শৈশবের স্মৃতি || মামা বাড়ির আনন্দ

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আমার শৈশবের স্মৃতি নিয়ে। শৈশবের স্মৃতিগুলো এমন যে মনে পড়লেই সেইসব দিনগুলোতে আবার ফিরে যেতে মন চায়। শৈশবের দিনগুলো খুবই মধুর হয়। ছোটবেলায় থাকে না কোন দায়িত্ব-কর্তব্যের ভর। শুধু মন খুলে খেলাধুলা, খাওয়া-দাওয়া এবং ঘোরাফেরায় ছিল ছোটবেলার মূল কাজ। ঠিক তেমনি ছোটবেলায় বেশি আনন্দের ছিল মামা বাড়ি ঘুরতে যাওয়া।

doll-1321150_1280.jpg
Source

গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন ছুটি পাওয়া মানেই মামা বাড়িতে যেয়ে প্রচুর আনন্দ করাই ছিল ছোটবেলার মূল উদ্দেশ্য। ছোটবেলায় মামা বাড়ি যাওয়ার আনন্দটা বলে বোঝানো সম্ভব না। মামা বাড়িতে ভাই বোন সবাই মিলে খুব মজা করতাম, খেলাধুলা করতাম, আড্ডা দিতাম মন ভরে। সেগুলো এখন চাইলেও সম্ভব হয়ে ওঠেনা। এগুলো এখন মনে পড়লে সেই সময় গুলোকে খুবই মিস করি।

আমরা এবং আমার মামাতো ভাই বোনরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমার মনে আছে একবার প্রচুর ঝড়, বাতাস হচ্ছিল । মামা বাড়ির পাশে ছিল বড় আম বাগান। সেই ঝড় বাতাসের মধ্যে আমরা এত মজা করে আম কুড়াচ্ছিলাম যা বলার মত না। প্রচুর বাতাসে আম গাছ থেকে পড়ছিল আর আমরা কে প্রথমে দৌড়ে যেয়ে আম ধরতে পারি সেটাই ছিল আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা । খুব মজা করতাম তখন।

আমার মামা বাড়ি ছিলো গ্রামে।মামা বাড়ির পাশে একটা নদী ছিল। সেই নদীতে আমরা সবাই মিলে গোসল করতে যেতাম। কিন্তু আমার অনেক ভয় লাগতো নদীতে নামতে তাই আমি নদীর পাড়ে বসে মগ দিয়ে পানি উঠিয়ে গোসল করতাম।

নানা-নানি, মামারা আমাকে খুব ভালোবাসতো। মামা বাড়ি থেকে যখন চলে আসার সময় হতো। তখন নানা-নানি, মামারা আমাকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য অনেকগুলো টাকা দিত। টাকাগুলো পেয়ে অনেক খুশি হতাম। কিন্তু মামার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে চলে আসার সময় খুব খারাপও লাগতো। নানা নানি মারা যাবার পর সেই আনন্দ আর মামা বাড়িতে পাই না। সবাই আমার নানা-নানির জন্য দোয়া করবেন।

আজ আমি আমার লেখা এখানেই শেষ করছি। আশা করি আমার আজকের এই লেখাটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই মন্তব্য জানাবেন।

আল্লাহ হাফেজ

1691507400587_compress31.jpg

আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। আমি একজন হাউজ ওয়াইফ এবং স্টুডেন্ট। আমি অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। আর্ট এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শিখতেও আমার আগ্রহ রয়েছে। আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব রেসিপি শিখতে। সেই সাথে এখানে সবার সাথে ভালো সময় কাটানো সম্ভব হবে আমি আশা করি। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।

New_Benner_ABB-6.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP


Heroism_Copy.png

20230619_2107145.gif

Sort:  
 11 months ago 

অনেক সুন্দর একটি গল্প আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে আমাদের সকলের জীবনে কমবেশি আমার অনেক ঘটনা থেকে থাকে। যেগুলো হঠাৎ মনে পড়লে অন্য কারো মাঝে ব্যক্ত করতে মন চায় এবং সেই সমস্ত স্মৃতিগুলো মনকে আনন্দ প্রদান করে থাকে।

 11 months ago 

জ্বী ভাইয়া ঠিক বলেছেন। আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।

 11 months ago 

প্রথমেই আপনার নানা নানীর জন্য দোয়া করছি।
আসলে ছোট বেলায় মামা বাড়িতে যে আনন্দ পাওয়া যায় সেটা আর কোথাও পাওয়া যায় না।
আমিও আপনার মতো মামার বাড়িতে গিয়ে আম কুড়িয়েছি অনেক, সত্যিই এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া, মামা বাড়িতে ছোটবেলায় যেভাবে আনন্দ করা যায় সেভাবে আর কোথাও আনন্দ করা যায় না।

