মুরগীর ঝাল ভুনা রেসিপি
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালই আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আরো একটি পোস্ট নিয়ে আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজ আমি আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করব। আমার আজকের পোষ্টে থাকছে মুরগীর ঝালভুনা রেসিপি। জানি এই রেসিপিটা অনেকেই পারে কিন্তু আমি কিভাবে মুরগী রান্না করি সেটা চলুন দেখে নেয়া যাক।
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | মুরগীর মাংস | ১.৫কেজি |
২ | পেঁয়াজ কুচি | ১কাপ |
৩ | রসুন ভাটা | ২চামচ |
৪ | আদা বাটা | ১চামচ |
৫ | সরিষার তেল | পরিমাণ মতো |
৬ | তেজপাতা | ১টি |
৭ | এলাচ | ৪টি |
৮ | লবঙ্গ | ৫/৬টি |
৯ | দারুচিনি | ২টুকরো |
১০ | গোলমরিচ | ৫/৬টি |
১১ | লেবুর রস | ২চামচ |
১২ | ভাজা গরম মসলা গুড়া | ১চামচ |
১৩ | লবণ | পরিমাণ মত |
১৪ | হলুদ | পরিমাণ মতো |
১৫ | জিরা গুড়া | এক চামচ |
১৬ | ধনিয়া গুড়া | এক চামচ |
১৭ | লাল মরিচের গুঁড়া | দুই চামচ |
১৮ | কাঁচা মরিচ ফাঁলি | ২/৩টা |
মাংসগুলো লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে আধা ঘন্টার জন্য মেরিনেট করে রেখে দিবো।আধা ঘন্টা পর মূল রান্না শুরু করবো।প্রথমে কড়াইতে সরিষার তেল গরম করে গোটা গরম মসলাগুলো তেলের উপর দিয়ে দিব।
স্মেল বের হওয়ার পর পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে দেব। তারপর কিছুক্ষণ লাল করে ভেজে নেব।
পেঁয়াজগুলো লাল করে ভেজে নেওয়ার পর আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে হালকা নাড়াচাড়া করব। এরপর দিয়ে দেবো গুড়া মসলাগুলো।
এখন মসলাগুলোর ভিতর হালকা পানি দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিব। যতক্ষণ না মসলার উপর তেল উঠে আসবে ততক্ষণ মসলাগুলো ভালোভাবে কষাতে হবে।
মসলা কষানোর শেষ হলে তার মধ্যে মাংসগুলো দিয়ে দেব। এখন নেড়েচেলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে আস্তে আস্তে কষিয়ে নেব। মাংস কষানোর জন্য এক্সট্রা কোন পানির ব্যবহার করব না। ফার্মের মুরগির মাংস থেকে এমনিতেই পানি বের হয়। আর সেটা দিয়েই মাংস কষানো শেষ করব।
মাংস ভালোভাবে কষানোর শেষ হলে পরিমাণ মতো ঝোলের পানি দিয়ে দিব।
এখন ঝোল শুকিয়ে আসলে মাংস নামানোর আগে এক চামচ ভাজা গরম মসলার গুড়ো দিয়ে নামিয়ে নিব।
আমার মাংস রান্না কমপ্লিট। এখন পরিবেশন করার পালা।
আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের পছন্দ।কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। আমি একজন হাউজ ওয়াইফ এবং স্টুডেন্ট। আমি অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। আর্ট এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শিখতেও আমার আগ্রহ রয়েছে। আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব রেসিপি শিখতে। সেই সাথে এখানে সবার সাথে ভালো সময় কাটানো সম্ভব হবে আমি আশা করি। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ঝাল ঝাল মুরগির মাংসের ভুনা রেসিপি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে আপু। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি পরিবেশন করেছেন। দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু মুরগির মাংসের রেসিপি শেয়ার করার জন্য ।
আমার পরিবেশন করাটা যে আপনার কাছে পছন্দ হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো। মতামত দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মুরগির মাংসের ঝাল ভূনা দেখে জিভে জল চলে আসতেছে আপু।চমৎকার ভাবে রান্নাটি করছেন।এইরকম ভাবে মুরগির মাংসের ঝাল ভূনা রান্না করলে অনেক সুস্বাদু হয়। আপনি দারুণ ভাবে রান্নার ধাপ গুলো উপস্থাপন করেছেন। আপনার পরিবেশন দেখেই বুঝা যাচ্ছে রান্নাটি সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
