একটি মেয়ের জীবনের গল্প।
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই এবং বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ কি পোস্ট করবো সেটা অবশ্য ভেবে পাচ্ছিলাম না। অবশেষে ভাবলাম আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করি। "আমার বাংলা ব্লগ" এ অনেক ইউজার আছে যারা খুব সুন্দর সুন্দর গল্প প্রতিনিয়ত শেয়ার করে। তাদের গল্পগুলো পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তাই আজ আমিও ভাবলাম একটা গল্প লিখে আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তাহলে চলুন শুরু করি।
আলিশা নামের একটি মেয়ে যে ছোটবেলায় তার মাকে হারায়। আলিশা তার বাবা আর সৎ মায়ের কাছে থাকে। সৎ মা তাকে খুব একটা ভালো দেখতো না। উঠতে বসতে কথা শুনাতো। আলিশা মেয়েটার লেখাপড়া করার প্রতি খুব আগ্রহ ছিলো। সে সৎ মায়ের সংসারে থেকেও বিভিন্ন অশান্তির মধ্যেও লেখা পড়া চালিয়ে যাচ্ছিলো। কোনো কাজ কাম করা কম হয়ে গেলে আলিশার সৎ মা আলিশাকে খুব বকাঝকা করতো। এসব দেখে আলিশার বাবা কোনো প্রতিবাদ করতো না। আলিশা ছাড়াও আলিশার আরো এক ভাই এবং এক বোন রয়েছে৷ কিন্তু তারা আলিশার আপন ভাই বোন না, সৎ ভাই বোন ছিলো। আলিশার সৎ মা ঐ দুই সন্তান কে অনেক ভালোবাসতো। আলিশা সেগুলো দেখে অনেক কষ্ট পেতো। আর মনে মনে তার মায়ের কথা স্মরণ করে খুব কাঁদতো।
আলিশা এখন ক্লাস এইটে পড়ে। মোটামুটি অনেকটায় বড় হয়ে গিয়েছে আলিশা। একদিন আলিশা স্কুলে যাওয়ার পথে এক্সিডেন্ট করে। সেই এক্সিডেন্টটা ছিলো খুব ভয়াবহ। আলিশার এই এক্সিডেন্টের কারনে দুই পা হারাতে হয়। কিন্তু আলিশার বাবা তার এই চিকিৎসার কোনো খরচই বহন করে না৷ এলাকার লোকজন মিলে আলিশার চিকিৎসার খরচ বহন করে। আলিশা একটু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল। কিন্তু তার সৎ মা এখন আগের থেকে আরো বেশী খারাপ ব্যবহার করা শুরু করলো। কারণ,আলিশা এখন সংসারের কোন কাজই করতে পারতো না। শুধু শুধু বসিয়ে খেতে দিতে একদমই নারাজ আলিশার সৎ মা । এমনকি পড়াশুনাও বন্ধ হয়ে যায়। এসব দেখে আলিশার বাবা কষ্ট পেলেও কিছুই করতো না মেয়ের জন্য। এমনকি কখনো কোনো প্রতিবাদও করেনি।
আলিশা মেয়েটির এমন কষ্ট এলাকা বাসি সহ্য করতে না পেরে সবার অনুরোধে এলাকার একজন স্বনামধন্য ব্যাক্তি আলিশার দায়িত্বভার গ্রহন করে এবং তাকে মেয়ের মতো আগলে রাখে। এমনকি আলিশাকে স্কুলেও ভর্তি করিয়ে দেয়। আলিশা ক্রাচ ওয়াকিং স্টিকের সাহায্যে এখন একা একাই স্কুলে যেতে পারে। আলিশা লেখা পড়াই খুবই ভালো ছিলো। তাই স্কুলের স্যার, ম্যাম এবং ছাত্রছাত্রীরা আলিশাকে খুব ভালোবাসতো। প্রতিবেশীরাও আলিশাকে খুব পছন্দ করে।
এই ছিলো আমার আজকের লেখা একটি মেয়ের জীবনের গল্প।এটা আমার লেখা প্রথম গল্প। গল্পতে কোনো ভুল ক্রুটি হয়ে থাকলে সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আজ এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আবারো কোনো নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হবো ইন-শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আলিশা নামের মেয়েটা জনম দুঃখী একে তো মা হারিয়ে সৎ মায়ের সংসারে অশান্তিতে ছিলো তারপর আবার এক্সিডেন্ট পা হারালো।আসলে মা না থাকলে বাবাও সৎ হয়ে যায় তা আলিশার জিবন দিয়ে প্রমাণ। তবে আলিশার সব দায় হার ওই ব্যাক্তি নিয়েছে জেনে ভালো লাগলো।আলিশা বড়ো হয়ে গেছে স্কুলে পড়ে ও স্যারেরা সবাই অনেক ভালোবাসে জেনে খুব ভালো লাগছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
গল্পটি পড়ে চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আলিশার জীবনের গল্প পড়ে অনেক খারাপ লাগলো।আসলে সৎ মারা কেন যে এমন হয় বোঝা মুশকিল । যাইহোক অবশেষে গ্রামবাসীর সাহায্যে সহযোগিতায় আলিশা স্বনামধন্য এক ব্যক্তির কাছে পড়ে বেশ ভালো হয়েছে। এখন আবার আলিশা আগের পর্যায়ে ফিরে এসেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু চালিয়ে যান সুন্দর হয়েছে।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ
আলিশার দেখভাল করার জন্য তাহলে কেউ পাশে দাঁড়িয়েছে। আসলে সংসারে সৎ মা থাকলে এমন দৃশ্যই হয় বাস্তবে। আলিশার মতো অনেক মেয়েই এমন করুণ অবস্থায় দিনযাপন করে
মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
গল্পটি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। আমাদের সমাজে এমন অবহেলিত মেয়ে অনেক আছে। আসলে সৎ মায়ের নির্যাতন গুলো খুব খারাপ লাগে। কেন জানিনা মেয়েরা এরকম কেন তারাও তো মা। আলিশার গল্পটি আপনি খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করলেন। এলাকাবাসী খুব ভালো একটি কাজ করলো। অবশেষে আলিশার জীবনে সুখ আসলো।
গল্পটি পড়ে মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার শেয়ার করা একটি মেয়ের জীবনের গল্প পড়ে ভীষণ খারাপ লাগলো। আলিশার এ রকম এক্সিডেন্ট সত্যি ই মেনে নেয়ার মতো নয়।আপনি গল্পটি খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। যাই হোক সৎ মায়ের সংসারে ঠাঁই না হলে ও এলাকার মানুষের কারনে এলাকার একজন স্বনামধন্য মানুষ আলিশার দায়িত্ব নেন।এটা তার জন্য অনেক পাওয়া।অবশেষে কিছু টা স্বস্তি মিললো মেয়েটির।ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু,,গল্পটি পড়ে মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনার শেয়ার করা এই গল্পটি পড়তে পেরে খুবই ভালো লাগলো। খুবই কষ্টদায়ক একটি গল্প ছিল এটি। আলিশার জীবনের গল্পের মধ্যে এরকম একটি এক্সিডেন্ট হয়ে যাওয়া কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না৷ একেতো তার মা নেই আর তার সৎ মায়ের কাছে সে শান্তিমতো থাকতে পারে না৷ আলিশার সব দায়িত্ব ঔ ব্যক্তি নিয়েছিল শুনে খুবই ভালো লাগলো৷ ঔ ব্যাক্তি আলিশার সকল দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে শুনে খুবই ভালো লাগলো৷ অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য৷
খুব ভালো লাগলো আপনার কমেন্টটি পেয়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া।