অসমাপ্ত প্রেমকাহিনী।
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই এবং বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।আজ আমি আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করতে আসলাম। গল্প বললে অবশ্য ভুল হবে এটি মূলত একটি বাস্তব কাহিনী। আর আজকের এই গল্পটি মূলত আমার এক বান্ধবীর সাথে ঘটে যাওয়া বাস্তব কাহিনী। আমরা যখন ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়াশোনা করি তখনকার ঘটনা এটা। আমরা অবশ্য একই ক্লাসে পড়তাম কিন্তু সাবজেক্ট ছিল আলাদা। ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়া কালীন আমাদের ৪-৫ জন বান্ধবীর বাড়ি একই এলাকায় হওয়াতে কলেজে আমরা একসাথে যাওয়া আসা করতাম প্রায়। কিন্তু কলেজে যাওয়ার পর আমি তাদের থেকে আলাদা হয়ে যেতাম কারণ আমার সাবজেক্ট ছিল ভিন্ন। কলেজ থেকে বাড়ি আসা যাওয়ার সময় তাদের সাথে আমার দেখা হতো এবং কথা হতো।
আমার ওই বান্ধবী গুলোর ভিতর থেকে একটি মেয়ে যার নাম ছিল ইভা। সে একটি রিলেশন করতো। কিন্তু তাদের রিলেশন এর মধ্যে একটি সমস্যা ছিল মেয়েটি মুসলমান এবং ছেলেটি হিন্দু। আমাদের সমাজে ভিন্ন ধর্মের দুটি ছেলে মেয়ের সম্পর্ক কখনো কেউ মানবে না। এটা তারা জানার পরও তাদের ভালবাসার সম্পর্ক চলেই যাচ্ছিল রীতিমত। আমরা ইভা কে অনেক বোঝাতাম যে এসব না করতে। কিন্তু সে আমাদের কোন কথাই শুনতো না। তারা মাঝে মাঝে যেখানে সেখানে দেখা করতে যাইত। ছেলেটি অন্য একটি কলেজে পড়তো। তাই আমি তাকে কখনো দেখি নাই শুধু আমার বান্ধবীদের কাছ থেকে তার সম্পর্কে জানতে পারতাম।
ছেলেটির সাথে আমাদের ওই বান্ধবীর প্রায়ই ঝগড়া লাগতো। কিন্তু কিছুদিন পর পর আবার ঠিক হয়ে যেত। এভাবে কয়েক মাস পার হয়ে গেল। আমাদের ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারের এক্সাম এর ডেট এগিয়ে আসলো। আমরা যে যার মত পড়াশোনায় ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। কিন্তু হঠাৎ জানতে পারলাম আমার সেই বান্ধবীটা আত্মহত্যা করেছে। হঠাৎ এই খবরটা পেয়ে আমি তো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ার জন্য খবরটি খুব দ্রুতই পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি সহ আমার অন্যান্য বান্ধবীরা মিলে তাদের বাড়িতে চলে গেলাম তাকে শেষবারের মতো দেখার জন্য। হঠাৎ এভাবে তার চলে যাওয়াটা আমরা কেউই মেনে নিতে পেরেছিলাম না। তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের কান্নাকাটি দেখে আরো খারাপ লাগছিল।
এভাবে সে আত্মহত্যা করল কিন্তু সেই প্রেমিকটা কিন্তু তাকে দেখতে এসেছিল না। পরবর্তীতে জানতে পারলাম সেই ছেলেটার সাথে ঝগড়ার কারণেই নাকি মেয়েটা এমন বাজে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যার ফলে এই পৃথিবী থেকে সে চির বিদায় নিল। এমন ঘটনা আমাদের সমাজে অহরহ হয়ে চলেছে। এসব ঘটনা শুনলে গা শিউরে ওঠে। অনেকদিন পর মেয়েটার কথা মনে পড়ল আর তাই তার গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনাদের মতামত জানাবেন।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_Copy.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQL4SxGA9Sdnn4JMpnVSe79yHzro2uaokTzUcohwupjb2/Heroism_Copy.png)
