মাত্র দুটি উপকরণে তৈরী মুড়ির মোয়া।
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই এবং বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। অনেকদিন পর আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করতে আসলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি মাত্র দুটি উপকরণ দিয়ে তৈরী করা মুড়ির মোয়া রেসিপি। খুবই কম সময়েই এই মুড়ির মোয়া তৈরী করা যায়। মুড়ির মোয়া তৈরী করার তেমন ঝামেলাও নাই। এই রেসিপিটি তৈরী করা যেমন একদম সহজ তেমনি খেতেও কিন্তু অনেক মজা। তাই ঝটপট আপনারা এই রেসিপিটি তৈরী করে সকাল সন্ধ্যায় নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন। মুড়ির মোয়া এভাবে তৈরী করে এয়ার টাইট বক্সে ভরে অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়। অনেকেই হয়তো এই রেসিপিটি তৈরী করতে জানেন। তারপরও আপনাদের সাথে রেসিপিটি শেয়ার করে নিচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
• মুড়ি
• খেঁজুরের গুড়
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে একটি কড়াইতে গুড় দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে যতক্ষন না গুড় আঠালো হয়ে আসে।
খেঁজুরের গুড় আঠালো হয়ে আসলে দিয়ে দিবো কয়েকটি লেবুর পাতা। এটা অপশনাল। দিতেও পারেন আবার নাও দিতে পারে। কিন্তু লেবুর পাতা এই পর্যায়ে দিলে খুব সুন্দর একটা স্মেল বের হয় মোয়া দিয়ে।
![]() | ![]() |
---|
এই পর্যায়ে দিয়ে দিবো মুড়ি। মুড়ি এখন গুড়ের সাথে খুব ভালো করে মেশাতে হবে।
![]() | ![]() |
---|
খেঁজুরের গুড় এবং মুড়ি মেশানো কম্পলিট হলে চুলা অফ করে দিতে হবে।
এখন গরম গরম হাতে সামান্য তেল মাখিয়ে মুড়ির মোয়ার শেপ অনুযায়ী তৈরী করে নিবো। মুড়ির মোয়া তৈরী করার জন্য হাত দিয়ে খুব ভালো ভাবে চেপে চেপে তৈরী করতে হবে।
![]() | ![]() |
---|
এখন ঠান্ডা হওয়ার জন্য একটি ছড়ানো পাত্রে রেখে দিবো। হালকা ঠান্ডা হয়ে আসলেই অনেক শক্ত এবং মুচমুচে হয়ে যায় এই মুড়ির মোয়া। ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি এয়ার টাইট বক্সে করে রেখে দিবো।
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি পোস্ট। পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটি অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে ইন-শা-আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_Copy.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQL4SxGA9Sdnn4JMpnVSe79yHzro2uaokTzUcohwupjb2/Heroism_Copy.png)
-
খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। শীতের সময় এধরনের মুড়ির মোয়া খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে কখনো খেজুরের গুড়ের মোয়া খাওয়া হয়নি। আমাদের দিকে আখের গুড় দিয়ে মোয়া তৈরি করা হয়। তবে মুড়ির মোয়া দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আখের গুড়ের থেকে খেঁজুরের গুড়ের টেস্ট কিন্তু বেশি মজা। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য।
বাহ আপু দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুব মুচমুচে ছিলও।আর যেহেতু সাথে লেবু পাতা দিয়েছেন। সেহেতু মোয়া তে লেবুর সুন্দর একটা সুগন্ধ ছিলও।আসলে এতো সহজে স্বাস্থ্যসম্মত মুড়ির মোয়া বাসায় তৈরি করে খেতে পারলে তো আর কোন কথাই নেই।
মোয়াগুলো তৈরি করার পর অনেক মুচমুচে হয় এবং লেবুর পাতা দেওয়ার কারণে সুন্দর একটি স্মেল বের হয়।
