রেসিপি || ধনিয়া পাতার আচার তৈরী।
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই এবং বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি উপস্থিত হলাম একটি মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আজকের রেসিপিটি হল ধনিয়া পাতার আচার। যারা ধনিয়া পাতা পছন্দ করেন তাদের জন্য এই রেসিপিটি হবে বেস্ট একটি রেসিপি। এই শীতের সময় তো ধনিয়া পাতার অভাব নেই। যারা ধনিয়া পাতা পছন্দ করেন তারা আমার এই রেসিপি ফলো করে তৈরি করে রেখে দিতে পারেন নরমাল ফ্রিজে ছয় মাস মত। গরম ধোঁয়া ওঠা ভাত দিয়ে ধনিয়া পাতার এই আচারটি মাখিয়ে খেতে অসাধারণ লাগে। যেমন সুন্দর ঘ্রান তেমনি সুস্বাদু। আর এই ধনিয়া পাতার আচারটি ভাতের সাথে মাখিয়ে নিলে কালারটি দেখতে অসাধারণ লাগে। চলুন রেসিপিটি দেখে নেওয়া যাক।
• ধনিয়া পাতা
• তেঁতুল
• সরিষা দানা
• সরিষার তেল
• মেথি
• শুকনা মরিচ
• রসুনের কোয়া
• লবণ
• চিনি
• শুকনা মরিচের গুড়া
• হলুদ
প্রথমে কিছুটা পাঁকা তেঁতুল নিয়ে হালকা কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখবো আধাঘন্টা। তেঁতুল ভিজিয়ে রাখার পর নরম হয়ে যাবে। সেই পর্যায়ে চটকিয়ে তেঁতুল থেকে বিচি আলাদা করে বিচি গুলো ফেলে দিতে হবে।
এখন তেঁতুলের মধ্যে সামান্য চিনি, পরিমাণ মতো লবণ, শুকনা মরিচের গুঁড়া এবং হলুদ দিয়ে ভালো করে মিক্সড করে নিতে হবে।
একটি শুকনা কড়াইতে মেথি এবং সরিষার দানা হালকা ভেজে নিব। ঠান্ডা হয়ে আসলে এটা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিব।
এখন একটি কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে ধনিয়া পাতাগুলোর ভেতর থাকা এক্সট্রা পানি শুকিয়ে নিব।
এখন কড়াইতে তেল গরম হয়ে আসলে আগে থেকে বানিয়ে রাখা তেতুল এবং মসলার মিশ্রন ঢেলে দিয়ে খুব ভালো করে ভুনা করে নিবো। আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন, আমি এই আচার তৈরিতে কোন পর্যায়ে পানি ব্যবহার করি নাই। পানি ব্যবহার না করার ফলে আচারটি অনেকদিন ধরে ভালো থাকবে।
এই পর্যায়ে ধনিয়া পাতা এবং এই মসলা ভুনাটি ব্লেন্ডারের খুব ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিব। ধনিয়া পাতাগুলো সামান্য আস্ত থাকলে কোন সমস্যা নাই।
ব্লেন্ড করা ধনিয়া পাতা একটি স্টিলের গামলায় উঠিয়ে নিব।এখন এই পর্যায়ে একটি কড়াইতে অনেকখানি সরিষার তেল গরম করে নিব। এখন তেলের মধ্যে দিয়ে দেবো কয়েকটি গোটা রসুন কোয়া এবং কয়েকটি শুকনা মরিচ।
এগুলো ভালোভাবে ভাজা হয়ে আসলে ধনিয়া পাতার মধ্যে গরম তেলসহ রসুন এবং শুকনা মরিচ ঢেলে দিব। তারপর খুব ভালোভাবে মিক্সড করে নিব।
আরো একটি কাজ বাকি আছে। প্রথমে সরিষা দানা এবং মেথি রোস্ট করে যে গুড়াটা করে রেখেছিলাম সেটি এই পর্যায়ে দিয়ে দিব। দিয়ে খুব ভালোভাবে মিক্সড করে রেখে দিব ঠান্ডা হয়ে যাওয়া পর্যন্ত।
ধনিয়া পাতার আচারটি তৈরি হয়ে গেল। এই পর্যায়ে একটি বয়ামে করে আচারটির নরমাল ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারবেন। আমি আপনাদের দেখানোর জন্য একটি পাত্রে পরিবেশন করে নিয়েছি।
এই ছিল আমার আজকের তৈরি মজাদার ধনিয়া পাতার আচার রেসিপি। আশা করি রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর কে কে ধনিয়া পাতার আচার খেয়েছেন তারা অবশ্যই মন্তব্যের জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবে ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ধনিয়া পাতা দিয়েও যে আচার হয় এটা নতুন জানলাম আপু। তবে ধনিয়া পাতা যেকোনো তরকারিতে দিলে স্বাদ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। মনে হয় আচারটা গরম ভাতের সাথে খেতে মজা হয়
হ্যাঁ ভাইয়া, ঠিক বলেছেন। আচারটা গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক মজা হবে।
