ছিনতাইকারীর হাতে জীবন হারানো(ছোটো গল্প)
ক্যানভা দ্বারা তৈরি করা হয়েছে
তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন এখন দ্রুত ভাইয়ের বাসার দিকে ফিরে যাবেন। এই চিন্তা করে তিনি কেবল ফিরতি রাস্তা ধরেছেন। এর ভেতরে হঠাৎ রাস্তার পাশের অন্ধকার থেকে সাত আট জন কিশোর এসে তাকে ঘিরে ধরলো। দূরের একটা ল্যাম্পপোস্ট থেকে হালকা আলো আসছিলো। সেই আলোতে তিনি দেখতে পেলেন কিশোরদের কয়েকজনের হাতে ধারালো ছুরি রয়েছে। হঠাৎ করে এই পরিস্থিতিতে পড়ে তিনি বেশ ঘাবড়ে গেলেন। কিশোর গুলো তার সাথে বেশ খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করলে। তারা রফিক সাহেবকে ঘিরে ধরে বলতে লাগলো এই ব্যাটা যা কিছু আছে সব বের কর। রফিক সাহেব পেশায় একজন শিক্ষক। অল্প বয়সী কিশোরদের মুখে এরকম ভাষা শুনে তিনি কিছুটা রেগে যান। তিনি তাদেরকে বললেন মুখ সামলে কথা বলো। একজন বয়স্ক মানুষের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় সেটা তোমরা জানো না? তার কথা শুনে সেই ছিন্তাইকারী কিশোরেরা হাসতে লাগলো। এর ভেতরে একজন কিশোর এসে ছুরির বাট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলো। এবার তিনি সত্যি সত্যিই অনেক ভয় পেয়ে গেলেন। এর ভিতরে আরো দুজন কিশোর এসে তার পকেট থেকে মোবাইল মানিব্যাগ সবকিছু বের করে নিয়েছে।
সবকিছু নেয়া হয়ে গেলে কিশোরগুলো তাকে বলল সোজা এখান থেকে চুপচাপ চলে যাবি। যদি মুখ দিয়ে কোন শব্দ বের করেছিস তাহলে কিন্তু জানে মেরে ফেলবো। কিশোরদের এই বেয়াদবি আর রফিক সাহেবের সহ্য হচ্ছিলো না। তিনি বলতে লাগলেন আমি এক্ষুনি থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে কমপ্লেন করবো। তেদেরকে জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়বো। তার কথা শেষ হতেই একজন কিশোর সামনে থেকে এসে তার পেটের ভেতরে চাকু ঢুকিয়ে দিলো। চাকুর আঘাতে রফিক সাহেব ছটফট করতে করতে রাস্তায় পড়ে গেলেন। কিশোরগুলো অবস্থা বেগতিক দেখে দৌড়ে সেখান থেকে চলে গেলো। আর রফিক সাহেব নিষ্প্রাণ অবস্থায় সেখানে পড়ে রইলেন। পরদিন সকালে পত্রিকার পাতায় খবর এলো ছোট ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এক নিরীহ স্কুল শিক্ষক ছিনতাইকারীদের হাতে নিহত হয়েছেন।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
কিছু কিছু জায়গায় নিজেকে কন্ট্রোল করা জরুরী যা রফিক সাহেব করতে পারেননি। তিনি শিক্ষক তার জন্য সবাইকে শাসন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই ছেলেগুলো তো অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদের সঙ্গে বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে তার জীবনটাই হারিয়ে গেলো। আসলে ছিনতাইকারীদের হাতে এরকম মৃত্যুর ঘটনা নতুন না। এগুলো অহরহই ঘটছে। এজন্য সকলকে সাবধানে থাকা উচিত।
বর্তমান কিশোর গ্যাং একটি আতঙ্কের নাম। এরা মানুষ নয় অমানুষের পর্যায়ে চলে গেছে। এদের মধ্যে হিতাহিত কোন জ্ঞান নেই। তবে রফিক সাহেবের উচিত ছিল যেহেতু মোবাইল এবং মানিব্যাগ নিয়ে গেল, উনি চুপচাপ ছোট ভাইয়ের বাসা চলে আসা। এরপর ওদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া। তা না করে তিনি সেখানেই পুলিশের হুমকি দেওয়া তার প্রাণ হারাতে হলো। তাই সবসময় সাবধানতার সাথে কাজ করা উচিত।