বাড়ির আঙ্গিনার সৌন্দর্য বর্ধনকারী কিছু উদ্ভিদ।
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই এবং বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট। আমি প্রতি সপ্তাহেই একটি করে ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করি। তাই আজ ভাবলাম কিছু ভিন্ন ভিন্ন উদ্ভিদের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। এই ধরনের উদ্ভিদগুলো বাসা বাড়িতে থাকলে বাসাবাড়ির সৌন্দর্য অনেক গুণে বৃদ্ধি পায়। তাহলে চলুন ফটোগ্রাফি গুলা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
এই গাছটির নাম আমার জানা ছিল না। আমি গুগলের মাধ্যমে সার্চ করে জানতে পেরেছি এই গাছটির নাম লিকুয়ালা। এই গাছগুলো বাড়ির বাইরেও রাখা যায় এবং বাড়ির অভ্যন্তরেও রাখা যায়। বাইরে অথবা ভিতরে যে কোন স্থানে রাখলেই এই গাছটির জন্য বাড়ির সৌন্দর্য অনেক গুনে বৃদ্ধি পায়।
এই গাছটি কম বেশী আমাদের সকলের সাথেই পরিচিত। এই গাছকে নারকেল, তাল ও খেজুর গাছের মতোই দেখতে লাগে অনেকটা।গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম ডিপসিস লুটেসেন্স (Dypsis lutescens)।এই গাছগুলো ব্যাম্বু পাম নামেও পরিচিত।
এই গাছগুলো অনেকটা তালগাছের মতো দেখতে। গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম লিভিস্টোনা চিনেনসিস। এটি পাম গাছের একটি প্রজাতি।গাছটি সম্পর্কে আমি গুগল থেকে জেনেছি।
এই গাছটি সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানিনা আর গুগলে সার্চ করে তেমন কোন তথ্য পেলাম না। গাছটি ছোট্ট একটি টবে লাগানো হয়েছে। এবং এই গাছ থেকে চারিদিকে পাতা ছড়িয়ে পড়েছে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। এই ধরনের গাছগুলো বাড়ির আঙ্গিনায় কিংবা বাড়ির ছাদে লাগিয়ে রাখলে দেখতে খুবই চমৎকার লাগে।
এর প্রচলিত নাম আমরুল শাক। আমরুল শাকের স্বাদ টক হয়। শাকগুলো দেখতে সবুজ বর্ণের। এই শাককে ঔষধি শাকও বলা হয়।পাতার রস করে কিংবা শাক হিসেবে এটা রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। তাই বলা যায় এটা খুব উপকারী এক ধরনের উদ্ভিদ।
এই ছিল আমার আজকের কিছু উদ্ভিদের ফটোগ্রাফি পোস্ট। আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমাকে অনেক বেশি উৎসাহিত করে। সবার সুস্থতা কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ইনশাআল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_Copy.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQL4SxGA9Sdnn4JMpnVSe79yHzro2uaokTzUcohwupjb2/Heroism_Copy.png)
আপু আমি কম বেশি আপনার পোস্ট গুলো সময় পেলে দেখার চেষ্টা করি। সব সময়ই ভিন্ন রকম পোস্ট গুলো শেয়ার করার চেষ্টা করে থাকেন। আজকে তো চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি নিয়ে পোস্ট সাজিয়েছেন। লিকুয়ালা গাছ গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। এধরনের গাছ গুলোর নাম আমার মনে থাকে না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য খুবই সুন্দর একটা গাছ লাগিয়েছেন দেখছি আপু। গাছটা দেখে খুবই সুন্দর লাগছে বাড়িতে লাগালে আসলেই অনেক সুন্দর দেখাবে। আপনার মাধ্যমে প্রথম এই গাছটির নাম জানতে পেলাম।
আগে দেখতাম বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে বিভিন্ন টপ জাতীয় গাছ লাগিয়ে সুন্দর্য বৃদ্ধি করতো। তবে এখন আর তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই সর্ব শ্রেণীর মানুষ বাসা বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি এমনকি নিজের ঘরের আঙ্গিনার পাশে এবং ঘরের ছাদে এ জাতীয় টপ গাছ গুলো ব্যবহার করছে। বেশ ভালই লাগে এই সমস্ত সুন্দর সুন্দর গাছের দৃশ্য দেখে।
আপু সত্যি কিন্তু এইফুল গুলো বাড়ির আঙ্গিনার সৌন্দর্য অনেক গুন বাড়িয়ে তোলে। আর আপনার আজকের বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধনকারী ফুল গুলো দেখে কিন্ত মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কারন আজকের গাছ গুলো কিন্তু নিজের রূপ আর সৌন্দর্য দিয়ে বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর কিছু গাছের ফটোগ্রাফি দেওয়ার জন্য।
বাসার ছাদে আর বাড়ির পাশ দিয়ে কিছু গাছ লাগানোর দরকার ছিল আর আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে ভালো ধারণা পেলাম। আমি তো অলরেডি কিছু ফুলের টব কিনে রেখেছি এখন শুধু গাছ লাগানো বাকি।
এই গাছগুলো সাধারণত বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যই রোপন করা হয়ে থাকে। প্রথম গাছটার নামটা বেশ অদ্ভুত। লিকুয়ালা নামটা প্রথমবার শুনলাম। এছাড়া প্রতিটা গাছই আমি আগেও দেখেছি। গাছগুলো বেশ দারুণ এবং সুন্দর কিন্তু। তবে গাছগুলোর নাম আমি জানি না সঠিক। দারুণ লিখেছেন এবং গাছের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নিয়েছেন আপু।
হ্যাঁ আপু এই ধরনের গাছগুলো বাড়ির সামনে থাকলে বাড়ির সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যায়।সবচেয়ে মজার ব্যাপার কি জানেন প্রথমে যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন সেগুলো তালগাছ মনে করতাম ছোট বেলায়।সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিলো আপু।