লোভনীয় কাঁচা আম মাখা রেসিপি।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আজকের নতুন ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করব। অনেকদিন হলো কোন ধরনের রেসিপি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয় না। তাই আজকে একটি লোভনীয় রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। টাইটেল দেখে অবশ্য বুঝে গিয়েছেন আজকে আমি আপনাদের সাথে কী ধরনের রেসিপি শেয়ার করতে এসেছি। মজাদার এই আম মাখা রেসিপির মাধ্যমে আজ সবাইকে লোভ লাগিয়ে দিব হি হি। বর্তমানে যে পরিমাণে গরম পড়েছে এবং এখন আবার কাঁচা আমের সিজন। তাই প্রায় দুপুরবেলা এভাবে আম মাখিয়ে খাওয়া হয়। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে আম মাখা রেসিপিটি শেয়ার করা যাক। গরমের এই দুপুরবেলায় টক ঝাল আম মাখা খেতে দারুন লাগে। তবে এই রেসিপিগুলো একা খাওয়ার মধ্যে কোন রকমের মজা নেই। সবাই মিলে একসাথে গরমের দুপুরে কোন এক গাছের নিচে বসে খাওয়ার মজাই অন্যরকম। তাহলে চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে আজকের মূল রেসিপিটি দেখে নেওয়া যাক।
• কাঁচা আম দুইটি
• কাঁচা মরিচ ৪টি
• পোড়ানো শুকনা মরিচ ১টি
• লেবু পাতা
• কাসুন্দি
• লবণ
• চিনি
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে দুইটি আমের খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
এরপর আমগুলো চিকন স্লাইস করে কেটে নিতে হবে।
এই পর্যায়ে আমগুলো একটি পাত্রের এক সাইডে রেখে অন্য সাইডে কাঁচা মরিচ, লবণ, সিক্রেট মসলা এবং পোড়ানো শুকনা মরিচ নিয়ে নিব। এই ধরনের মাখানো রেসিপিতে পোড়ানো শুকনা মরিচ ব্যবহার করলে অনেক সুন্দর একটি স্মেল বের হয়। এখন এই সবগুলো উপকরণ খুব ভালোভাবে মিক্সড করতে হবে।
এখন সামান্য একটু চিনি নিয়ে সকল উপকরণের সাথে আমগুলো খুব ভালোভাবে চটকে নিব।
সবশেষে দিয়ে দিব পরিমাণ মতো কাসুন্দি। কাসুন্দি ছাড়া আম মাখা অসম্পূর্ণ লাগে আমার কাছে। কাসুন্দি দিয়ে আম এভাবে মাখিয়ে খেলে অনেক মজা লাগে।
লাস্ট পর্যায়ে কয়েকটি লেবু পাতাও দিয়ে নিয়েছি। লেবু পাতা দেওয়ার ফলে খুব সুন্দর একটি স্মেল বের হয় আম মাখা থেকে।
আম মাখানো শেষ হলে কলা পাতার উপর সুন্দর করে আম মাখা রেসিপিটি সাজিয়ে নিয়েছি।
এই ছিল আমার আজকের লোভনীয় আম মাখা রেসিপি। আজকের এই রেসিপিটি দেখে কার কার লোভ লেগেছে তারা অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_Copy.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQL4SxGA9Sdnn4JMpnVSe79yHzro2uaokTzUcohwupjb2/Heroism_Copy.png)
আপু আমার কিন্তু জিভে পানি এসে গেলো। আমি এভাবে যদিও প্রায়ই তৈরি করে খাই।কারন আমার ছেলেকে স্কুল থেকে আনার পরই নাস্তা খেয়ে আম মাখা খেতে বায়না করে।আর ওর জন্য করে আমিও খেয়ে থাকি।পোড়া মরিচ দিলে সত্যি ভীষণ ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর আম মাখানো রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
গরমের দিনে এই ধরনের খাবার খেতে সত্যিই অনেক মজা লাগে। পোড়া মরিচ দিলে আলাদা রকম একটা ফ্লেভার আসে যা সত্যিই অনেক লোভনীয়।
আম মাখা খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর করে কাঁচা আম মাখা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি আম মাখা রেসিপি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনার তৈরি রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশি মজাদার মজাদার হয়েছিল। বেশ ভালো ভাবে আপনি আম মাখা রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
আমার তৈরি আম মাখা রেসিপিটি আপনার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া।
এই বছর এখনো কাঁচা মাখিয়ে খাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। আপনি অনেক লোভনীয় ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে কলাপাতার উপর উপস্থাপন করাতে বেশ আকর্ষণীয় লাগছে।
লোভ তো আমার খুব লেগেছে কিন্তু পাব কোথায়?
