ডাই—রঙিন কাগজ দিয়ে জন্মদিনের কেক তৈরি।
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই এবং বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি ডাই পোস্ট শেয়ার করতে আসলাম। আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য রঙিন কাগজ দিয়ে আমি সুন্দর একটি কেক এর ডাই তৈরি করেছি। এই ধরনের ডাইগুলো দেখতে খুবই কিউট লাগে। রঙিন কাগজ দিয়ে যেকোনো ধরনের ডাই করতে অনেক বেশি সময় এবং পরিশ্রম দরকার হয়। রঙিন কাগজ দিয়ে জন্মদিনের এই কেক তৈরি করার জন্য আমার অনেক সময় লেগে গিয়েছে। তারপরও ডাইটি তৈরি করার পর দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল যার ফলে সকল পরিশ্রম সার্থক হলো। তাহলে চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে রঙিন কাগজ দিয়ে আমি কিভাবে জন্মদিনের কেকটি তৈরি করলাম এবং কি কি উপকরণ ব্যবহার করলাম সেটি দেখে নেওয়া যাক।
• রঙিন পেপার
• কেঁচি
• আঠা
• সাইনপেন
• কম্পাস
প্রথমে একটি শক্ত কাগজ কম্পাসের সাহায্যে গোল করে কেটে নিয়েছি। আরো একটি হলুদ কাগজ চিকন করে কেটে নিয়েছি।
এখন হলুদ কাগজটির নিচের সাইড ছবিতে যেভাবে দেখতে পাচ্ছেন ঠিক সেভাবে কাটিং করে শক্ত কাগজের সাথে আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিয়ছি।
এখন অপরপ্রান্ত আটকানোর জন্য আরও একটি হলুদ কালারের কাগজ কম্পাসের সাহায্যে গোল করে কেটে নিয়েছি এবং আঠা দিয়ে অপরপ্রান্তে লাগিয়ে নিয়েছি। গোলাপি কালারের কাগজ চিকন করে কেটে কেকের প্রথম পার্টের নিচে লাগিয়ে নিব আঠা দিয়ে।
কেকের প্রথম অংশের মতন দ্বিতীয় অংশ ও একই নিয়মে বানিয়ে নিয়েছি। কিন্তু কেকের প্রথম অংশ থেকে দ্বিতীয় অংশ কিছুটা ছোট রেখেছি।এখন কেকের প্রথম অংশের উপর দ্বিতীয় অংশটি আঠা দিয়ে বসিয়ে দিয়েছি।
অরিজিনাল কেকে চকলেট বা ক্রিমের যে ধরনের ডিজাইনগুলো থাকে সেই রকম ভাবে আমি গোলাপি রঙের কাগজ কাটিং করে নিয়েছি।এখন কেকের প্রথম অংশে এবং দ্বিতীয় অংশে আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি।
এখন গোলাপি পেপার দিয়ে তিনটি গোলাপ ফুল বানিয়ে নিলাম।
গোলাপি এবং হলুদ পেপার দিয়ে একটি মোমবাতিও বানিয়ে নিলাম।
মোমবাতি টি কেকের উপরে আঠা দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিলাম।
আর গোলাপ ফুল তিনটি কেকের মাঝখানে আঠা দিয়ে বসিয়ে দিলাম।
সম্পূর্ণ একটি কেক তৈরি করে ফেললাম। এখন সাইন পেন দ্বারা হ্যাপি বার্থডে লিখে নিলাম।
এই ছিল আমার আজকের রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরী জন্মদিনের কেকের ডাই পোস্ট। আজকের পোস্টটি আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
রঙ্গিন কাগজ দিয়ে জন্মদিনের কেক এর অরিগ্যামি তৈরি করার বর্ণনা গুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। একই সাথে রঙিন কাগজ দিয়ে কেক তৈরীর প্রতিটি ধাপের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি কেকের উপরে মোমবাতি তৈরি করে দেওয়াটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।
মোমবাতি দেওয়ার কারণেই কেকটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য।
রঙ্গিন কাগজ দিয়ে সুন্দর কেক তৈরি করে দেখিয়েছেন দেখে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। বেশ অসাধারণ হয়েছে আপনার তৈরি এই কেক। দেখে তো প্রথমে মনে করেছিলাম দোকান থেকে কেনা।
রঙিন কাগজের কেকটি দেখে আপনার অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া।
