দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে ভাগ্য বদল (ষষ্ঠ পর্ব)
পরদিন জসিম লোকটার কাছ থেকে টাকা নিয়ে অল্প কয়েক দিনের ভেতর তার নিজের গ্যারেজ দাঁড় করিয়ে ফেলে। তারপর থেকে জসিম আর কোন সাধারণ ব্যক্তির কাতারে থাকে না। কারণ জসিমের গ্যারেজে প্রতিদিন প্রচুর গাড়ি আসতে থাকে। এমনিতেই জসিমের কাজের সুনাম থাকায় জসিমের কাস্টমার সব জসিমের গ্যারেজেই যায় তাদের গাড়ির কাজ করাতে। এভাবে জসিম খুব অল্প সময়েই অনেক টাকার মালিক হয়ে যায়। জসিম তখন মাঝে মাঝে বসে চিন্তা করতে থাকে বাড়ি থেকে বের হয়েছে সে প্রায় ১০-১২ বছর।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
এখন তার মাঝে মাঝে বাড়িতে যেতে ইচ্ছা করে। জসিম একদিন তার সহকারীকে সব কাজ বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। যাওয়ার পথে সে তার মা বাবা ভাই বোনের জন্য অনেক কিছু কেনাকাটা করে। জসিম তার পরিবারকে আগে থেকে কিছুই জানায় না। সে পরিকল্পনা করে পরিবারের সবাইকে একটা সারপ্রাইজ দেবে। জসিমের মনে ইচ্ছা থাকে তার বাবাকে চমকে দেয়ার। এই জন্য সে তার বাবার জন্য অনেক দামি স্বর্ণের তৈরি একটা ঘড়ি কেনে। যথাসময়ে সে বাড়িতে পৌঁছে যখন সে তার বাড়ির লোকজনকে ডাকাডাকি করতে থাকে।
তারা বের হয়ে এসে জসিমকে দেখে প্রথমে চিনতেই পারেনা। কারণ যেই জসিম বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল তার সাথে এই জসিমের কোনোই মিল নেই। জসিমের চিৎকার শুনে তার পরিবারের লোকজন বাইরে এসে জসিমকে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়। কিন্তু জসিম খেয়াল করে দেখে সবাই এলেও তার বাবা সেখানে নেই। তার পরিবারের লোকজন তাকে দেখে অত্যন্ত খুশি হয়। তারা জসিমকে বলে তারা ধরেই নিয়েছিলো জসিম মারা গিয়েছে। এতদিন পর ছেলেকে কাছে পেয়ে জসিমের মা জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্নাকাটি করতে থাকে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
জসিমের এমন সফলতা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আসলে মানুষ মন থেকে জেদ করলে অনেক কিছুই করতে পারে। সেটা জসিম আরও একবার প্রমাণ করলো। তবে জসিমের বাবা মারা গিয়েছে নাকি,সেটা জানার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।