খাসির পায়া দিয়ে বাটার নান রুটি খাওয়ার অনূভুতি।
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই এবং বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজ আমি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সুন্দর একটি সকালে নতুন একটা খাবার টেস্ট করার অনুভূতি। এইতো কিছুদিন আগে সকালবেলা উঠে রান্না করতে ইচ্ছে হচ্ছিল না। তখন আমার হাসব্যান্ড বললো যে এখানে পাশে একটা হোটেল আছে সেখানে অনেক সুন্দর একটা আইটেম পাওয়া যায় যেটা সকালবেলার নাস্তার জন্য খুবই ভালো আর সু পরিচিত।
এটি ছিল খাসির পায়া দিয়ে বাটার নান রুটি। ওর কাছে নাকি এটি খুব ভালো লাগে এজন্য মাঝে মাঝেই খায়, কিন্তু আমার কখনো খাওয়া হয়নি। নতুন একটি খাবার টেস্ট করতে আসলেই সবসময়ই ভালো লাগে। যাইহোক সকাল-সকাল দুইজন বেরিয়ে পড়লাম সকালের নাস্তা করতে। আমাদের বাসা থেকে হোটেলটি বেশি দূরে ছিল না। হেঁটে গেলে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট সময় লাগে।
হোটেলে গিয়ে আমরা দেখলাম সেখানে মোটামুটি ফাঁকা রয়েছে। আমরা একটা টেবিলে গিয়ে বসলাম। এরপর আমরা অর্ডার করলাম দুজনের জন্য দুইটা খাসির পায়া আর দুইটা নান রুটি। খাবার যখন সার্ভ করল তখন দেখে আমার জিভে পানি চলে আসলো। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগতেছিল। আপনারা ছবিতে যেমনটা দেখতে পাচ্ছেন বাস্তবে তার থেকেও সুন্দর লাগছিল। এরপর দুজনের জন্য দুইটা নান রুটি দিয়ে গেল। সাথে ছিল সালাদ আর লেবু।
নান রুটি যখন খাসির পায়ার ঝোলে ভিজিয়ে খাচ্ছিলাম তখন খুবই মজা লাগলো খেতে। ঝোলের মধ্যে লেবুর রস এড করাতে স্বাদটা বেশি মজাদার লাগছিল। সবমিলিয়ে বলবো আমার খুব পছন্দ হয়েছে এবং পারফেক্ট একটা সকালের নাস্তা ছিলো। আপনাদের আশেপাশে যদি কোন হোটেলে পাওয়া যায় তাহলে একদিন টেস্ট করে দেখতে পারেন।
আমি অবশ্য পুরোপুরি শেষ করতে পারিনি, কারণ খাবারের পরিমাণটা বেশি ছিল । আমার হাসবেন্ড আমাকে হেল্প করেছিল শেষের দিকে। যাইহোক এরপর আমরা খাওয়া শেষ করলাম আর খাওয়া শেষে বিল দিয়ে চলে আসলাম। আমি এই খাবারটার জন্য রেটিং হিসেবে ১০ এর মধ্যে ৮ দিব। সব মিলিয়ে সম্ভবত বিল এসেছিল ৩২০ টাকা। ৩২০ টাকায় দুজনের জন্য সকালের দুর্দান্ত একটা নাস্তা ছিলো এটি।
এটাই ছিল আমার নতুন একটা আইটেম টেস্ট করার অনুভূতির গল্প। আজ আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_Copy.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQL4SxGA9Sdnn4JMpnVSe79yHzro2uaokTzUcohwupjb2/Heroism_Copy.png)
খাসির পায়া দিয়ে নান রুটি খাবারটা কিন্তু অনেক মজার। যদি ও হোটেলে গিয়ে খাওয়া হয় না তবে আপনার ভাইয়া মাঝে মাঝে বাসায় নিয়ে আসা অনেক মজার। যাইহোক সকাল সকাল দুজন মিলে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু,, খাসির পায়া আর নান রুটি খেতে অনেক মজা।