আম তো পাঠিয়ে দিয়েছি। এভাবে মাখিয়ে খেয়ে নিন 🙂।
আচ্ছা ঠিক আছে আজকে রাতেই খাবো ইনশাআল্লাহ। কালকে অবশ্য মনে নাই না হলে শেষ করে দিতাম
আপু, আপনি তো আসলেই লোভ লাগিয়ে দিলেন।এই আমের সিজনে আম মাখা না খেলে কি হয়!আর যেভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন,একদম লোভনীয় লাগছে।আমি অবশ্য বেশি ঝাল দিয়ে খেতে পারি না।তবে নরমালি খাওয়া হয়েছে এভাবে।
বেশি ঝাল দিয়ে আমিও খেতে পারিনা আপু।সবকিছু স্বাভাবিক হলে অনেক মজা লাগে এ ধরনের রেসিপিগুলো খেতে।
আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন, এগুলো কাঁচা আম সবাই মিলে মেখে খাইলে খুবই ভালো লাগে। তবে আপনার কাঁচা আম মাখা দেখে জিভে পানি চলে আসলো।এখনো এই বছরে কাঁচা আম মাখা খাওয়া হয়নি। তবে আপনি দারুণ ভাবে কাঁচা আম মাখার রেসিপি শেয়ার করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
কাঁচা আম মাখা সম্পর্কে দারুন মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই তো লোভ লাগিয়ে দিয়েছেন আপনি। এটা করা কিন্তু একদমই ঠিক হয়নি। আমাদের সবার জন্য একটু একটু করে পাঠিয়ে দিতেন। রেসিপিটা দেখে কিন্তু জিভে জল চলে এলো। বিশেষ করে ডেকোরেশন টা ভালো লেগেছে। আমরাও এভাবে আম ভর্তা করে খাই। তবে লেবু পাতা কখনো ব্যবহার করা হয়নি। লেবুর ফ্লেভার টা আসলেই ভালো লাগবে এটার সাথে।
লেবু পাতার ফ্লেভার আমের মধ্যে অনেক ভালো লাগে আপু। একদিন এভাবে মাখিয়ে খেয়ে দেখবেন অনেক মজা লাগবে।
এভাবে লোভ লাগানো একদম ঠিক হয়নি আপু। এখন তো আমারও ইচ্ছে করছে আম মাখা খেতে। আমিও কয়েকদিন থেকে ভাবছিলাম আম মাখা তৈরি করবো। আর এখন যেহেতু আপনার এই রেসিপি দেখলাম তাহলে তো খুব দ্রুতই এভাবে তৈরি করে খেতে হবে আপু।
লোভ লাগানোর জন্যই আপনাদের মাঝে আম মাখা রেসিপিটি তৈরি করে শেয়ার করেছি। এখন দ্রুত আপনার এভাবে মাখিয়ে খেয়ে নিন আপু।
আপনার রেসিপিটির টাইটেল দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে আপু।সত্যি তাই গরমের দুপুরে টক ঝাল আম মাখা খেতে ভীষণ মজা তবে একা খেলে কোন মজা নেই গাছের নিচে সবাই মিলে বসে এই লোভনীয় আম মাখা খাওয়া ও খোস গল্প করার মাঝে ভীষণ তৃপ্তি। চমৎকার লাগছে আম মাখা গুলো মনে হচ্ছে একটু খেতে পারলে ভালো হতো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর আম মাখা রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
এই ধরনের রেসিপিগুলো গ্রামে থাকলে অনেক বেশি ফিল নিয়ে খাওয়া যায় আর মজাও লাগে।
আপনি তো দেখছি আসলেই এই রেসিপির মধ্যে দিয়ে আমাদের সবার লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু । গরমের দুপুরে এইরকম কাঁচা আম মাখা খেতে দারুন লাগে। আমি অবশ্য কাঁচা মাখিয়ে খাই না তবে এমনি একটু লবণ দিয়ে খেয়ে নি। আপনার রেসিপিটি দারুন লোভনীয় ছিল আপু। একা একা খেতে আসলে কোন কিছুই ভালো লাগে না। নিশ্চয়ই অনেকে মিলে খেয়েছিলেন রেসিপিটি তৈরি করে ।
ঠিক বলেছেন আপু, আম মাখা রেসিপিটি তৈরি করে আমরা অনেকে মিলে খেয়েছিলাম মজা করে।
কি যে করেন না আপু। এমন করে কাচাঁ আম মাখিয়ে আমাদের সামনে ঝুলিয়ে দিলেন। যাতে করে আমরা লালসায় জ্বরে মরি। আপনি কিন্তু বেশ সুন্দর করে আম মাখানো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা মাখানো আমগুলো দেখে তো খেয়ে নিতে মন চায়ছে।
চলে আসেন আপু। আবার এভাবে আপনাকে আম মাখিয়ে খাওয়াবো।