লোভনীয় কদবেল ভর্তা রেসিপি।
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই এবং বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।আজ আমি আপনাদের সাথে একটি লোভনীয় ভর্তা রেসিপি শেয়ার করব। অবশ্য টাইটেল দেখে আপনারা ইতিমধ্যে বুঝে গিয়েছেন আমি আজ কি রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি। আর এটাও জানি টাইটেল পড়েই অনেকের মুখে জল চলে এসেছে 🤤। আসলে মুখে জল আসারই কথা। কারণ টক ঝাল মিষ্টি কদবেল ভর্তার রেসিপি দেখলে খাওয়ার আগেই জিভে জল আসবে এটা স্বাভাবিক। আর আমার মনে হয় এই ধরনের লোভনীয় ভর্তাগুলো সবাই পছন্দ করেন। আমার কাছে তো পাকা কদবেল মাখানো খেতে খুবই মজা লাগে। অঞ্চল ভেদে একেক জন একেক রকম ভাবে এই কদবেল মাখা করতে পারে। কিন্তু আমি কিভাবে এই কদবেল মাখা করি সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসলাম।
• কদবেল ২টি
• কাঁচামরিচ ২টি
• স্বাদমতো লবণ
• চিনি ১ চামচ
• চাট মশলা
• লেবুর পাতা
• সরিষার তেল ১ চামচ
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে কদবেল দুইটি ভেঙে নিব। কিন্তু কদবেল দুটি ভাঙার পর দেখলাম একটি পাকা এবং অপরটি কাঁচা😥।যাইহোক, সমস্যা নাই।
আমি কদবেল গুলো একটি প্লেটে ছাড়িয়ে নিলাম। কাঁচা কদবেলটি চামচের সাহায্যে একটু কষ্ট করে ছাড়িয়ে নিতে হয়েছে।
কাঁচা মরিচ, লবণ, চিনি, চাট মশলা (বিট লবণ, ভাজা জিরা গুড়া,ভাজা শুকনা মরিচ গুড়া উপকরণ রয়েছে)। এই সবগুলো উপকরণ একসাথে খুব ভালোভাবে চটকিয়ে কদবেলের সাথে ভর্তা করে নিব।
কদবেল মাখার মধ্যে এখন দিয়ে দেবো দুই তিনটা লেবুর পাতা আর এক চামচ সরিষার তেল। এখন খুব ভালোভাবে হাত দিয়ে মেখে নিব।
এরপর একটি পাত্রে পরিবেশন করে নিয়েছি।
আশা করি আজকের এই কদবেল মাখা রেসিপিটি দেখে অনেকেরই লোভ লাগছে। এরকম কদবেল মাখা রেসিপি দুপুরবেলা খেতে অনেক মজা লাগে। রেসিপিটি যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য জানাবেন। সবার সুস্থতা কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_Copy.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQL4SxGA9Sdnn4JMpnVSe79yHzro2uaokTzUcohwupjb2/Heroism_Copy.png)
আপু আপনি তো দেখছি আমার দুর্বলতাকে তুলে ধরেছেন। কদবেল খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে, আর যদি এভাবে ভর্তা তৈরি করা হয় তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগে খেতে। আমাদের এই দিকে তো কদবেল একেবারেই পাওয়া যায় না। তবে মাঝে মাঝে যদি কোথাও দেখি তাহলে খাওয়ার চেষ্টা করি। এমনিতেই এগুলো দেখলে লোভ লেগে যায়। আর ভর্তা হলে তো লোভ সামলাতেই পারি না কোন রকম ভাবে। বুঝতেই পারতেছি আপনি এই ভর্তাটা অনেক মজা করে খেয়েছিলেন। এরকম ভর্তা মজা করে খাওয়ারই কথা।
কেনা কদবেল বেশীরভাগই পচা হয়। গাছপাকা কদবেল খেতে অনেক মজা লাগে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
সত্যিই আপু,কদবেলের নাম শুনেই জিভে জল চলে আসছে।তাছাড়া আপনার কদবেল মাখাটি সুন্দর হয়েছে।আপনি তো দেখছি কাঁচা ও পাকা দুটি কদবেল-ই ব্যবহার করেছেন।পূজা দেখতে গিয়ে কদবেল মাখা খেয়েছিলাম এই বছর।এটা আসলেই বেশ মজার তবে আপু কাসুন্দি দিলে আরো বেশি মজার হয় খেতে,ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু,আমার কাসুন্দি খেতে তেমন ভালো লাগে না। মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
