দুধ-চিতই পিঠা রেসিপি।
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই এবং বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ শীতকালীন জনপ্রিয় এক পিঠার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। কম-বেশী অনেকেই এই রেসিপিটি করতে জানেন। তারপরও প্রিয় রেসিপি হওয়ায় আপনাদের সাথে এটা শেয়ার করতে আসলাম।কয়েকদিন ধরে প্রচুর শীত পড়ছে। সেই সাথে কুয়াশা। সারাদিনে একটুও রোদের দেখা পাওয়া যায় না।আর এমন দিনে শীতকালীন এই জনপ্রিয় দুধ-চিতই পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে বলুন। আমার তো শীতকালে দুধ-চিতই পিঠা না খেলে একদমই ভালো লাগেনা। কিন্তু এই পিঠা আমি একদমই তৈরি করতে পারি না। আজকের এই দুধ-চিতই পিঠা রেসিপিটি মূলত আমার আম্মুর করা। আমার আম্মু অনেক সুন্দর ভাবে এই পিঠাগুলো তৈরি করতে পারে এবং খেতে খুবই মজা হয়। দুধ-চিতই পিঠা খেঁজুরের রস দিয়ে তৈরি করলে সব থেকে বেশি টেস্টি হয়।কিন্তু খেঁজুরের রস পাওয়া খুবই মুশকিল। তাই আমরা খেঁজুরের খাঁটি গুড় দিয়ে এবং দুধ দিয়ে এই পিঠার রস তৈরি করেছি। এভাবে খেতেও অনেক মজা লাগে। তাহলে চলুন মূল রেসিপিটি দেখে নেয়া যাক।
• চালের গুড়া
• দুধ
• খেঁজুরের গুড়
• নারিকেল
• এলাচ
• দারুচিনি
• তেজপাতা
• লবণ
প্রথমে দুধের মধ্যে তেজপাতা,এলাচ এবং দারুচিনি দিয়ে দিতে হবে।
![]() | ![]() |
---|
তারপর পরিমাণ মতো খেঁজুরের গুড় দিয়ে ভালোভাবে দুধের সাথে মিক্সড করে নিতে হবে।
![]() | ![]() |
---|
চুলার উপর দিয়ে দুধের সাথে গুড় ভালোভাবে মিক্সড করে দিতে হবে নারিকেল এবং স্বাদমতো লবণ।
![]() | ![]() |
---|
এবার দুধ ভালো করে জাল করে নামিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। যাতে ঠান্ডা না হয়ে যায়।
এখন চালের গুড়া পানি দিয়ে, লবণ দিয়ে এবং নারিকেল দিয়ে ভালো করে গুলিয়ে নিতে হবে। এই গোলাটা একদমই পারফেক্ট না হলে পিঠা ভালো হয় না।।
![]() | ![]() |
---|
এখন পিঠার ছাঁচ মাটির চুলার উপর বসিয়ে পিঠা গুলো সুন্দর মতো বানিয়ে নিচ্ছে আমার আম্মু।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
মাটির চুলায় এই পিঠাগুলো সব থেকে বেশি পারফেক্ট হয়। পিঠাগুলো খুবই সুন্দর হচ্ছিল। এরকম পিঠা হলে দুধের সাথে খুব ভালোভাবে ভিজে নরম হয়।
![]() | ![]() |
---|
গরম গরম পিঠা গরম দুধের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে।
কয়েক ঘন্টা পর দেখা যাবে পিঠাগুলো দুধের রসে ভিজে ফুলে উঠেছে।এই পিঠাগুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে এবং ভিজে নরম হয়ে গেলে খেতে খুবই মজাদার হয়। এ পর্যায়ে পিঠাগুলো আমি একটি পাত্রের পরিবেশন করে নিয়েছি।
এ ছিল আমার আজকের শীতকালীন জনপ্রিয় দুধ-চিতই পিঠা রেসিপি। রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমাকে অনেক বেশি উৎসাহিত করে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_Copy.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQL4SxGA9Sdnn4JMpnVSe79yHzro2uaokTzUcohwupjb2/Heroism_Copy.png)
হ্যাঁ আপু কয়েকদিন ধরে অনেক শীত পড়েছে আর ঢাকা শহরে মনে হয় এই প্রথম এত শীত দেখতে পাচ্ছি। সারাদিনও রোদের দেখা নেই। তবে এই শীতে যদি এমন মজার পিঠা খাওয়া যায় তাহলে খুবই ভালো হয়। আপনার পিঠা দেখে তো খুব খেতে ইচ্ছে করছে।আমি এই পিঠা খেতে খুব পছন্দ করি। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
গুছিয়ে চমৎকারভাবে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আহা!! শীতকালে পিঠা খেতে ভারি মজা। আর যদি সেই পিঠা হয় দুধে ভেজানো তাও আবার খেজুরের গুড়ের সাথে তাহলে তা খেতে অমৃত মনে হবে। আমার কাছে তো দুধ চিতই পিঠা ভীষণ ভালো লাগে। শীতকালে এই পিঠা না খেলে মনে হয় কখনো পিঠা খাওয়ার পরিপূর্ণতা আসেনা। যাইহোক আপু, আপনার আম্মুর হাতের দুধ চিতই পিঠা রেসিপি দেখে খাওয়ার ভীষণ লোভ হচ্ছে। আর এই লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আম্মুদের হাতে তৈরি এই ধরনের পিঠাগুলো খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে । এই পিঠাগুলো শীতকালে না খেলে অপূর্ণতা থেকে যায়। মতামত দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনার আম্মুর হাতে করা দুধ-চিতই দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক সুন্দর করে রেসিপি তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরেছেন আপু। এই শীতে পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে। সত্যি আপু কয়েকদিন থেকে কুয়াশায় একেবারে ভরে গেছে।
