ঘটে যাওয়া এক ভৌতিক কাহিনী||পার্ট-২(শেষ পর্ব)
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই এবং বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
গত পর্বে আমরা জেনেছিলাম – ১৮/২০ বছরের একটি ছেলে বাদে বাড়ির বাকি সবাই বেড়াতে গিয়েছিলো বিয়ে বাড়ির দাওয়াতে। ছেলেটি রাতে ঘুমিয়ে ছিলো। হঠাৎ রাত বারোটার পর ভয়ংকর আওয়াজ শুনতে থাকে। তাই ছেলেটি ভয় পেয়ে প্রতিবেশী এক বাড়িতে গিয়ে বলে,আজ রাতের জন্য সে এখানে ঘুম দিবে। প্রতিবেশী রাজি হয় এবং তাকে তাদের বাড়ি থেকে একটি কম্বল আনার জন্য পাঠায়। কিন্তু ৩০ মিনিট পার হয়ে গেল তারপরও ছেলেটির আসার কোন নাম নেই। এরমধ্যে ছেলেটির বাড়ি থেকে অনেক জোরে একটি আওয়াজ আসে। এই কাহিনীর পর থেকেই আজকের লেখা শুরু করছি।
ছেলেটির সাথে কিছু হলো কিনা এটা নিয়েও তারা টেনশন করছিল। তারাও বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছিল। তাই তারা বাড়ি থেকেই ছেলেটির নাম ধরে অনেক জোরে জোরে ডাকছিল। কিন্তু ছেলেটির কোন সাড়া পাচ্ছিল না তারা। ছেলেটির ফোন নাম্বার ও তাদের কাছে ছিল না যে তারা ফোন দিয়ে শুনবে ছেলেটির খবর। কিন্তু ছেলেটির মার ফোন নাম্বার তাদের কাছে ছিল। ওই বাড়ির মালিকরা ছেলেটির মায়ের কাছে ফোন দিয়ে ছেলেটির নাম্বার নিয়ে নেয়।
তারপর ছেলেটির নাম্বারে অনবরত কল দিতেই থাকে কিন্তু নাম্বার বারবার অফ দেখায়। এখন তো তাদের বিষয়টি দেখতেই হবে যে ছেলেটির কোন বিপদ হয়েছে কিনা। প্রতিবেশীরা কয়েকজন মিলে লাইট নিয়ে ছেলেটির খোঁজ করতে আসে। তারা সবাই এসে দেখে ছেলেটি আধমরা হয়ে একটি ভাঙাচোরা টিন নিয়ে পড়ে আছে। সাথে কম্বলটিও ছিল। এটা দেখে প্রতিবেশীদের বুঝতে বাকি রইল না তার সাথে কি হয়েছে।
পরবর্তীতে ছেলেটি একটু সুস্থ হলে ছেলেটির কাছে শোনা হয় তার কি হয়েছিল, ছেলেটি বলল : যখন তাকে কম্বল আনার জন্য বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল,তখন সে ঘর থেকে কম্বল নিয়ে বের হচ্ছিল। হঠাৎ সামনে দেখতে পায়,অনেক লম্বা এবং কালো রঙের কাপড় পড়া অবস্থায় কে যেন দাঁড়িয়ে আছে। তখন ছেলেটি জিজ্ঞাসা করল কে আপনি? আর তখনই সে ছেলেটির উপর আক্রমণ করল। কম্বলসহ ছেলেটিকে নাকি টিনের উপর ছুড়ে মেরেছিল। ছেলেটি টিন ভেঙ্গে চুরে নিয়ে পড়ে গিয়েছিল। তাছাড়া ছেলেটির মুখ,ঘাড় চেপে ধরে সে নাকি বসে ছিল। ছেলেটি নাকি কথাও বলতে পারছিল না তখন। আর তারপর নাকি ছেলেটির আর কিছুই মনে নেই। তারপর প্রতিবেশীরা বুঝতে পারল, এটা কোন খারাপ জ্বিনেরই কাজ হবে হয়তো।
এই ছিল আমাদের এলাকায় ঘটে যাওয়া একটি সত্য ভৌতিক ঘটনা। ভৌতিক গল্প শুনতে বা পড়তে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।আপনাদের কার কাছে কেমন লাগে ভৌতিক গল্প শুনতে বা পড়তে সেটা অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় দিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এধরনের ঘটনা গুলো অনেক শুনেছি। এসব হচ্ছে খারাপ জ্বিন এর কাজ। আপনার ভৌতিক গল্প পরে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
খারাপ জ্বিন মানুষদের এভাবে ভয় দেখাই৷ গল্পটি পড়ে মতামত দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনার গল্প পড়ে তো গা শিউরে উঠলো। এরকম যদি হুট করে তাকিয়ে দেখি সামনে কেউ একজন অদ্ভুত আকৃতির লোক দাঁড়িয়ে আছে তাহলে তো ভয়ে জীবন শেষ।
হুম ঠিক বলেছেন। আমারো এসব খুব ভয় লাগে।
ভৌতিক গল্প আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। ভৌতিক গল্পটির প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম। পরের পর্বটি পড়ে আজ আমার কাছে খুবই ভয়ঙ্কর লেগেছে। ছেলেটির মুখ ঘাড় চেপে ধরে বসে ছিল এটা শুনে আমার কাছে খুবই ভয়ংকর লেগেছে। সুন্দর একটি ভৌতিক গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গল্পটি পড়ে গুছিয়ে চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ভূতের গল্পের কনসেপ্ট গুলো সব সময় একই রকম হয়। তবে ছেলেটা যখন কম্বল আনতে গিয়ে অনেক দেরি করে ফেলল, তারপর যখন বিভিন্ন রকম আওয়াজ শুনতে পেল প্রতিবেশীরা তখনই উচিত ছিল তাদের সেখানে যাওয়া। যদিও লম্বা এবং কালো ভূত আমি খুব বেশি একটা ভয় পাই না। তবে এ ধরনের গল্প শুনলে যে কোন মানুষই ভয় পেয়ে যাবে। বিশেষ করে টিনের উপর ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার যে ব্যাপারটা, ওটা বেশ প্যাথেটিক ছিল আপু।
জ্বী ভাইয়া,, এটা আমাদের এলাকায় ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনা।
গ্রামে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে আপু। এমন গল্প আমিও অনেক শুনেছি গ্রামে থাকতে।