প্রায় চারমাস পর বাবার বাড়ি ফেরা।
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকের পোস্টটা একটু অন্যরকম। কারণ আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব প্রায় চার মাস পর বাবার বাড়ি ফেরার অনুভূতি নিয়ে। আসলে এই চারটা মাস আমার কাছে অনেকটা সময়। চার মাস আগে পরীক্ষা শেষ করে যে শ্বশুর বাড়ি ফিরেছিলাম,এর মধ্যে আর যাওয়া হয়নি বাবার বাড়িতে। দূরের জার্নি হওয়ায় মন চাইলেও সব সময় যাওয়া যায় না। আমি মনে করি, মেয়েদের বাবার বাড়ি আসার আনন্দটাই অন্যরকম।
কয়েকদিন ধরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে।আজও তার ব্যাতিক্রম নয়। আমরা দুপুর ২ঃ০০ টার দিকে ঢাকা থেকে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আমরা যখন সিএনজিতে উঠেছিলাম তখন রাস্তায় এত গরম এবং জ্যাম ছিল যার জন্য বাস পর্যন্ত পৌঁছাতে আমাদের অনেক টাইম লেগে গিয়েছিল।বাসে উঠলে আমার বমি বমি ভাব এবং মাথা ব্যাথা করে। সেজন্য আমি বাসে উঠেই ঘুম দিয়েছিলাম।
এই প্রথম আমি বাসে করে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাচ্ছি। পদ্মা সেতু হওয়ার আগে ফেরি করে যেতে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘন্টা সময় লাগতো। কিন্তু এখন পদ্মা সেতু হওয়ায় পাঁচ থেকে ছয় মিনিটের মধ্যেই আমরা পদ্মা নদী পার হয়ে যায়। পদ্মা সেতু এই প্রথম সরাসরি চোখে দেখে খুব ভালো লাগছিল।আর যদি এই পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে হাঁটতে পারতাম তাহলে আরো বেশি ভালো লাগতো।
আমি বাসের মধ্যে অপেক্ষা করছিলাম এবং কিছুক্ষণের জন্য একটা ঘুম দিচ্ছিলাম। কারণ আমার বাসের ভিতর উঠলে খুব অস্বস্তি কাজ করে। পদ্মা সেতু পাওয়ার কিছুক্ষণ আগে সুমন আমাকে ডেকে দিল। তখন অপেক্ষা করছিলাম প্রথম পদ্মা সেতু দেখার জন্য। এরপর আমাদের বাস পদ্মা সেতুতে উঠল আর আমি মুগ্ধ হয়ে দেখলাম । এভাবে দেখতে দেখতে পদ্মা সেতু পার হওয়ার পর আমরা কালনা সেতু পার হলাম।
এখন খুব ভালো লাগা কাজ করছিল কারণ আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি আমাদের বাড়িতে পৌঁছে যাব। আমাদের বাড়িতে পৌঁছাতে রাত হয়ে গিয়েছিল। সাড়ে পাঁচ ঘন্টা জার্নির পর বাবার বাড়ি এসে পৌছালাম। অনেকদিন পর বাড়িতে এসে খুব ভালো লাগছিল। কিন্তু আমার আম্মুর অসুস্থতার জন্য খারাপও লাগছিল। আজ মূলত আমার বাবার বাড়ি আসার মূল কারণ হলো আমার আম্মুর অসুস্থতা। আমার আম্মু গত চার-পাঁচ দিন ধরে অনেক অসুস্থ সেজন্যই হঠাৎ করে আমার বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া। আসলে নিজের মা অসুস্থ থাকলে মোটেও ভালো লাগে না,সেজন্যই তো আর ঢাকা বসে থাকতে পারলাম না৷ সবাই আমার আম্মুর জন্য দোয়া করবেন,তিনি যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।
আশা করি আমার আজকের পোষ্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজ আর বেশি কিছু লিখছি না। দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপু আপনার আম্মুর অসুস্থতার কথা জেনে সত্যিই খারাপ লাগলো। দোয়া করি তিনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। আসলে বাসায় কেউ অসুস্থ হলে তখন ভীষণ খারাপ লাগে। আর যত দ্রুত তাদের কাছে পৌঁছানো যায় ততই ভালো লাগে। পদ্মা সেতু দেখার সৌভাগ্য এখনো হয়নি। তবে মনে হচ্ছে সেই আনন্দটা অনেক বেশি। যাইহোক আপু আপনি বাসায় গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার কমেন্ট পেয়ে।ধন্যবাদ কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য।