এই কুয়াশা ভরা শীতে এই ধরনের পিঠা খেতে আরো বেশি মজা লাগে আপু। মতামত দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
দুধ চিতই পিঠা আমারও খুব প্রিয়।
যদিও এ বছরে এখনো খাওয়া হয়নি ।
তবে যে পরিমাণে শীত পরছে এই শীতে এই পিঠা খুব সবথেকে বেশি সুস্বাদু লাগবে খেতে।
আপনার প্রস্তুত প্রণালী এবং ফটোগ্রাফি দেখে খুব লোভ হচ্ছে। খুব মজা হবে খেতে নিশ্চয়ই।
পিঠা গুলো খেতে সত্যিই অনেক মজা হয়েছিল। আর শীতের সময় এই পিঠাগুলো খেতে অসাধারণ লাগে।
আমার পছন্দের পিঠা দুধ চিতই। আম্মার হাতের বানানো যেকোনো পিঠাই কিন্তু খেতে ভালো লাগে। আপনার আম্মু কিনতে দারুণ পিঠা বানাতে পারে দেখছি। শীতের কালে পিঠা না খেতে পারলে তেমন ফিলিংস ই আসে না শীতের
সত্যিই তাই ভাইয়া,, আর আম্মুদের হাতের তৈরি পিঠা কেনো সকল ধরনের রান্নাই সবসময়ই অনেক টেস্টি হয়।
এটা একদম ঠিক বলেছেন আপু 🌼
শীত মানেই নানা রকমের পিঠা।তার মধ্যে দুধ চিতই পিঠা অন্যতম।আপনি খুব সুন্দর ভবে দুধ চিতই পিঠার রেসিপি শেয়ার করলেন। আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো আপনার বানানো পিঠার রেসিপিটি।খেতে খুব মজার হয়েছে বেশ বুঝতে পারছি। সবাই খুব মজা করে খেয়েছেন আশাকরি। ধন্যবাদ আপু মজার এই দুধ চিতই পিঠার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আপু এই পিঠাগুলো আমি একদমই তৈরি করতে পারি না। পিঠাগুলো আমার আম্মু তৈরি করেছিল। আর সেই রেসিপি আমি শেয়ার করেছি মাত্র।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন চিতায় পিঠা তৈরি করে দুধ দিয়ে ভিজিয়েছেন। আসলে শীতের সময় প্রত্যেক বাড়িতে পিঠাপুলির ধুম পড়ে যায়। আসলে এই পিঠা খেজুরের রস জাল করে যদি ভেজানো যায় তাহলে খেতে সব থেকে বেশি সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া,, খেজুরের রস দিয়ে পিঠাগুলো ভেজালের খেতে বেশি সুস্বাদু লাগে । তারপরও দুধ এবং খাঁটি খেজুরের রস দিয়ে ভেজালেও অনেক মজা হয় খেতে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে সুস্বাদ এবং লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে শীত মানে পিঠা খাওয়ার যেন এক অন্যরকম উৎসব। তবে দেখছি খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন এটা দেখেই জিভে জল চলে আসলো আমার। এ পিঠা এই অল্প কয়েকদিন হল তৈরি করে খেয়েছি তবে আপনার পোস্ট দেখে আবারও খাওয়ার ইচ্ছা যাগছে । খুবই স্বাদ হয়েছে দেখে মনে হচ্ছে কারণ কালারটা তো সেই লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, শীত মানে পিঠা খাওয়ার যেন এক অন্যরকম উৎসব।মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কয়দিন ধরে যে ওয়েদার এই সময়ে দুধ চিতই খাওয়ার পারফেক্ট সময়। বেশ কিছুদিন ধরে বানাবো ভাবছি কিন্তু চিতই পিঠাইতে বানাতে পারি না। আপনার দুধ চিতই দেখে কিন্তু মুখে পানি চলে এসেছে। মনে হচ্ছে শীতের সকালে এরকম পিঠা হলে একদম জমে যেত। আশেপাশে হলে গিয়ে খেয়ে আসতাম আপু। এত লোভনীয় লাগছে দেখতে।
চলে আসেন আপু ,,, আপনার জন্য আবার তৈরি করা হবে বাড়িতে দুধ চিতই পিঠা।
ঢাকায় থাকলে অবশ্যই যেতাম।
শীতের সময় পিঠাপুলি খাওয়ার মজাই আলাদা। আর দুধ চিতই হলে তো কথাই নেই। । আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তৈরি করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছে ।মজাদারও পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
দুধ চিতই পিঠা রেসিপিটি আমার আম্মু তৈরি করেছিল আপু। খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।