গুড় দিয়ে মুড়ির মোয়া খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনি দেখি খুব সহজেই মুড়ির মোয়া তৈরি করে দেখিয়েছেন। আপনার রেসিপি দেখে দেখে শিখে নিলাম। বাসায় একদিন তৈরি করার চেষ্টা করবো। ভালো ছিলো রেসিপি আপু অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার রেসিপি দেখে আপনি শিখে নিয়েছেন। অবশ্যই একদিন বাসায় ট্রাই করবেন এবং আমাকে জানাবেন কেমন হয়েছিল খেতে।
মুড়ি দিয়ে এভাবে মোয়া তৈরি করতে বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। তবে এই মোয়া তৈরি করতে অনেক জনের প্রয়োজন হয়। কেননা মোয়া তৈরীর সময় যদি খেজুরের গুড় মুড়ির গায়ে লেগে শুকিয়ে যায় তাহলে আর এটি গোল করা যায় না। আবার গরম গরম মুড়ি গোল করতে গিয়ে হাত একদম লালচে হয়ে যায়। দুইটি উপকরণ দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে মোয়া তৈরি করেছেন। দেখতে খুবই ভালো লাগছে এগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
সবাই মিলে এগুলো তৈরি করতে বেশ মজা লাগে আপু।
লোভনীয় একটা জিনিস তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই জিনিসটা আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে। যেহেতু আপনি এটা খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি করেছেন তাই এটা খেতে আরও বেশি সুস্বাদু হয়েছে।
মুড়ির মোয়া খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি করলে বেশি টেস্টি হয় খেতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমাদের বাসায়ও কয়েকদিন আগে এভাবে মুড়ির মোয়া তৈরি করা হয়েছিল। আসলে এগুলো তৈরি করা তেমন একটা কঠিন নয়। আর আমার কাছে খেতেও ভালোই লেগেছে। আপনি আজকে এই রেসিপিটি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। তবে আপনি লেবুর পাতা ব্যবহার করেছেন। লেবু পাতার স্মেলটা আসলেই বেশ ভালো লাগে। এগুলো খেতে নিশ্চয়ই বেশ সুস্বাদু হয়েছে।
মুড়ির মোয়াতে লেবুর পাতা দিলে দারুন একটা স্মেল বের হয়। খেতে সত্যিই খুব সুস্বাদু হয়।
মুড়ির মোয়া ছোট বেলায় আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার ছিলো। এভাবে মুড়ির মোয়া বানিয়ে খেতে দারুন মজা লাগে। তবে অনেক দিন হয়েছে মুড়ির মোয়া খাওয়া হয়না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে এতো মজাদার একটি খাবার দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ তৈরির প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করে দেখানোর জন্য।
আগে গ্রামাঞ্চলে এগুলোর প্রচলন খুব ছিল। কিন্তু বর্তমানে এটা হারিয়ে যাচ্ছে।
আপু আপনার মুড়ির মোয়া গুলো দেখে লোভ লেগে গেল। সত্যি আপু কম উপকরণ দিয়ে অনেক মজার একটি খাবার তৈরি করেছেন। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। দেখি একদিন আপনার মত তৈরি করব। ধন্যবাদ অপু ও সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এভাবে একদিন বাসায় ট্রাই করবেন আপু। আশা করি ভালো লাগবে এবং আমাকে জানাবেন কেমন হয়েছিল খেতে।
ছোটবেলায় দেখেছি আমার মা চাচিরা সবাই মিলে একসাথে এই খাবারটা তৈরি করত। আখের গুড় আর মুড়ি এর সমন্বয়ে তৈরি করা হয় অসাধারণ একটি মোয়া। এ জাতীয় মিষ্টি রেসিপিগুলো হাতে করে খেয়ে বেড়াতে বেশ ভালো লাগতো। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুশি হলাম।
আখের গুড়ের মোয়া থেকে খেঁজুরের গুড়ের মোয়া কিন্তু বেশি মজা লাগে খেতে ভাইয়া।
বাহ! একদম ইজি ওয়েতে মুড়ির মোয়া তৈরি করে দেখালেন আপু। আমরা এটাকে লাড়ু বলি। খেতে ভালো লাগে। ছোটবেলায় এক টাকা দিয়ে কিনে খেতাম।
মুড়ির মোয়া কিংবা লাড়ু যেটাই বলুক না কেন খেতে কিন্তু খুবই মজা।