আপনি দিন দিন দক্ষ ব্লগার হিসেবে নিজেকে প্রমানিত করছেন। আজকের ডাই প্রজেক্ট দূর্দান্ত হয়েছে, আর দেখতে সত্যিই এটা ভীষণ কিউট দেখাচ্ছে। আর এধরনের কাজগুলো চমৎকার ক্রিয়েটিভিটির বহিঃপ্রকাশ। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার কাজটি উপহার দেয়ার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে মন্তব্যটি করার জন্য।
রঙ্গিন কাগজ দিয়ে তৈরি করা ডাইগুলো আসলেই অনেক কিউট হয়ে থাকে এ কথাটা একদম ঠিক বলেছেন আপু আপনি পরিশ্রম করে এই রঙ্গিন কাগজের কেক তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এটা সত্যি অনেক চমৎকার।
মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।।।
আজকে অসম্ভব সুন্দর একটি কাজ করেছেন। রঙ্গিন কাগজ দিয়ে জন্মদিনের কেক তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে পুরা বাস্তবের মত লাগতেছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার পরিবেশনা অনেক সুন্দর ছিল।
আপনাদের এত সুন্দর উৎসাহমূলক মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগা কাজ করে ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন, রঙিন কাগজ দিয়ে যেকোন জিনিস তৈরি করতে গেলে সময় ও ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। আর আপনি তো রঙিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর একটি জন্মদিনের কেক তৈরি করেছেন। নিঃসন্দেহে এই কেকটি তৈরি করতে আপনার অনেক সময় ও ধৈর্যের প্রয়োজন হয়েছে। যাক অবশেষে এত সুন্দর একটি রঙিন কাগজের কেক তৈরি করেছেন এবং সার্থক হয়েছেন তা জেনে খুব খুশি হলাম। আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
রঙিন কাগজ দিয়ে কোন কিছু তৈরি করতে গেলে অনেক বেশি সময় এবং ধৈর্যের প্রয়োজন হয় তা সত্ত্বেও তৈরি করার পর দেখতে এত সুন্দর লাগে যে মনটাই অনেক ভালো হয়ে যায়।
কেউ যদি সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে পরিশ্রম করে, তাহলে সে ওই কাজটা করতে পারে এবং কি তার পরিশ্রম সার্থক হয়। আপনি নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আজকে এত সুন্দর একটা কেক তৈরি করেছেন এটা দেখে তো সত্যি খুব সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। কেকের সামনের দিকে ফুলগুলো তৈরি করে দেওয়ার কারণে আরো বেশি সুন্দর লাগতেছে দেখতে। মোমবাতিটাও আপনি সুন্দরভাবে তৈরি করেছেন। আপনার অনেক সময় লেগেছিল এটা করতে, যা দেখেই বুঝতে পারতেছি। আপনি দক্ষতা এবং সময় নিয়ে পুরো কাজটা করেছেন দেখে এত সুন্দর হয়েছে। এবং কি এই জন্য দেখতেও ভালো লাগতেছে।
সত্যিই তাই ভাইয়া।।মোমবাতি সহ কেকটি তৈরি করতে অনেক বেশি সময় লেগে গিয়েছিল।
আমিও আপনার সাথে একমত আপু যে কোন ডাই তৈরি করতে গেলে যথেষ্ট পরিমাণ সময়ের দরকার। সুন্দরভাবে তৈরি করতে হলে একটু ধৈর্য ধরে তৈরি করতে হয়। খুব সুন্দর করে আপনি জন্মদিনের কেক তৈরি করলে রঙিন কাগজ দিয়ে। দেখতে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে আপু।
ধৈর্য ছাড়া কোন কিছুই তৈরি করা সম্ভব নয় আপু। অনেক ধন্যবাদ মতামতটি প্রকাশ করার জন্য।
রঙিন কাগজ দিয়ে খুবই সুন্দর জন্মদিনের কেক তৈরি করেছেন। আসলে পোস্টটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, আর ইউনিকে লেগেছে। খুবই দক্ষতার সাথে সুন্দর এই পোস্টটি শেয়ার করলেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া,, মূল্যবান মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
বাহ আপু আপনার রঙিন কাগজ দিয়ে জন্মদিনের কেক টা দারুন হয়েছে। আমি একবার প্রতিযোগিতার জন্য এমন একটি কেক বানিয়েছিলাম। আপনি উপরে আবার মোমবাতিও দিয়েছেন। সব মিলিয়ে দারুন লাগছে। ধন্যবাদ।
মোমবাতি দেওয়ার জন্যই কেকটি দেখতে বেশি আকর্ষণীয় লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।