল দেখে খেতে ইচ্ছে হয়েছিল তার জন্য একটা কদবেল কিনে নিলেন কিন্তু সেটা খেতে ভালো ছিল না জেনে খারাপ লাগলো। আসলে কোনো কিছু খেতে ইচ্ছে হয়েছে সেটা কিনে নিয়ে গিয়েছি কিন্তু পরে সেটা খেতে ভালো না লাগলে খুবই খারাপ লাগে। যাইহোক আরো কিছুক্ষণ হাঁটার পর আপনি চিতই পিঠা এবং নানান ধরনের ভর্তা দেখে সেগুলো কিছুটা কিনে নিয়ে গেলেন এবং সেগুলো খেতে ভাল ছিল জেনে ভালো লাগলো। তবে হ্যাঁ ঠিক বলেছেন রাস্তার পাশের এই জিনিসগুলো খাওয়া ঠিক নয় কারণ কত যে ময়লা পড়ে তার কোনো ঠিক নেই। কিন্তু খাবারটা যদি দেখতে রুচিকর মনে হয় তাহলে আর প্রবলেম হয় না। আসলে রাস্তার পাশের খাবারে যতই ময়লা পড়ুক না কেন খাওয়ার সময় তো আর বোঝা যায় না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শরীর ভালো না থাকলে সত্যিই কিছু ভালো লাগে না। এত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই আপু আমি কখনোই কদবেল ভালো পাইনি ।জীবনে যতগুলা কদবেল কিনেছি সব কয়টা ভিতরে নষ্ট ছিল । কদবেলের ভর্তা খাওয়ার সৌভাগ্য এখন পর্যন্ত হয়নি আসলে । বছরের প্রথম চিত পিঠা খেলেন । চিত পিঠা সরিষার ভর্তা দিয়ে খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে আসলে । ধন্যবাদ আপু আপনাকে
ইস,,আপনার কদবেল কেনার ভাগ্যটাই খারাপ ভাইয়া । কিন্তু আমি জীবনে প্রচুর ভালো কদবেন খেয়েছি। কারন আমার নানু বাড়ি কদবেল গাছ আছে।
আসলেই আপু, আমি এ যাবতকালে ভালো কদবেল পাইলাম না 🙆♂️