মাঝে মাঝে কিন্তু এভাবে বাহিরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে আসতে খুব ভালোই লাগে। সকালবেলায় নাস্তা তৈরি করতে ইচ্ছে করছিল না, এজন্য ভাইয়া আপনাকে হোটেলে নিয়ে গিয়েছিল নতুন একটা খাবার টেস্ট করানোর জন্য। আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে তো আমার জিভে জল চলে এসেছে। খাসির পায়া দিয়ে নান রুটি নিশ্চয়ই খুব মজা করে খেয়েছিলেন। খুবই মজা লেগেছিল মনে হচ্ছে, রেসিপিটা।
জ্বী ভাইয়া,, রেসিপিটি অনেক মজা লেগেছিলো খেতে।
আসলে মাঝে মাঝে নতুন কিছু টেস্ট করা দরকার। আর সেটা যদি খাবার হয় তাহলে তো আগ্রহটা আরো বেশি থাকে। যাইহোক সকালে আপনার নাস্তা বানাতে ইচ্ছে করছিল না তাই আপনি আপনি এবং আপনার হাসবেন্ড মিলে খাসির পায়া দিয়ে নান রুটি খেতে গেলেন জেনে ভালো লাগলো। খাবারের মান ভালো ছিল জেনে ভালো লাগলো। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
মাঝে মাঝে আসলেই রান্নাবান্না করতে আলসামো লাগে আমারো। যাই হোক, দুইজনে মিলে সকাল সকাল খাসির পায়া দিয়ে নান রুটি খেয়ে ভালোই নাস্তা করলেন। খাসির পায়া দেখতে বেশ লোভনীয়ই লাগছে।মাঝে মাঝে নতুন নতুন জায়গায় খাবার টেস্ট করতে বেশ ভালোই লাগে।
জ্বী আপু, নতুন নতুন জায়গায় খাবার টেস্ট করতে খুব ভালো লাগে।
খাসির পায়া দিয়ে নান রুটি বেশ মজার একটি খাবার।আমার ও ভীষণ পছন্দ। তবে হোটেলে গিয়ে আমার কখনও খাওয়া হয়নি।আমি নিজেই খুব সুন্দর রান্না করতে পারি।আম্মুর কাছ থেকে শিখেছি।যাই হোক বাসা থেকে কাছে তাই দুজন মিলে গিয়ে খেয়ে এলেন আর দারুন মজার অনুভূতি গুলো শেয়ার করলেন । আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু।আপনাদের দুজনের খাবারের বিল এসেছিল ৩২০ টাকা।যাক আপনার নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর অনুভূতি গুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
বাহ!!খাবারগুলো আপনি নিজে তৈরি করতে পারেন জেনে ভালো লাগলো। বাইরের খাবার থেকে নিজের তৈরি খাবার খাওয়া অনেক স্বাস্থ্যসম্মত।
এমন জিনিস খাইলেন আর আমাকে নিলেন না । তাহলে কি করে আমি আপনার প্রিয় মানুষ হলাম গো। দারুন সময় কাটিয়েছেন তো দেখলাম। যাক তাহলে পুলিশ ভাই একটা দিন রেহাই পেল। দেখতেই তো খাবার টা অনেক ভালো লাগছে। খেতে যে কত মজা হয়েছিল তা কে জানে? মাঝে মাঝে কপোত কপোতি সকালে উঠে হাত ধরে চলে যাবেন। তাহলে দেখবেন ভালোবাসা আরও বেড়ে যাবে। বেশ ভালো লাগলো।
খাবারটি দেখতে যেমন ভালো লাগছে খেতেও অনেক সুস্বাদু ছিল আপু। খুব ভালো লাগলো আপনার কমেন্টটি পেয়ে। অনেক অনেক ভালোবাসা আপনার জন্য💙