আসলে সেই বয়সটি হলো আবেগি বয়স। যেকোন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলার প্রয়াস সবার মধ্যেই থাকে। সত্যিই গল্পটি পড়ে খারাপ লেগেছে এরকম সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশেও অনেক পরিবারের সন্তান আত্মহত্যা করেছে। সেজন্য সচেতনতাবোধ খুবই প্রয়োজন গল্পটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বেশি আবেগী হলে ছেলেমেয়েরা এ ধরনের বাজে পথ অবলম্বন করে। গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভালোবাসা ধর্ম ধনী গরিব থেকে শুরু করে কোন কিছুই মানে না। আর তেমনি আপনার বান্ধবীটাও রিলেশনে গিয়েছিল ওই ছেলের সাথে। কিন্তু ঝগড়াটা যে এরকম একটা পর্যায়ে চলে যাবে এটা তো বুঝতেই পারেনি একেবারে। ছেলেটার সাথে ঝগড়া হওয়ার পর মেয়েটা এরকম একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেখে তো খুবই খারাপ লেগেছে। মেয়েটা আত্মহত্যা করার পরেও ছেলেটা তাকে দেখার জন্য আসেনি, কথাটা শুনতে আরো অন্যরকম লাগলো বিষয়টা। আপনার আজকের এই গল্প আমার অনেক ভালো লেগেছে এবং কি খারাপ লেগেছে। বিশেষ করে মেয়েটার আত্মহত্যার কথা শুনে বেশি খারাপ লাগলো।
গল্পটি পড়ে যথাযথ মন্তব্যটি করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আপু ভালোবাসা এমন জিনিস ধর্ম বর্ণ কিছু মানে না। যেহেতু একবার দুজনের ভালোবাসা হয়ে গেছে তাই সেই পথ থেকে ফিরে আসে তাদের সম্ভব ছিল না। তবে হঠাৎ করে এভাবে মারা যাওয়ায় খবর শুনে খারাপ লাগার কথা। তবে মেয়েটার এমন ভুল করা মোটেও উচিত হয়নি। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু আত্মহত্যা করাটা তার অনেক বড় ভুল ছিল। গল্পটি পড়ে মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ভালোবাসার অনুভূতি এমন হয় যেখানে ধর্ম বর্ণ কিছুই আসে যায় না। অনেক সময় এই ভালোবাসা পূর্ণতা পায় আর অনেক সময় তা পায় না। এমন কাহিনী জেনেও অনেক সেই পথেই হাঁটে। আপনার বান্ধবী ইভা যেই কাজটা করেছে তা খুবই অন্যায়। কারণ আত্নহত্যা মহাপাপ আমরা জানি। কিন্তু তারপরও সেই মুহূর্তে কেন মানুষ এই কথাটা চিন্তা করে না বুঝি না। এই পথ বেছে না নিয়ে অন্য পথ অবলম্বন করেও কিন্তু ভালো থাকা যায়। ঝগড়ার মতো একটা বিষয় নিয়ে আত্নহত্যা করাটা তার ঠিক হয়নি। আপনার গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো আর আপনার বান্ধবীর জন্য আফসোস হচ্ছে। সে তাঁর সুন্দর জীবনের মূল্য বুঝলো না।
আত্মহত্যা মহাপাপ জেনে ও মানুষ রাগের বসে জীবনের মায়া ত্যাগ করে এরকম জঘন্য পথ বেছে নেয়। গল্পটি পড়ে মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
খুব খারাপ লাগলো আপু। ইভা আপু এভাবে নিজেকে শেষ না করে দিলেও পারতো। দুটি ভিন্ন ধর্মের মাঝে রিলেশন কেউই মানবে না। আর রিলেশনে ঝগড়া হয় বেশি। এগুলা থেকে দূরে থাকাই ভালো
ঠিক বলেছেন ভাইয়া।। আবেগের বশে এভাবে অনেকেই প্রাণ দিয়ে দেয়।