 11 months ago 

আগে গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন ছুটি পেলে ছুটে চলে যেতাম মামার বাড়ি।মামার বাড়িতে গিয়ে মামাতো ভাই বোনদের সাথে কতই না মজা করতাম কত কিছুই না খেলতাম।আপনার পোস্টটি পড়ে সেই সকল স্মৃতি আমার মনে পড়ে গেল।অনেকদিন হয়ে গেল মামার বাড়ি গিয়ে আর মজা করা হয় না ।মামার বাড়ির আনন্দময় স্মৃতিময় মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

 11 months ago 

কারো শৈশবের স্মৃতি পড়তে গেলে নিজের শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে যায় এটাই স্বাভাবিক ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 11 months ago 

দোয়া করি আপনার নানা-নানী যেন জান্নাতবাসী হন।
আসলে সবার নানা বাড়িকে কেন্দ্র করেই অনেক মজার স্মৃতি থাকে আপনি যেমন ঝড়ের মধ্যে আম কুরানোর প্রতিযোগিতার কথাটি শেয়ার করলেন তেমন আমারও নানা বাড়িতে কেন্দ্র করে অনেক মজার স্মৃতি আছে। আচ্ছা আপু কে সবচেয়ে বেশি আম কুড়িয়েছিল??

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

প্রতিযোগিতা করে আম কুড়িয়েছিলাম মনে আছে কিন্তু কে সবথেকে বেশি আম কুড়িয়েছিল সেটা মনে নাই। ধন্যবাদ আপনাকে।

 11 months ago 

সত্যি বলতে আপু নিজের ছোটবেলার স্মৃতি গুলোকে এখনো অনেক মিস করি। কারণ ছোট থাকতেই তো সবচেয়ে বেশি দুষ্টু এবং হাসিখুশির মানুষ ছিলাম। কিন্তু এখন ব্যস্ততার মাঝে সেই ছোটবেলার স্মৃতিগুলোকে কেন জানি হারিয়ে ফেলি। ছোটবেলার মতো আর দৌড়াদৌড়ি খেলাধুলো হইচই এসব করা হয় না। আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার মায়ার কথা মনে পড়ে গেল। খুব মিস করতেছি সবকিছু কে। একবার তো মামার বাড়িতে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে মাথায় আমার একটি আম পড়েছিল। আসলে উপর থেকে আমার আমার মামাতো ভাই আম পারতেছিল তাই। আপনার পোস্টটি ভীষণ ভালো লাগলো পড়ে।

 11 months ago 

কারো ছোটবেলার কাহিনী পড়তে গেলে নিজের ছোটবেলার কাহিনী মনে পড়ে আপু এটা স্বাভাবিক। আর তখন ছোটবেলাটাকে খুব মিস করি।

 11 months ago 

সত্যি আপু শৈশবের মামা বাড়ির আনন্দটা সারাটা জীবন মনে হয় এভাবেই স্মৃতি হয়ে থাকবে। আসলে ছোটবেলায় অনেক মামা বাড়ি যাওয়া আসা করা হতো। কিন্তু এখন ব্যস্ততার মধ্যে আর তেমন একটা যাওয়া হয় না। আর আমাদের প্রত্যেকের জীবনে মামা বাড়ির নিয়ে একটি মজার ঘটনা থাকেই। ধন্যবাদ আপু।

 11 months ago 

এখন বড়বেলায় মামা বাড়ি গেলেও আগের মতো আর মজা করতে চাইলেও হবে না ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।

 11 months ago 

আপনার নানা-নানীর আত্নার শান্তি কামনা করি। আপনার পোষ্ট টি পড়ে একটা লাইন মনে পরে গেলো, " ঝড়ের দিনে মামার বাড়ি আম কুড়ানো সুখ" - ঝড়ের দিনে ধুপধাপ আম পরার শব্দটাতেও যেন আনন্দ লুকিয়ে থাকে। কে সবার আগে সেই আম কুড়াতে পারে এই প্রতিযোগিতা বোধ হয় ছেলে-বুড়ো মোটামুটি সবাই ই করে।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

খুব ভালো লাগলো আপু আপনার কমেন্টটি পেয়ে। সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59596.75
ETH 2659.83
USDT 1.00
SBD 2.45