উৎসাহমূলক কমেন্ট করে আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
মুরগির মাংস খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে আর ঝাল ঝাল করে রান্না করলে তো কথায় নেই। আপনার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। কলার টি বেশ লোভনীয় লাগছে। রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
উৎসাহ মুলক কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
মুরগির মাংস যত ঝাল তত স্বাদ। বিশেষ করে ঝাল ঝাল মুরগির মাংসের সাথে গরম গরম ভাত খেতে খুবই মজা লাগে।যাইহোক আজকে আপনার তৈরি মুরগির মাংসের ঝাল রেসিপি দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে।দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছিল।মুরগীর মাংসের এত সুন্দর একটি মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
ঠিক ভাইয়া। মুরগির মাংসটা খেতে আসলেও অনেক মজাদার হয়েছিল।
ওয়াও মুরগির ঝাল ভুনার দুর্দান্ত একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি আপু।আপনার রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থাপনা চমৎকার ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার কমেন্ট আমাকে অনেক বেশি উৎসাহিত করলো আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
আসলে আপু কিছু কিছু রান্না সবাই পারলেও সবার রান্নার হাত কিন্তু এক রকমের নয় । কিছু ভিন্নতা থাকবেই ।যেমন আপনার আজকের রান্নাটিতে আমার কাছে বেশ কিছু ভিন্ন বিষয় পরিলক্ষিত হয়েছে। যেমন আপনি সরিষার তেল ব্যবহার করেছেন ।আবার লেবুর রস, গোল মরিচ ব্যবহার করেছেন ।এগুলো কিন্তু আমি ব্যবহার করি না। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ভিন্নতা আসলো এবং আপনার থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আমরা প্রায় সব রান্নাই সরিষার তেল খেয়ে থাকি আপু। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই মজাদার এবং লোভনীয় একটি মুরগির ঝাল ভুনা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল এবং আপনি দারুণভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে আরো বেশি ভালো লাগছে। এত মজাদার এবং লোভনীয় একটি মুরগির ঝাল ভুনা রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সত্যিই রেসিপিটা অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনার মুরগীর ঝাল ভুনা রেসিপি দুপুর বেলায় দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। আসলে এধরনের রেসিপি গুলো লোভনীয় খাবার। আসলে মুরগীর মাংসের মধ্যে একটু ঝাল বেশি করে দিয়ে রান্না করলে খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। আপনার পরিবেশন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম ভাইয়া।সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদিন দাওয়াত দিয়ে এভাবে খাবার পরিবেশন করবেন হি হি হি। মুরগির মাংস রেসিপি আমার কাছে বেশ মজা লাগে আর একটু ঝাল বেশি হলে সেই মাংসের রেসিপিটা আরো বেশি সুস্বাদু হয়। দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক মজা হয়েছে তবে খেতে পারলে আরো বেশি ভালো লাগতো 😜
যেদিন আপনাকে দাওয়াত দিব সেদিন সব তরকারি তে অনেক বেশি ঝাল দিব 😅দেখবো কতো ঝাল খেতে পারেন।
হা হা হা।
মুরগীর ঝাল ভুনা রেসিপি টি দেখে জিভে জল চলে আসলো আপু। আমরাও অনেকটা এই ভাবেই মুরগির মাংসের রেসিপি করে থাকি। তবে আপনি এত সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছেন যা সবার নজর কেড়ে নেবে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পরিবেশনটা আসলেও অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।