এরকম মজার মজার খাবারগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করে এত বেশি লোভ লাগিয়ে দেন কেন এটাই বুঝি না। লোভনীয় কদবেলের ভর্তা রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছে করতেছে। নিশ্চয়ই অনেক বেশি লোভনীয় হয়েছিল এটা আর খেতেও খুব ভালো লেগেছিল। বাটির মধ্যে যেভাবে নিয়েছেন এভাবে আমাকে দিয়ে দিলে বেশ মজা করেই খেতে পারতাম।
এ ধরনের রেসিপি দেখে যেমন লোভনীয় মনে হয় খেতেও অনেক সুস্বাদু লাগে।
আমার জীবনের আফসোস এই কদবেল খেতে পারলাম না! এটার ভর্তা নাকি অনেক মজা লাগে। আমার অবশ্য দেখেই লোভ লেগে গেল 🙆♂️
ইস!! আপনার জন্য মায়া লাগছে।
কদবেল খুব মজাদার একটি সুস্বাদু ফল।আমিও কয়েক দিন আগে এই মজাদার ফল টি মাখা খেয়েছি। খুব ভালো লেগেছিল। আপনার কদবেল মাখা গুলো খুব লোভনীয় লাগছে।সত্যি আপু আপনার কদবেল মাখা দেখে লোভ লেগে গেলো।
আমার তো আপু কমেন্ট রিপ্লাই দিতে এসেই কদবেল মাখা আবার চোখের সামনে দেখে লোভ লাগছে।
জল আসে মানে। আমি তো মন্তব্য করতে করতে মুখের অবস্থা খারাপ। হি হি হি। আচ্ছা আপু ভর্তা করার আগে একটু জানালে হতো না? বেশ দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। টক মিষ্টি আর ঝাল কটবেল ভর্তা। আপনার তৈরি করা আজকের রেসিপিটি কিন্তু বেশ লোভনীয় হয়েছে আপু। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের কমেন্ট পড়ে আমার নিজেরই আবার লোভ লাগছে কদবেল ভর্তা রেসিপি টির জন্য।
ছোটবেলায় এরকম কদবেল ভর্তা অনেক খেয়েছি। তবে অনেকদিন ধরে কদবেল ভর্তা খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে এখনই একটু টেস্ট করতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু। ভালো থাকবেন।
আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন টক ঝাল মিষ্টি এরকম কদবেল মাখা দেখলে খাওয়ার আগেই জিভে জল চলে আসে। কদবেল বরাবরই আমার অনেক বেশি পছন্দের আপনার এই কদবেল মাখা রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু ছিল কারণ আপনি অনেকটা ইউনিকভাবে এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন। মজাদার এই কদবেল ভর্তা রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের এদিকে এভাবে কদবেল মাখা করে খাওয়া হয়। খুবই মজা লাগে খেতে।
আপনার কদবেল ভর্তা রেসিপি দেখে আমার মুখে পানি এসে গেছে। এখন যদি না দেন তাহলে মন খারাপ করব। এমন লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করলে কি আর চুপ থাকা যায়।থাক আর বেশি কিছু বলব না। এবার থেকে জিহ্বায় পানি আসা রেসিপি দিলে অবশ্যই আমাদের কথা মনে রাখবেন। শুভকামনা রইল আপু।
অবশ্যই আপু, আপনাদের নিয়ে একসাথে এই কদবের ভর্তা রেসিপিটি খেতে পারলে অনেক মজা হত।
সত্যিই আপু, রেসিপির নাম শুনেই জিভে জল চলে আসলো। দারুণ স্বাদের টক ঝাল মিষ্টি কদবেল ভর্তা তৈরী করেছেন আপনি। খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে রেসিপিটি। রেসিপিটি তৈরীর প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
এই রেসিপিটির নাম শুনলে সবার জিভে পানি আসবে এটা স্বাভাবিক আপু । অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।