প্রথমে আপনার আম্মুর সুস্থতা কামনা করছি আন্টি যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যান। আসলে বাবার বাড়িতে যাওয়ার আনন্দটাই অন্য রকমের। আপনি যেহেতু অনেক দূরে আছেন তাই দীর্ঘদিন পরে গেলেন। সেই দীর্ঘদিন পরে যাওয়ার অনুভূতিটা আরো ভিন্ন ধরনের হয়। তবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে খুব সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেলাম পদ্মা সেতুর। যদিও সরাসরি দেখি নাই পদ্মা সেতু। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে বেশ ভালই লাগলো।
আপু অনেক ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।
খুব দ্রুত আপনার মায়ের সুস্থতা কামনা করছি আপু। মা অসুস্থ হলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। তবে একটা কথা বলতেই হয় ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু অসাধারণ ছিল। আমরা মেয়েরা বিয়ের পর যতই বয়স হোক না কেন বাবার বাড়িতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আশা করছি বাবার বাড়িতে খুব ভালো সময় কাটাবেন। ধন্যবাদ আপু বাবার বাড়িতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু। মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
পদ্মা সেতু আমাদের অনেকের কাছেই স্বপ্ন। এটার জন্য অসংখ্য মানুষের ভোগান্তি কমে গিয়েছে। আর সত্যি বলতে বাস জার্নিটা আমি নিজেও পছন্দ করি না। একেবারে অস্বস্তিকর। তবে বেশ চমৎকার ছিল আপনার বাবার বাড়ি ফেরার জার্নিটা। পথের অনেক গুলো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন।।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য।
আপু দ্রুত আপনার মার সুস্থতা কামনা করছি। আসলে আপু পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে সত্যি ভালো লাগে না।আর মেয়েদের জীবন এমনি শশুর বাড়িতে গেলে বাবার বাড়িতে দরকার ছাড়া যাওয়ার হয় না।যাইহোক আপনি প্রথম পদ্মা সেতু দিয়ে গিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো।আর মেয়েদের বাবার বাড়ি যাওয়ার আনন্দটা সব সময় বেশি থাকে। একটু দেরিতে হলেও বেশ ভালো ভাবে পোঁছাতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
দোয়া করি আল্লাহতালা যেন আপনার আম্মুকে সুস্থতা দান করেন।বাবার বাড়ি যাবার পথে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া,,, সাবলীল ভাষায় মন্তব্যটি করে পাশে থাকার জন্য।
আমাদের এলাকাতে ও একটানা কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। যাইহোক দীর্ঘদিন পরে বাবার বাড়িতে যাচ্ছেন তবে পদ্মা সেতুর উপর থেকে ক্যাপচার করা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সবশেষে দোয়া করি আপনার আম্মা যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।
অনেক ধন্যবাদ, আমার আম্মুর সুস্থতা কামনা করার জন্য।
আপু মেয়েদের বাবার বাড়ি যাওয়ার মত এত আনন্দ আর কোথাও পায় না। তাছাড়া আপনি ধীর্ঘ চার মাস পরে বাবার বাড়ি যাচ্ছেন। পদ্মা সেতু আমিও এখনো দেখি নাই। কারন আমাদের ঐদিকে যাওয়া পরে না। যায়হোক আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে পদ্মা সেতুর অনেক দৃশ্য দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ।
সত্যি, মেয়েরা বাবার বাড়ি যাওয়ার মত আনন্দ আর কোথাও পায় না। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।