টক ঝাল স্বাদে বরই মাখা।
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই এবং বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো টক ঝাল স্বাদের বরই মাখা রেসিপি। এখন বিভিন্ন রকমের বরই পাওয়া যায়। তার মধ্যে দেশী বরই মাখা খেতে বেশী মজা লাগে। দেশী বরই টক স্বাদের হয়ে থাকে। এই বরই গুলো ধনিয়া পাতা এবং বেশী করে ঝাল দিয়ে মাখিয়ে খেতে অসাধারণ লাগে। আমার আব্বু একটি দেশী টক বরই গাছ লাগিয়েছে। এই বছরই প্রথম বরই এসেছে গাছে। বরই এখোনো ভালো করে পাকে নাই। অল্প কিছু বরই গাছ থেকে পেড়ে শিল পাটায় বেটে ঝাল ঝাল করে মাখিয়েছি। খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিলো। তাহলে চলুন আমি কিভাবে বরইগুলা মাখিয়েছি এবং কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি সেটা স্টেপ বাই স্টেপ আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
• টক বরই
• ধনিয়া পাতা
• মরিচ
• লবণ
• সরিষা দানা
প্রথমে বরই, ধনিয়া পাতা এবং কাঁচা মরিচ ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিব।
তারপর শিল পাটার সাহায্যে বরই গুলো ভালো করে থেতলে নিব।
শিলপাটার সাহায্যে বরইগুলা বাটা শেষ হলে একটি প্লেটে উঠিয়ে রাখবো।
এখন শিল পাটার উপর দিয়ে দিব সামান্য পরিমাণে সরিষা দানা, লবণ, কাচা মরিচ এবং ধনিয়া পাতা। এগুলা খুব ভালো ভাবে বেটে নিতে হবে।
বাটা হয়ে গেলে বরইগুলা পাটার উপর দিয়ে মসলার সাথে খুব ভালো করে মিক্সড করে নিব।
এখন একটি প্লেটে সার্ভ করে নিবো এবং খুব মজা করে খাবো।
আজকের এই লোভনীয় রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমাকে অনেক বেশি উৎসাহিত করে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দেশি বরই গুলো খেতে একটু বেশি মজা লাগে। টক ঝাল স্বাদে বরই মাখা দেখে তো লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু। যে কেউ দেখলে লোভ সামলাতে পারবে না। যেভাবে বরই মাখা তৈরি করেছেন খেতে ভীষণ মজা হয়েছে বোঝাই যাচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আমরা এভাবেই বরই মাখিয়ে খায়। খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার এই বরই মাখা হয়েছে কি দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। যদিও এভাবে একদিন খাওয়া হয়েছে। তবে আজকে আপনার পোস্ট দেখে আবারও খেতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে বরই মাখা রেসিপিটি খেতে খুবই স্বাদ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যতই খাওয়া হোক না কেনো এই ধরনের রেসিপি যতবার দেখা হয় ততোবারি খেতে ইচ্চা করবে।
টক ঝাল স্বাদে বরই মাখা দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবি লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করলেন।এতো মজাদার রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
লোভনীয় এই রেসিপিটি সম্পর্কে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বরই মাখা আমার বেশ পছন্দের। আপনার বরই মাথা দেখে জিভে জল চলে আসলো। এভাবে বরই মেখে খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। তবে ধনিয়া পাতা এবং কাঁচামরিচ বেটে
বরই মাখা কখনো খাওয়া হয়নি। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন ।এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধনিয়া পাতা এবং কাঁচামরিচ বেটে
বরই মাখা করে খেয়ে দেখবেন আপু,, অসাধারণ একটি টেসট পাবেন আশা করি।
আপনার টক ঝাল স্বাদের বড়ই মাখা দেখে অনেক লোভ লেগে গেল। মন চাচ্ছে প্লেট থেকে একটু বড়ই মাখা তুলে নিয়ে খেয়ে ফেলি। বড়ই মাখা আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। আর বেশি করে ঝাল দিলে খেতে আরো বেশি মজা হয়। ধনিয়া পাতা দেওয়ায় মনে হচ্ছে স্বাদ আরো বেড়ে গিয়েছে।আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছো, ধনিয়া পাতা দেওয়ার কারণে বরই মাখার স্বাদ আরো বেড়ে গিয়েছে।
টক-ঝাল সাথে বড়ই মাখা এটা তো বেশ দারুন ছিল। এই সময় বড়ই খেতে ভীষণ ভালো লাগে আর এভাবে আমরা অনেক খেয়েছি। অনেক সুন্দর করে আপনি পরিবেশনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
জ্বী ভাইয়া,, এই সময় বরই খেতে সত্যিই অসাধারণ লাগে। আর এভাবে মজা করে মাখিয়ে খেতে তো আরো অসাধারণ লাগে।
আপু আপনার টক ঝাল স্বাদে বড়ই মাখা দেখেতো আমার জিভে জল চলে এসেছে। যখন ছোট ছিলাম তখন এভাবে শিল পাটায় ভর্তা বানিয়ে অনেক খেয়ছি। এভাবে ধনিয়া পাতা আর একটু ঝাল বাড়িয়ে দিলে খেতে জাস্ট অসাধারণ লাগে। বড়ই ভর্তা ভীষণ লোভনীয় হয়েছে। মে কেউ দেখলে খেতে চাইবে। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এভাবে বরই মাখা দেখলে লোভ সামলানো মুশকিল।আর আমার তৈরী বরই মাখানো খেতে সত্যিই অনেক মজার হয়েছিল।
আসলে আপু বরই মাখা দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। আর দেশি বরই এর তুলনা হয় না। বরই মাখানোর ধাপ গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এখন তো হরেক রকমের বরই কুল এর দেখা পাওয়া যায়। কিন্তু দেশী বরইয়ের মতো স্বাদ কোনো কিছুতেই পাওয়া যায় না।
দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। এ ধরনের খাবার দেখলে কেউ লোভ সামলাতে পারে বলেনতো। আমি বড়ই মাখানো বেশ পছন্দ করি।আপনাদের গাছের বড়ই দেখতে অনেক সুন্দর আর মাখানোর স্টেপ গুলোও অনেক সুন্দর ছিল।আর খেতে না জানি কত টেস্ট লেগেছে। আমাদেরও বড়ইর দিন আসলে ধনে পাতা কাঁচামরিচ ও কাসুন্দি দিয়ে মাখানো হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমার পছন্দের একটি খাবার খুব সুন্দর করে মাখিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বরই মাখা ঝালঝাল করে খেতে সত্যিই অনেক মজার হয়। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
বরই মাখা দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে আপু। ধনিয়া পাতা দিয়ে কখনো এভাবে বরই মাখা খাওয়া হয়নি। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। আপু আপনি অনেক সুন্দর করে এই রেসিপি তৈরি করার পদ্ধতি তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ধনিয়া পাতা দিয়ে এভাবে ঝাল ঝাল করে টক বরই মাখিয়ে খেয়ে দেখবেন আপু।অনেক মজা লাগবে খেতে।