ইউনিক একটি রেসিপি দেখতে পেয়ে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো আপু। ধনিয়া পাতার আচার এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে ইচ্ছে করছে একটু খেয়ে দেখার জন্য। আপনার রেসিপি দেখে আমিও শিখে নিলাম আপু একদিন তৈরি করবো। অনেক গুলো উপকার দিয়ে তৈরি করেছেন খেতে ভীষণ মজা হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
অবশ্যই ভাইয়া ।।। বাসায় একদিন রেসিপিটি ট্রাই করবেন এবং আমাকে জানাবেন কেমন হয়েছিল খেতে।
বেশ মজার একটি রেসিপি। আমার বেশ পছন্দ আচারটি । আমিও করি তবে একটু ভিন্নভাবে।আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম।ধন্যবাদ রেসিপিটির বিভিন্ন ধাপ সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ রইল আপু।
বাহ্ দারুন একটি রেসিপিই তো দেখছি তুলে ধরেছেন। ধনিয়াপাতা দিয়ে যে এত সুন্দর করে আচার বানানো যায় সেটা কিন্তু জানাছিল না। আপনি কিন্তু বেশ সুন্দর করে ধাপে ধাপে পুরো রেসিপির বর্ণনা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর করে একই ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনাদের মাঝে নতুন ধরনের একটা রেসিপি তুলে ধরতে পেরে খুবই ভালো লাগছে আপু।
ধনের পাতা দিয়ে এভাবে আচার তৈরি করা যায় আমার জানা ছিল না। আপনার আচার দেখে লোভ লেগে গেল। দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধাপ গুলো দেখে যেকেউ তৈরি করতে পারবে। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রেসিপিটি খেতে সত্যিই অনেক মজার হয়েছিল আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মতামত দেওয়ার জন্য।
বাহ আপু আজকে আপনার থেকে একটি মজাদার ইউনিক আচার রেসিপি শিখে নিলাম। আগে কখনো দেখিনি বা শুনি নাই একদম ইউনিক😍😋😋।আমার খুব পছন্দ ধনিয়াপাতা আমি অবশ্যই এই রেসিপি বাসায় তৈরি করে খাবও।অনেক ধন্যবাদ আপু।
রেসিপিটি বাসায় তৈরি করে খাবেন এবং আমাকে জানাবেন রেসিপিটি খেতে কেমন হয়েছিলো। ধন্যবাদ আপু।
শীতকালীন সময়ে ধনিয়া পাতা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়া যায়। কিন্তু এভাবে কখনো ধনিয়া পাতা দিয়ে আচার রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের বিশেষ রেসিপি। যেটা সবার কাছেই অনেক প্রিয়।এই জাতীয় খাবার আমার খুবই প্রিয়। ভালো লেখলো আপনার আচার রেসিপি তৈরি দেখে।
মতামত দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধনিয়াপাতার আচার খাওয়া তো দূরের কথা আপু, আমি তো আগে কখনো নামও শুনি নি! আপনার পোষ্ট এর টাইটেল দেখেই খুব আগ্রহ নিয়ে পুরো পোস্ট টি পড়লাম। আপনাকে ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমিও এর আগে কখনো ধনিয়া পাতার আচারের কথা শুনি নাই আপু।ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখে এই রেসিপি তৈরি করা হয়েছে বাড়িতে।
ধনিয়া পাতা ভর্তা খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তবে এভাবে ধনিয়া পাতার আচার খাওয়া হয়নি কখনো। রেসিপিটা আমার কাছে ইউনিক মনে হয়েছে। রেসিপির কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। আপনার পোস্টের মাধ্যমে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
রেসিপিটি আমার কাছেও নতুন। এই প্রথম তৈরি করলাম বাড়িতে। খেতে খুবই মজা হয়েছিল।
ধনিয়া পাতার আচার রেসিপি আমি এর আগে কখনো খাইনি। আমার কাছে এই রেসিপিটি একদম ইউনিক লেগেছে। আর এই রেসিপি পরিবেশন দেখেও রেসিপিটি তৈরি করা শিখে নিলাম। আসলে এই রেসিপি নরমাল ফ্রিজে ছয় মাস পর্যন্ত রেখে খাওয়া যায়। এটা জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো।
ধনিয়া পাতার আচার রেসিপি আমিও এই প্রথম তৈরি করলাম ভাইয়া। খেতে খুবই সুস্বাদু।